|
www.bdnewstracker.blogspot.com |
আমরা যতোই বলি, আসলে বেশিরভাগ মানুষই নিজের শরীরের রং নিয়ে সন্তুষ্ট নই।
অনেকেই রং-টা আরেকটু হালকা করতে, মানে ফর্সা করতে ছোটেন কসমেটিকস এর
দোকানে, কেউ পার্লারে কেউবা লেজার সেন্টার পর্যন্ত ঘুরে আসেন অনেকগুলো টাকা
খরচ করে। এতে করে সাময়িক কিছু ফল হয়তো পাওয়া যায়, কিন্তু কিছু দিন পরই
সঠিক যত্নের অভাবে ত্বক আগের চেয়েও অনেক সময় খারাপ হয়ে যায়। তাহলে কী কোনো
ভাবেই নিজের ত্বকের রং কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে ফর্সা করা সম্ভব নয়?
সম্ভব আর এজন্য আমাদের খুব বেশি দৌঁড়ঝাপও করতে হবে না। শুধুমাত্র ঘরের
ফ্রিজেই রয়েছে আমাদের ফর্সা হওয়ার উপকরণ।
তাও আবার মুখে-হাতে মেখে ঘণ্টার
পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না, শুধু খেলেই হবে। বিশ্বাস হচ্ছে না তো, আসুন
জানি বিস্তারিত।
ত্বকের রং প্লাসে যাবে না মাইনাসে তা নির্ভর করে আসলে আমাদের খাদ্য তালিকার
ওপরই। বেশি ফাইবার, মিনারেল, ভিটামিন এবং পরিমাণমতো ফ্যাট ও প্রোটিনযুক্ত
খাবার অনায়াসেই ত্বকের রং কয়েক শেড উন্নত করে তোলে। আর এজন্য প্রতিদিনের
খাবারে বেশি করে ফল এবং সবজি রাখুন।
অনেক সময় আমরা সবজি-ফলের পরিবর্তে জাঙ্ক ফুড খেতে বেশি পছন্দ করি। কিন্তু
ত্বক ভালো রাখতে চাইলে এই অভ্যেস থেকে পিছু হটতে হবে।
|
www.bdnewstracker.blogspot.com |
দিনের প্রতি বেলার খাবারে অবশ্যই অবশ্যই এক বাটি সবজি রাখতে হবে। সঙ্গে
অল্প ভাত বা রুটি, ডাল, মাছ বা মাংস রাখতে পারেন। আর প্রতিদিন যে কোনো একটি
ফল বাধ্যতামূলক, খেতেই হবে।
বন্ধুরা, সবজির মধ্যে পালং শাক, টমেটো, ব্রকোলি, মিষ্টি আলু এবং করোলা
আমাদের রং ফর্সা করতে বেশ অবদান রাখে। কারণ এতে লাইকোপিন নামক
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
ডেয়রি প্রডাক্টের মধ্যে দুধ, চিজ়, টক দই, আর প্রোটিনের মধ্যে ডিম, মাছ,
মাংস খেতে হবে নিয়মিত।
আপেল, কমলা, কলা, পেঁপে, আঙুর, স্ট্রবেরি, আম, বরই আর তরমুজ মানে ফলের
ঝুড়িতে রাখা সবক’টা ফলই ত্বকের জন্য উপকারী। কারণ ফল থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ
ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনারেল পায় আমাদের ত্বক।
ডার্ক চকলেট খেতে বলছি, অবাক হচ্ছেন? আসলে চকলেক আমাদের ত্বকের আদ্রতা ধরে
রাখে। সেই সঙ্গে রোদে পোড়া ত্বকের ড্যামেজ সারাতেও সাহায্য করে।
তবে মনে রাখতে খাবারের সঙ্গে সঙ্গে দেহ ও মন সুস্থ রাখতে হবে, থাকতে হবে
একদম ফিট আর দুশ্চিন্তামুক্ত। নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার, ব্যায়াম আর প্রচুর
পানি পান এগুলো তো আমরা এমনিতেই করি।
বন্ধুরা, নিয়মিত এগুলো মেনে চলুন রং-ফর্সাকারী ক্রিমগুলো আর বাজারে প্রয়োজন
হবে না।
শুধু মানসিক নয় বা শারীরিক তৃপ্তি নয়, সৌন্দর্যের জেল্লা বাড়াতেও
জরুরি সেক্স৷কোনও আকাশকুসুম কল্পনা নয়, সত্যি সত্যি এবং সত্যি৷এমনটাই মত
বিশেষজ্ঞদের৷ এর পিছনে তাঁরা খাড়া করিয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি
থেকে কিছু যুক্তিও৷
কীভাবে, আসুন তা জেনে নিই-
১) আমাদের চুল এবং ত্বক ভালো রাখার জন্য ইস্ট্রোজেন হরমোন দায়ী৷ আর
যত বেশি সেক্স করা যায়, ততই মহিলাদের শরীরে বেশি করে উৎপন্ন হয়
ইস্ট্রোজেন হরমোন৷ ফলে চেহারাতেও থাকে ফাটাফাটি জেল্লা৷ এছাড়াও সহবাসের
ফলে উৎপন্ন কোলাজেন হরমোনও ত্বককে টানটান রাখতে সাহায্য করে৷
২) গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা সপ্তাহে দু-তিনদিন নিয়মমাফিক
যৌনসম্পর্ক করেন, তাদের চেহারায় তারুণ্য বজায় থাকে, অন্যদের তুলনায় অনেক
বেশি৷ কারণ তারা মানসিকভাবে বেশি সুখী হন৷
৩) যৌনসুখের চরম সীমায় পৌঁছে আমাদের শরীর থেকে নিঃসৃত হয় সেরাটোনিন,
যা আমাদের মুড নিয়ন্ত্রণ করে৷ আমাদের হাসিখুশি, প্রাণোচ্ছ্বল রাখতেও এই
নিউরোট্রান্সমিটারটি দায়ী৷ ফলে আমাদের মনে অবসাদ গ্রাস করতে পারে না৷
চেহারাতেও থাকে এক ধরনের ফ্রেশ, ফুরফুরে লুক৷
৪) কোনও কোনও বিশেষজ্ঞের মতে, বক্ষদেশের সৌন্দর্য বাড়াতেও সেক্স অপরিহার্য৷
৫) সহবাসে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে অক্সিটোসিন নির্গত হয়, আর
অক্সিটোসিন আমাদের শরীরের কোর্টিসেল নামক প্রধান স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা
কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে৷তাই আক্ষরিকই যাঁরা নিয়মিত সহবাসের মধ্যে
থাকেন, তাদের জীবনেও থাকে অপার শান্তি৷
৬) সফল সহবাসের সময় আমাদের শরীর থেকে এমন কিছু কেমিকেল বেরায় যা
আমাদের মনটাকে ভালো রাখতে খুব ফলপ্রসূ৷যেমন ডোপেমিন, আপনাকে সবসময়
উজ্জীবীত রাখে, সব কাজে জোগায় বাড়তি উৎসাহ৷পুরষদের শরীর থেকে বেরোনো
টেস্টাস্টেরন কাজে নিয়ে আসে অতিরিক্ত উদ্দীপনা৷এন্ডোরফিন আপনার স্ট্রেস
কমিয়ে আপনাকে রাখে রিল্যাক্সড৷মানে এক একবারের সহবাসে আপনি উপকৃত হবেন
এতভাবে৷ ভাবা যায়!
৭) সেক্সের ফলে হার্টের কার্যকারিতা ও শরীরের রক্ত সঞ্চালন ভালো থাকে৷
একবারের সেক্সে প্রায় ৫০০ ক্যালোরির কাছাকাছি এনার্জি করচ হয়৷ ফলে খুব
কম সময়েই আপনার শরীর থেকে অল্প অল্প করে ঝরতে থাকে মেদ৷সুতরাং বলাই যায়
নিয়মিত যোগা বা জিম সেন্টারে গিয়ে টাকা খরচ করার তুলনায় বাড়িতেই বজায়
রাখুন আপনার স্বাভাবিক যৌন জীবন৷
৮) স্বাভাবিক এবং নিয়মিত যৌনজীবনে আমাদের মধ্যে বাড়ে আত্মবিশ্বাসও, মন
থাকবে শান্ত ও ফোকাসড৷ বাড়বে আপনার সৃজনশীলতাও৷ ফলে আক্ষরিকই বিকাশ হবে
আপনার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যের৷ আপনিও হয়ে উঠবে একেবারে অন্য ব্যক্তিত্ব৷
গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে কী করেন? প্রথমেই খাওয়া হয় পানি, তারপর
ভাতকে মুঠো করে খেয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এতেও যদি কাঁটা না নামে, তাহলে কী
করবেন? জেনে নিন ৭টি ভিন্নরকম কৌশল। আপনি জানেন কি, গলার কাঁটা বিঁধে গেলে
দারুণ কাজে আসে কোকাকোলা!
১) গলায় কাঁটা বিধলে পানি পান করেন? কেবল পানি পান করলে হবে না। হালকা গরম
পানির সাথে অল্প লবণ গুলিয়ে পান করুন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
২) গলায় কাঁটা বিঁধলে ভাত খেয়ে নামাতে চান? তাহলে এক কাজ করুন, ভাতকে ছোট
ছোট বল বানিয়ে নিন। তারপর পানি দিয়ে গিলে ফেলুন। ভাতের গোলা চিবিয়ে খেলে
কিন্তু কাঁটা নামবে না। পানি দিয়ে গিলে ফেলাই সেরা উপায়।
৩) ভাত খাবার চাইতেও সহজ একটি উপায় আছে। গলায় কাঁটা বিঁধলে খেলে ফেলুন একটি
কলা। কলা খেতে খেতে দেখবেন কাঁটা নেমে গেছে আর আপনি টেরও পাননি।
৪) এক টুকরো লেবু নিন, তাতে একটু লবণ
মাখিয়ে চুষে চুষে লেবুর রস খেয়ে ফেলুন। কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
৫) পানির সাথে সামান্য ভিনেগার মিশিয়ে পান করলেও ঠিক লেবুর মতই কাজ হবে।
৬) গলায় বিঁধেছে কাঁটা? একটু অলিভ অয়েলও পান করতে পারেন। কাঁটা পিছলে নেমে যাবে।
৭) গলায় কাঁটা নামানোর আধুনিকতম পদ্ধতি হচ্ছে কোকাকোলা। এক গ্লাস কোক পান করে ফেলুন, কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।