তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব
দিন দিন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আমাদের সমাজের ব্যপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বর্তমানে বলতে গেলে আমরা প্রতি মিনিটেই প্রযুক্তির ব্যবহার করছি। সমাজের অগ্রযাত্রায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা কত বেশি তা সংক্ষিপ্ত আকারে বলা মুশকিল।
বিশ্বের যে সকল দেশ সবচেয়ে বেশি উন্নত তাদের
প্রযুক্তির ব্যবহার সবেচেয়ে বেশি। এখন বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো
বাংলাদেশেও আইসিটির বহুমুখী ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাই এখন বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হচ্ছে। একুশ শতকের সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। যার অর্থ কৃষি, খনিজ সম্পদ কিংবা শক্তির উৎস নয়, শিল্প কিংবা বাণিজ্যও নয়, এখন পৃথিবীর সম্পদ হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এখন আমাদের প্রয়োজনীয় সকল কাজের পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহারে যথেষ্ঠ দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। তাছাড়া ভবিষ্যত পৃথিবীর অগ্রযাত্রার সাথে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব নয়।
কর্মসংস্থানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে একজন কর্মী অনেক বেশি দক্ষ হয়ে ওঠে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানই স্বল্প কর্মী দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে নিতে পারে।
উদাহরণ হিসেবে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে।
- বিভিন্ন কারখানার বিপজ্জনক কাজগুলো মানুষের পরিবর্তে রোবট কিংবা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যেতে পারে।
- কর্মস্থলে কর্মীদের উপস্থিতির সময়কাল, তাদের বেতন, ভাতাদি ইত্যাদি হিসাব করার জন্য বেশ কিছু কর্মীর প্রয়োজন হয়। কিন্তু ষয়ংক্রিয় উপস্থিতি যন্ত্র, বেতন, ভাতাদি হিসাবের সফটওয়্যার ইত্যাদির ব্যবহারের মাধ্যমে এ সকল কাজ সম্পন্ন করা যায়।
- বিভিন্ন গুদামে মালামাল সুসজ্জিত করার কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা যায়।
- টেলিফোন এক্সচেঞ্জে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল ব্যবস্থার কারণে পৃথক জনবলের প্রয়োজন হয় স্বয়ংক্রিয় ইন্টারেকটিভ ভয়েস প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিন রাত যেকোনো সময় গ্রাহকের নির্দিষ্ট প্রশ্নের জবাব দেওয়া যায়।
- ব্যাংকের এটিএম এর মাধ্যমে যেকোনো সময় নগদ অর্থ তোলা যায়।
অন্যদিকে আইসিটির কারণে অনেক কাজের ধরন প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে –
- পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকার জন্য নিজেকে ক্রমাগত দক্ষ করে তুলতে হয়। ফলে দক্ষতা উন্নয়নের কর্মসূচিতে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে।
- কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক ধরনের কাজ ঘরে বসেই করা সম্ভব হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে কাজে বিশেষ দক্ষতা না থাকলে যে কাজ সম্পন্ন করা যেত না, এরূপ অনেক কাজ কম্পিউটারের সহায়তা সহজে সম্পন্ন করা যাচ্ছে। যেমন ফটোগ্রাফি (photography) বা ভিডিও এডিটিং (video editing)।
- অনেকে ঘরে বসে কাজ করছে। ফলে অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন ভার্চুয়াল (virtual) প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে সহায়ক কর্মীর সংখ্যা যেমন কমেছে, তেমনি তাদের কাজের ধরনও পাল্টে গেছে।
- স্বয়ংক্রিয়ভাবে মনিটরিং করা সম্ভব হওয়াতে কর্মীদের কাজে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
যোগাযোগ প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় প্রণোদনা হলো এর মাধ্যমে নিত্যনতুন কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়। ফলে অনেক বেশি কাজের সুযোগ তৈরি হয়।
ইন্টারনেট থেকে ঘরে বসে আয়ের সুযোগ
বর্তমানে ইন্টারনেট থেকে যেকেউ চাইলে ঘরে বসে আয় করতে পারেন। তবে এজন্য প্রয়োজন যথেষ্ট দক্ষতা এবং চেষ্টা।
ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে ঘরে বসে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। যেমন,
- ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং করে আয়
- অনলাইন ব্লগ থেকে টাকা আয়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
- ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়
- কনটেন্ট রাইটিং করে আয়
- গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
- ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয়
বর্তমানে অনলাইন ইনকাম বলতে সকলেই বুঝে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং কে। ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে আয় করাটা সকলের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
0 comments:
Post a Comment
পাঠকের মন্তব্য আবশ্যক