শার্ট তো পড়ি আমরা সবাই। কিন্তু ছেলেদের শার্টের বোতাম খোলা-লাগানোর ব্যবস্থা থাকে ডানদিকে। আর মেয়েদের শার্টে থাকে ঠিক তার উল্টো দিকে। কিন্তু কেন? একবারও ভেবেছেন? ভাববার বিষয়ও নয়। ব্যস্ত জীবনে আর অত ভাববার সময়ই বা কোথায়! ছেলেদের বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের বাঁ দিকে নিয়ে বিভিন্ন তত্ত্ব প্রচলিত আছে। আছে যুক্তি-পাল্টা যুক্তি। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে এর পিছনে রহস্যটাই বা কী?
এর অনেকগুলো কারণ সামনে এসেছে। যেমন, প্রাচীন কালে যখন পোশাকের চল শুরু হয় তখন থেকেই পুরুষরা নাকি নিজেরা নিজেদের জামা পড়ত, সেই থেকেই ডান দিকে বোতামের চল শুরু। আবার মহিলাদের নাকি তখন অন্য কেউ পরিয়ে দিত। তাই যারা জামা পরিয়ে দিতেন তাদের সুবিধার্থেই বাঁ দিকে বোতাম রাখা চালু হয়।
আবার এই তথ্যও সামনে এসেছে যে, পুরুষরা যেহেতু ডান হাতে তলোয়ার রাখতেন তাই বাঁ হাতে পোশাক খুলতে সুবিধা হতো। অন্য দিকে, মহিলারা বাঁ দিকে সন্তানদের রাখতেন বলেই পোশাক খোলার জন্য ডান হাত ব্যবহার করতে হতো।
আবার কেউ কেউ বলেন, এর পিছনে ইতিহাসেরও যোগ রয়েছে। কী সেই ইতিহাস? ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট নাকি মহিলাদের পোশাকের বাঁ দিকে বোতাম লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। নেপোলিয়নের এ রকম নির্দেশ দেয়ার কারণ কী? কথিত, নেপোলিয়ন তার একটি হাত সব সময় শার্টের ভিতরে রাখতেন, আর তাকে ব্যঙ্গ করে নকল করতেন মহিলারা। যখন নেপোলিয়ন এই খবর জানতে পারেন তা বন্ধ করার জন্য মহিলাদের শার্টের বাঁ দিকে বোতাম লাগানোর নির্দেশ দেন।
উপরের কারণগুলো শুনে বোকা বোকা মনে হতে পারে। কারণ যা-ই থাকুন না কেন এর পিছনে ঘটনাটা তো সত্যি যে মহিলাদের শার্টের বাঁ দিকে আর পুরুষদের ডান দিকে বোতাম থাকে।
১, ২, ৩, ৪টা নয়, ১৩ জন স্ত্রী তার। এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়, এর চেয়েও বেশি সংখ্যক স্ত্রী আছে বা ছিল অনেকেরই।
তবে এই ব্যক্তি যা করেছেন, তা করতে পারেনি আর কেউ। একসঙ্গে অন্তত ১৩ জন সন্তানের বাবা হতে চলেছেন তিনি। অর্থাৎ তার ১৩ জন স্ত্রী সবাই একসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন।
ডেইলি মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এটিকে বিশ্ব রেকর্ড বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নাহ! অলৌকিক কোনও গল্প নয়। বাস্তবেই এমন অদ্ভূত কাণ্ড ঘটিয়ে রেকর্ড করলেন তিনি। ১৩ জনকে বিয়ে করেছিলেন। এখন তার স্ত্রীরা সকলেই সন্তানসম্ভবা।
তার গর্বিত স্ত্রীরা জানান, তারা তাদের স্বামীকে খুবই ভালোবাসেন, এবং একসঙ্গে এই সুখবরে তারা খুবই খুশি। একজন স্বামীকে নিয়ে তার ১৩জন স্ত্রী ক্যামেরার সামনে পোজও দিয়েছেন।
সুত্র আমাদের সময়: ০৫ মে ২০১৬, ১৫:০০
স্থান-কাল-পাত্র ভেদে মানুষের সংস্কৃতি, রীতি-নীতি বদলে যায়। তেমনই বদলে যায় মানুষের যৌন চাহিদাও। প্রকৃতির নিয়ম মেনে কোথাও বিপরীত লিঙ্গকে বেছে নেয় অনেকে। আবার অনেকে আছেন যাদের কাছে সমকামীতাই স্বাভাবিক। জেনে নিন বিশ্বজুড়ে প্রচলিত তেমনই কয়েকটি অদ্ভুতুড়ে যৌন রীতি:
* নিউ গিনির ট্রব্রিয়ানদার উপজাতির বিশ্বাস ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক শুরু করা উচিত।
* অতীতে এটা বিশ্বাস ছিল যে নিল নদ মিশরের দেবতা অটমের ইজাকুলেশনের ফলে সৃষ্ট। এই বিশ্বাস থেকেই ফারাওরা এই নদীতে স্বমেহন করতেন।
* নেপালের কয়েকটি উপজাতি নিজেদের পরিবারের মধ্যে যৌন সঙ্গী অদলবদল করে নিতেন। একে বলে পলিঅ্যান্ড্রি। তাদের বিশ্বাস ছিল, এই রীতি উপজাতির লোক সংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখবে।
* ফ্রান্সের মারকিউসাস আইল্যান্ডের রীতি অনুযায়ী সেখানকার মানুষেরা নিজেদের সঙ্গীকে অন্যের সঙ্গে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হতে দিতেন এবং সেই দৃশ্য তারা দেখতেন।
* নিউ গিনির আর এক উপজাতি সাম্বিয়ানদের রীতি আবার অন্য রকম। তারা ঋতুচক্রের সময় ছেলে এবং মেয়েদের সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখে। আর এই সময় ওই উপজাতির শক্তিশালী যোদ্ধাদের বীর্য খেতে হয় মেয়েদের।
* মিশরের সিওয়া উপজাতির মধ্যে হোমসেক্সুয়ালিটি বা সমকামিতা শুধু সাধারণ বিষয়ই। দুই পুরুষ বা নারীর মধ্যে জাঁকজমক করে বিয়ে দেওয়া হয়।
* ব্রাজিলের মাহিনাকু গ্রামের লোকেরা পছন্দ মতো সঙ্গী বেছে নেওয়ার জন্য একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেন। তবে কোনও মারামারি নয়, পছন্দের নারীকে কে কত বড় মাছ উপহার দিতে পারেন সেটাই বিচার করা হয়।
* দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ মাঙ্গাইয়ায় বৃদ্ধারা ১৩ বছরের কম বয়সী ছেলেদের সঙ্গে দৈহিক মিলন করেন। তাদের উদ্দেশ্য, ছোটদের শেখানো কীভাবে সঙ্গীকে খুশি করতে হয়।
* হাওয়াই দ্বীপে আবার প্রত্যেকেই নিজেদের যৌনাঙ্গের নামকরণ করেন। এমনকী ঈশ্বরের আরাধনার সময় নিজের যৌনাঙ্গের বিবরণ দেন। এটাই তাদের রীতি।
* ইন্দোনেশিয়ায় পণ উৎসবের সময় প্রত্যেক ব্যক্তিই তাদের স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
* ভারতের ছত্তিসগড়ের মুরিয়া উপজাতিরা মানুষেরা একটা বয়সের পর একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রাখেন। কোনও সম্পর্কই আবেগে বাঁধা পছন্দ করে না এই উপজাতি।
* গ্রিসের এক উপজাতির মধ্যেও সমকামিতা প্রাধান্য পায়। বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে কিশোরদের শারীরিক সম্পর্ক সেখানে উদযাপিত হয়।
* আয়ারল্যান্ডের এক উপজাতির ধারণা সঙ্গীর সঙ্গে সঙ্গম স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। সে কারণে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময়েও অন্তর্বাস পরে থাকেন পুরুষেরা।
* জীবন সঙ্গী বেছে নেওয়ার জন্য কম্বোডিয়ার ক্রেয়াঙ্গ উপজাতিতে মেয়েদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়। বিয়ের আগে ‘লাভ হাট’ তৈরি করে দেওয়া হয়। সেখানে প্রতিটি মেয়ে একাধিক পুরুষের সঙ্গে মিলিত হয়ে নিজেদের সঙ্গী পছন্দ করেন।
সুত্র ; আমাদের সময় ০৫ মে ২০১৬, ১৫:০০