www.facebook.com/chatgarmamu |
সামনে ঈদ-উল-আজহা, দেশব্যাপী মুসলমানদের পবিত্র কোরবানির ঈদ। সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের অন্যতম প্রিয় ধর্মীয় উৎসব।
কোরবানির গরু কেনার সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন ।
কিভাবে ভালো গরু বাছাই করবেন
১/
দিনের আলো থাকতেই পশু কেনা ভালো। কেননা রাতের বেলায় পশু রোগাক্রান্ত নাকি
সুস্থ তা ভালোভাবে বোঝা যায় না এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসুস্থ গরু কেনার
সম্ভাবনা থাকে
২/
কোরবানির গরুর বয়স কমপক্ষে দু বছর হওয়া উচিত। পশু কেনার আগে এর শরীরের
কোথাও ক্ষত আছে কিনা পরীক্ষা করে নিন। শিং ভাঙ্গা আছে কিনা, লেজ, মুখ,
দাঁত, খুর এসব কিছুই পরীক্ষা করে দেখুন, কোন খুঁত চোখে পড়ে কিনা। মুখ থেকে
লালা পড়ে কিনা ? পায়ে খুরা রোগ আছে কিনা ? খুরা রোগ থাকলে হাটতে গিয়ে
খোঁড়াবে এবং শরীর গরম থাকবে ।
৩/
পশুর মুখের সামনে কিছু খাবার ধরে দেখুন। সুস্থ পশু হলে নিজ থেকে জিভ
দিয়ে খাবার টেনে নিয়ে খেতে থাকবে। অসুস্থ পশু সচরাচর খাবার খেতে চায়
না। পশুর নাকের দিকে লক্ষ করুন। সুস্থ পশুর নাকের উপরটা ভেজা ভেজা থাকে।
৪/ ওষুধ
ও রাসায়নিকের প্রভাবে মোটা হওয়া গরু ঃ প্রতি বছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে
একদল অসাধু ব্যবসায়ি কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই গরু মোটা করার জন্য বিভিন্ন
ধরনের ওষুধ ও রাসায়নিক মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগ করেন। এতে গরুর শরীরে
অতিরিক্ত পানি জমতে শুরু করে। এ কারণে রাসায়নিক দেয়া গরু বেশি মোটা দেখায়।
এদের গায়ে আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে সেখানে দেবে গর্ত হয়ে থাকে অথবা সাথে সাথে
স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না।এগুলো শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হয়। মনে হবে
যেন হাঁপাচ্ছে। গরুটির কিডনি, ফুসফুস, পাকস্থলী ও যকৃত নষ্ট হতে থাকে এবং
গরুটি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে যায়। অতিরিক্ত স্টেরয়েড দেয়া গরুর মুখ থেকে
প্রতিনিয়ত লালা ঝরবে। কিছু খেতে চাইবে না।
সুস্থ
গরুর রানের মাংস শক্ত থাকবে। যেখানে রাসায়নিক দেয়া গরুর পা হবে নরম
থলথলে। মোটা গরুতে চর্বি অনেক বেশি থাকে, যা খেলে পর মানুষের স্বাস্থ্যের
ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। আর অস্বাভাবিক মোটা গরু বিভিন্ন ঔষধ পুশ করে
মোটাতাজাকৃত হতে পারে। তাই এধরণের গরু বর্জন করাই ভালো , তাই দেশি মাঝারি
ধরনের গরু কেনা নিরাপদ।
এসব বিষয় খেয়াল করে কোরবানির পশু খামার থেকে কিনলে কিছুটা নিরাপদ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ থেকে বাঁচা সম্ভব।
খামার থেকে গরু কিনতে ভিজিট করুন
গরুর হাটে গরু কিনতে যাওয়ার সময় সতর্কতা ও কোরবানির প্রস্তুতি ।
১/ হাটে প্রবেশের সময় ও হাটে থাকাকালীন সময়ে টাকাপয়সা ও মোবাইল সাবধানে রাখুন।
২/
পশু কিনতে যাওয়ার সময় ভালো পোশাক না পরাই উত্তম। তাতে দাগ বা ময়লা লাগা
খুবই স্বাভাবিক । মুখে মাক্স লাগাবেন । পানির বোতল সাথে রাখবেন ।
৩/
পশু কিনেই হাট থেকে পশুর খড় ও খাবার কিনে ফেলুন। এতে বাড়িতে আনার পর আর
ঝামেলা পোহাতে হবে না। পশুর সঠিক যত্ন ও পুষ্টি খুবই প্রয়োজনীয়।
৪/ হাট থেকে পশু আনার সময় দড়ি দিয়ে পশুকে ভালোভাবে বেঁধে আনুন। পশুর সাথে সহমর্মিতার আচরণ করুন, অযথা অত্যাচার করবেন না।
৫/ কোরবানির আগেই কসাই ঠিক করে রাখুন। শেষ মুহূর্তে ঠিক করতে গেলে কসাই পাওয়া যায় না।
৬/ মাংস কেটে রাখার জন্য পরিষ্কার চাটাই সংগ্রহ করে রাখুন। ঘরে থাকা দা , বটি, ছুরি ধার দিয়ে রাখুন । মাংস সঠিকভাবে কাটার জন্য কাঠের গুঁড়ির প্রয়োজন হয় । মাংস মাপার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে দাঁড়িপাল্লার । পলিথিনও খুবই দরকারি ।
এসব ব্যাপার খেয়াল রাখলে ইনশাআল্লাহ কোরবানির গরু কিনতে গিয়ে আপনাকে আর বিভ্রান্ত হতে হবে না।