বহুকাল ধরে স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য ও নানা
রোগের ওষুধ হিসেবে প্রচলিত মধু। এর গুণাগুণের বয়ান শেষ করা যাবে না। প্রকারভেদে মধুর পুষ্টি উপাদানও ভিন্ন হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা জানান, চিকিৎসার কাজে মধু ব্যবহারের ইতিহাস ৪ হাজার বছর আগেও পাওয়া গেছে। প্রাচীন মিশর, ভারত, গ্রিক এবং চীনে
স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে মধুর
কদর ছিল। সাধারণ আমরা চামচে করে মধু খাওয়া কাজেই সীমাবদ্ধ থাকি। নিচে এই তরল মিষ্টিজাতীয় খাবারটির ব্যবহার এবং
তার নানা উপাকারিতার কথা নিয়ে
অালোচনা করা হলো :
১. দিনের
শুরুটাকে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও উপাদেয় করার দারুণ উপায়টি হলো, হালকা গরম এক গ্লাস পানিতে দুই-তিন চামচ মধু গুলে খাওয়া। এতে দেহের বিপাকক্রিয়া দারুণভাবে পরিচালিত
হয়।
২. সকালের
নাস্তার আগে মধু-পানিতে লেবুর রস নিতে পারলে তা
হয়ে ওঠে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এই মিশ্রণ মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সহায়তা করে। লেবুর রস স্বাভাবিকভাবেই মুখের দুর্গন্ধ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া মেরে
ফেলে। সকাল থেকে এই সজীব অনুভূতি গোটা দিনটাকেই সুন্দর করে দেয়।
৩. মধু
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় বলে বিশ্বাস করা হয়। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ব্যাকটেরিয়াল গ্যাস্ট্রোএন্টেরিটিস এবং আলসারের
ক্ষেত্রে দারুণ উপাকারী। দিনে যখনই মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন, তখনই তার সঙ্গে
মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। মিষ্টান্ন পণ্য, দই, লাচ্ছি বা রুটির সঙ্গে মধু পুষ্টি ও স্বাদের সুন্দর সমন্বয় তৈরি করে।
৪. ত্বকের
যাবতীয় সুরক্ষা দেয় মধু। তাই বহু প্রসাধনী পণ্যে মধু দেওয়া হয়। এটি চেহারা থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে জাদুর মতো
কাজ করে। এর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের
অতিবেগুনী রশ্মি ক্ষতি থেকে ত্বক রক্ষা করে।
৫. মধুর আরেকটি
দারুণ উপকারিতা তৎক্ষণাৎ পেয়ে যাবেন। তা হলো, দারুণ শক্তিবর্ধক একটি খাবার এটি।
চিনি বা চিনিজাতীয় অন্যান্য উপাদানের চেয়ে অনেক বেশি শক্তি দেয় মধু। এতে যে মিষ্টি উপাদান রয়েছে যা চিনির মতো ক্ষতিকর নয়। বেশ কয়েকটি
গবেষণায় বলা হয়, এমনকি ডায়াবেটিস রোগীরাও নির্দিষ্ট পরিমাণ মধু প্রতিদিনই খেতে
পারেন। সূত্র : জিনিউজ
0 comments:
Post a Comment
পাঠকের মন্তব্য আবশ্যক