কে এম হোসাইন : মার্কিন এক গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, শিশু লালন-পালনে পরস্পরকে সহযোগিতা করলে দাম্পত্য এবং যৌনজীবনে আরো বেশি সুখী হওয়া যায়। সূত্র : বিবিসি বাংলা।
৪৮৭ টি পরিবারের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মা-বাবা শিশু লালন-পালনের দায়িত্ব সমানভাবে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তারা মানসিক এবং যৌনতার দিক থেকে বেশি সন্তুষ্ট।
তবে যেসব দম্পতির ক্ষেত্রে নারী সদস্য শিশুপালনের মুল দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে সন্তুষ্টির হার কম।
গবেষকরা বলছেন, পুরুষরা শিশু লালনে মুখ্য ভূমিকা পালন করলেও যৌনজীবনে বেশি প্রভাব পড়ে না।
বৈবাহিক এবং রিলেসনশিপ স্টাডি ২০০৬ নামের একটি গবেষণা থেকে এই উপসংহারে পৌঁছেছেন গবেষকরা। দম্পতিদের সম্পর্ক নিয়ে একটি জরিপের মাধ্যমে ঐ গবেষণাটি করা হয়।
আমেরিকান স্যোসিওলজিক্যাল এসোসিয়েশনের একটি বৈঠকে উপস্থাপিত এসব তথ্যে দেখা যায়, যেসব পরিবারে নারী সদস্য শিশুপালনের ৬০ শতাংশের বেশি কাজ করেছেন। তারা দাম্পত্য সম্পর্ক এবং দ্বন্দ্ব নিরসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম স্কোর করেছেন এবং তারা যৌনজীবনেও কম সুখী।
ম্যানচেস্টার বিজনেস স্কুলের মনোবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক, স্যার কেরি কুপার বলেন, এই গবেষণার মাধ্যমে সাংসারিক জীবন নিয়ে আরো বেশি কিছু বোঝা যায়। কোন পুরুষ যদি শিশুপালনের কাজ ভাগাভাগি করে নিতে আগ্রহী হয়। তাহলে বোঝাই যায় সে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে বেশি সময় বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে ।
আমাদের সময়.কম
24.08.2015