বেড়ানো
মেঘ দেখতে সাজেকে, খাগড়াছড়ি
প্রথম আলো
আগস্ট ২৫, ২০১৫
|
মেঘ
দেখতে আমরা দার্জিলিং যাই, শিলং যাই; কিন্তু কে জানত, দেশের মধ্যেই এমন
জায়গা আছে, যেখানে সত্যিকারের মেঘ এসে নিত্য ভিজিয়ে দেয়, ঝাপসা করে দেয়
চারদিক!
জায়গাটার নাম সাজেক। অবস্থান রাঙামাটি জেলায়। কিন্তু যেতে হয়
খাগড়াছড়ি হয়ে। সাজেক যাওয়ার পথটাও দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক। বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর সদস্যরা কিছুদিন আগেই রাস্তাটা বানিয়ে শেষ করেছে। খাগড়াছড়ি শহর
থেকে দীঘিনালা, তারপর বাঘাইহাট হয়ে সাজেক। আমরা এবার তিন দিনের ছুটিতে
ঘুরে এলাম। ছোট-বড় মিলিয়ে পাঁচজনের দল। পুরো রাস্তাটাই অপূর্ব, আশপাশের
দৃশ্য বড় মনোরম। কিন্তু কোথাও কোথাও এমন খাঁড়া চড়াই-উতরাই যে পাহাড়ি
রাস্তায় অভিজ্ঞ ও দক্ষচালকের বাহনে সওয়ার না হলে বিপর্যয় হতেই পারে। আমাদের
দলের সবচেয়ে ছোট সদস্য যার বয়স চার বছর, তার তো বেশির ভাগ সময় রাস্তাটাকে
রোলার কোস্টারই মনে হলো।
|
সাজেক খাগড়াছড়ি |
পাহাড়ের
মানুষজন এমনিতেই খুব চমৎকার আর বন্ধুভাবাপন্ন। কিন্তু খাগড়াছড়ি থেকে রওনা
হয়ে দীঘিনালা পার হওয়ার পরই অদ্ভুত মন ভালো করে দেওয়া একটা ব্যাপার ঘটতে
থাকে। দূর থেকেই গাড়ির আওয়াজ পেয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা দুদ্দার ছুটে এসে
রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে হাত নাড়তে থাকে। কে ওদের এভাবে অভিবাদন
জানানোর কায়দাটা শিখিয়েছে, কে জানে, কিন্তু দৃশ্যটা ভারি চমৎকার। আমাদের
দলের প্রত্যেকেরই একই মত, সাজেক বললেই সবার মনে এই স্মৃতিটা উঁকি দেবে।
মা-বাবারা সব সময় সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন। কিন্তু কেবল মঙ্গল কামনাই
যথেষ্ট নয়। সন্তানের ভালো চাইলে সবার আগে তার মনটিকে পড়তে হবে। আপনি আপনার
মতো করে সন্তানের ভালো চাইলে ফলাফল সব সময় ইতিবাচক হবে না, শিশুকে বুঝে তার
ভালো চাইতে হবে। এটি অনেকটা সেই বানর আর মাছের গল্পের মতো। একটি দ্বীপে
বাস করত একটি বানর। পাশের পানির একটি রঙিন মাছের সঙ্গে তার খুব বন্ধুত্ব।
বানর মাছের মঙ্গল চায়, মাছও বানরকে ভালোবাসে। একদিন শুরু হলো প্রচণ্ড ঝড় আর
বৃষ্টি। ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে বানর একটি উঁচু গাছের কোটরে আশ্রয় নিল। আর
বৃষ্টির পানি পেয়ে মাছটা খুশিতে লাফাতে লাগল। গাছ থেকে মাছের এই লাফালাফি
দেখে বানর ভাবল, মাছটা বোধ হয় পানি থেকে উঠে বাঁচতে চাইছে। বানরটি ঝড়ের
ভেতর নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাছ থেকে নেমে এসে পানি থেকে মাছটিকে কোলে
নিয়ে গাছের কোটরে শুকনো পাতা দিয়ে ঢেকে রাখল। মাছটা কতক্ষণ লেজ ঝাপটাল।
বানর তখন ভাবল, মাছটা তাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। এভাবে লেজ ঝাপটাতে ঝাপটাতে
মাছটা একসময় নিথর হয়ে গেল!
এই গল্পে মাছের প্রতি বানরের মঙ্গল কামনা আর
ভালোবাসার কোনো কমতি ছিল না, কিন্তু সে মাছের বৈশিষ্ট্য আর মন বুঝতে না
পারার কারণে শেষ পর্যন্ত ভালো না হয়ে খারাপই হলো। ঠিক তেমনিভাবে প্রতিটি
শিশুর বৈশিষ্ট্য আর মনকে বুঝতে না পারলে তার জন্য ভালো কিছু করা সম্ভব নয়।
শিশু কী চায় আর কী চায় না, সেটি বুঝতে হবে। এটি চর্চার বিষয়—একদিনে
সন্তানের সবকিছু বুঝে ফেলা সম্ভব নয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা মনোবিজ্ঞানী না
হয়েও বাবা-মায়েরা ইচ্ছা করলেই বেশির ভাগ সময় সন্তানকে বুঝতে পারবেন, যদি
তাঁরা সন্তানকে গুণগত সময় দেন আর তার আচরণকে লক্ষ করেন। এ জন্য যা যা করা
যেতে পারে—* শিশু যখন খেলে, খায় এমনকি ঘুমায়, তখন তাকে লক্ষ করুন। কোন
বিষয় বা বস্তু তাকে এই কাজগুলো করার সময় মনোযোগ বাড়াচ্ছে বা কমাচ্ছে,
সেদিকে নজর দিন।
* আপনার শিশুর সঙ্গে দরকারে-অদরকারে কথা বলুন। তার কথা
বলার ভঙ্গি, গলার স্বরের ওঠানামা, চোখের ভাষা অনুভব করুন। ছোট শিশুদের
ক্ষেত্রে মুখের ভাষার চেয়ে তাদের শারীরিক ভাষার (ননভারবাল ল্যাঙ্গুয়েজ)
দিকে বেশি গুরুত্ব দিন।
* গবেষণায় দেখা গেছে, তিন থেকে চার বছরের বয়সের
দিকে শিশুরা তাদের চোখের মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে সক্ষম হয়। তাদের
চোখের দৃষ্টি, অক্ষিগোলকের নড়াচড়া ইত্যাদির মাধ্যমে তারা তাদের চাওয়া-পাওয়া
বোঝাতে পারে। বাবা-মায়েরা যদি নিবিড়ভাবে এ সময় শিশুর প্রতি নজর দেন, তবে
তাদের মনের ভাব বুঝতে পারবেন।
* শিশুর কথা মন দিয়ে শুনুন। কথা শোনার সময়
তার চোখের দিকে তাকান। কোনো শব্দ বা বাক্য বলার সময় তার মুখভঙ্গির
পরিবর্তন হচ্ছে, সেদিকে লক্ষ করুন, সেই শব্দ বা বাক্যটির গুরুত্ব বুঝতে
শিখুন।* শিশুকে একান্ত সময় দিন। সে আলাদা করে আপনাকে কিছু বলতে চায় কি না, সেটি বোঝার চেষ্টা করুন।
*
যত দূর সম্ভব তার বয়সে ফিরে গিয়ে তার কল্পনার জগৎকে অনুভব করতে চেষ্টা
করুন। তার আঁকা ছবি, খাতার আঁকিবুঁকি, তার বানানো খেলনা, তার বলা
ছড়া—সবকিছুকে ভালোভাবে লক্ষ করুন। দেখা যাবে তার আঁকা একটি ছবি থেকেই আপনি
তার মনের অনেকখানি বুঝে ফেলেছেন।
* কোনো কোনো সময় শিশুকে অনুসরণ বা অনুকরণ করার চেষ্টা করুন, এর মাধ্যমে তার মনের ভেতরে প্রবেশ করাটা সহজ হতে পারে।
*
শিশুর কোনো প্রশ্ন এড়িয়ে যাবেন না, তা যতই বিব্রতকর হোক না কেন। তার বয়সের
উপযোগী করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে সেটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন। তার
প্রশ্নের ভেতরও লুকিয়ে থাকতে পারে তার চাওয়া না চাওয়া।
* শিশুর সঙ্গে হুটোপুটি করে খেলুন, হাসুন, দৌড়ান। তার আবেগকে প্রকাশ করার সুযোগ দিন।
*
আশপাশের কিছুর কারণে শিশুর মধ্যে আচরণের পরিবর্তন হচ্ছে কি না, সেটি খুঁজে
বের করার চেষ্টা করুন। কাদের সামনে গেলে শিশু ভয়ার্ত হয় আর কাদের সামনে
গেলে তার মুখ আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, সেটি নির্ধারণ করুন।* একটি জিনিস
মনে রাখবেন, আপনি যেমন আপনার শিশুর মন বুঝতে চাইছেন, শিশুও তেমনি আপনার মন
বুঝতে চাইছে এবং আশ্চর্য হলেও সত্যি যে সে আপনার চেয়ে এ বিষয়ে অনেক বেশি
দক্ষ! তাই নিজের কথা, আচরণ, চোখের ইশারাকে শিশুবান্ধব রাখুন। বাবা-মা,
শিশুর প্রতি কোনো কারণে রূঢ়, বিরক্ত, সন্দিহান হলে সে কিন্তু ঠিকই বুঝতে
পারবে, যতই তারা তা ঢেকে রাখার চেষ্টা করুক না কেন। সুত্র প্রথম আলো আগস্ট ২৬, ২০১৫
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ
ই–মেইল: soton73@gmail.com
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং
বলতে অনেকেই
শুধু ওয়েব
ডিজাইন, গ্রাফিকস
ডিজাইন বা
ডাটা এন্ট্রির
কাজ বুঝে
থাকেন।
এসবের পাশাপাশি
আরো অনেক
ধরনের কাজের
সুযোগ রয়েছে
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। এমন
কিছু কাজের
খোঁজ জানাচ্ছেন
রায়হান আহমদ
আশরাফী –
অনেক ব্যক্তি বা
প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দিয়ে ইন্টারনেটের
মাধ্যমে প্রয়োজনীয়
বিভিন্ন ধরনের
কাজ করিয়ে
নেয়।
কর্মী নিয়োগ
না করে
অন্য কাউকে
দিয়ে কাজ
করানোকে বলে
আউটসোর্সিং। যাঁরা একটি নির্দিষ্ট
প্রতিষ্ঠানে বা একটি নির্দিষ্ট পেশায়
নিয়োজিত না
থেকে নিজের
দক্ষতা ও
পছন্দ অনুযায়ী
অনলাইনে অন্যের
কাজ করে
দেন, তাঁদের
বলা হয়
ফ্রিল্যান্সার।
গতানুগতিক কাজ থেকে
একটু ভিন্ন
হওয়ায় এবং
স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকায়
অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ে
ঝুঁকছেন।
তবে আউটসোর্সিং
বলতে অনেকেই
শুধু ওয়েব
ডিজাইন, গ্রাফিকস
ডিজাইন বা
ডাটা এন্ট্রির
কাজ বুঝে
থাকেন।
প্রচলিত এসব
ট্রেডের পাশাপাশি
আরো অনেক
ধরনের কাজের
সুযোগ রয়েছে
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। জেনে
নিন এমন
কিছু কাজের
খবর ।বিস্তারিত
আউটসোর্সিং
বা ফ্রিল্যান্সিং বলতে অনেকেই শুধু ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস ডিজাইন বা ডাটা
এন্ট্রির কাজ বুঝে থাকেন। এসবের পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। এমন কিছু কাজের খোঁজ জানাচ্ছেন রায়হান আহমদ আশরাফী -
See more at:
http://www.kalerkantho.com/print-edition/chakriache/2015/08/26/260824#sthash.hZT6YOWx.dpuf
আউটসোর্সিং
বা ফ্রিল্যান্সিং বলতে অনেকেই শুধু ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস ডিজাইন বা ডাটা
এন্ট্রির কাজ বুঝে থাকেন। এসবের পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। এমন কিছু কাজের খোঁজ জানাচ্ছেন রায়হান আহমদ আশরাফী -
See more at:
http://www.kalerkantho.com/print-edition/chakriache/2015/08/26/260824#sthash.hZT6YOWx.dpuf
আউটসোর্সিং
বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত শ্রমনির্ভর। তবে তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরে পৃথিবী
এগিয়ে যাচ্ছে মেধানির্ভরতার দিকে। বাংলাদেশেও এই ধারা শুরু হয়েছে।
জনপ্রিয় সব অনলাইন কাজের বাজারে (মার্কেটপ্লেস) বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ
দশের মধ্যে।
বাংলাদেশি মুক্ত পেশাজীবীদের (ফ্রিল্যান্সার) কাজ যেখানে সারা
বিশ্বে সমাদৃত, সেখানে আমাদের নিজস্ব অনলাইন কাজের বাজার নেই—মূলত এমন
চিন্তা থেকেই ২০১৩ সালে ‘আমার ডেস্ক’ নামে যাত্রা শুরু করে
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি দেশি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এখন এর নাম
বিল্যান্সার (www.belancer.com)। এই ওয়েবসাইটে দেওয়া কাজগুলো বাংলাদেশের।
বিল্যান্সারের
প্রতিষ্ঠাতা মো. শফিউল আলম বললেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য আমাদের নেই বললেই
চলে। সবাই সেবা দিয়ে যাচ্ছে, যা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে বড় করছে।
বিল্যান্সার চালু করার পেছনে এটাও বড় কারণ ছিল।
ফেসবুকে আপনি কি নিরাপদ?
নাসির খান
|
আপডেট: ০২:২৩, আগস্ট ২৪, ২০১৫
| প্রথম আলো
হুট
করে দেখলেন আপনার ফেসবুক দেয়ালে বিব্রতকর কিছু ছবি চলে এসেছে! তাও আবার
আপনার বন্ধু তালিকায় থাকা কারও কাছ থেকে। আপনার বন্ধু তালিকায় থাকা
অন্যরা যখন আপনার দেয়ালে এসে সেই ছবিগুলো দেখে বিব্রত হবেন। আবার যাঁর
মাধ্যমে ছবিগুলো এসেছে, তাঁর সম্পর্কেও আপনার বিরূপ ধারণা হতে পারে। এ
ছাড়া আপনার অতি ব্যক্তিগত ছবি কিংবা তথ্য ফেসবুকে আছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত
কেউ ব্যবহার করলেও আপনি বিপদে পড়তে পারেন। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর
সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডেস্কটপ ও মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন
সেবা ব্যবহার করছেন অনেকেই। ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান জানানোর ওয়েবসাইট
অ্যালেক্সার তথ্যমতে,
বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো ফেসবুক।
ব্যবহারের সময় যথেষ্ট সতর্ক না হওয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি
অনাকাঙ্ক্ষিত কারও ব্যবহার করা, অ্যাকাউন্ট বেহাত (হ্যাকড) হওয়ার মতো
ঘটনাগুলো বাড়ছে। অথচ সাধারণ কিছু কৌশল জানা থাকলে এ রকম ঘটনা এড়িয়ে
যাওয়া সম্ভব। বিস্তারিত
ফরাসি সাংবাদিক আরনো আমেলাঁ ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের
দিনে হাজির ছিলেন ঢাকায়। সেদিন আরনো তাঁর প্রতিবেদনের জন্য ধারণ করেছিলেন
দুর্লভ সব মুহূর্ত। প্রায় ৪৪ বছর পর কীভাবে খোঁজ মিলল সেই ভিডিও চিত্রের?
পড়ুন ।
বিস্তারিত
স্মার্ট আবার কীভাবে হওয়া যায়, তাই না? মস্তিষ্কের ব্যায়াম করেই এটা সম্ভব।
যেমন আপনি চোখ বন্ধ করে এক পায়ে দাঁড়িয়ে, আরেক পা হাঁটু ভাঁজ করে মেঝের
সমান্তরালে ওপরে উঠিয়ে রেখে, দুই হাতে শক্ত করে ধরে রাখুন পাঁচ সেকেন্ড।
এটা মস্তিষ্কের একটা চমত্কার ব্যায়াম। এই ব্যায়াম আপনার চিন্তার
সংযোগসূত্রগুলো সতেজ করবে, আপনি হবেন আরও একটু প্রাণবন্ত। এ রকম আরও কিছু
ব্যায়াম আপনার আইকিউ বাড়াতে সাহায্য করবে, আপনি হবেন আরও স্মার্ট।
১.
যাঁদের ডান হাত প্রধান, তাঁরা বাঁ হাতে দাঁত ব্রাশ করুন। গবেষণায় দেখা
গেছে, হাত থেকে পাওয়া স্পর্শানুভূতির তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রয়োগের মাধ্যমে
মস্তিষ্কের যে অংশ কাজ করে, তার বিপরীত অংশ ব্যবহারের মাধ্যমে সেই সক্রিয়
এলাকার দ্রুত প্রসারণ ঘটে। এতে মন সজীব হয়।
২. গোসলের সময় চোখ বন্ধ করে
ঝরনার নিচে দাঁড়িয়ে শুধু হাতের স্পর্শ দিয়ে অবস্থান বুঝে নিয়ে পানির কল
ঘুরিয়ে পানি ছাড়ুন। যদি ঠান্ডা-গরম পানি মেশানোর ব্যবস্থা থাকে, তাহলে দুই
হাতে দুই কল সাবধানে ঘুরিয়ে প্রয়োজনীয় উষ্ণতার পানি প্রবাহ নিশ্চিত করুন।
এরপর চোখ বন্ধ রেখেই সাবান দিন, শ্যাম্পু করুন।
৩. দেয়াল থেকে ফ্রেমে
বাঁধানো ছবি নামিয়ে চোখের সামনে উল্টো করে ধরুন। যখন ছবি সোজাভাবে থাকে,
আপনার মস্তিষ্কের বাঁ পাশ দেখে সব ঠিক আছে। তখন মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়।
কিন্তু যখন দেখে ছবিটা উল্টো হয়ে ঝুলছে, তখন মস্তিষ্কের ডান অংশ কাজ শুরু
করে। ছবির রং, আকার ও গোলমেলে অবস্থানের সঙ্গে চারপাশের সম্পর্কসূত্র
বিশ্লেষণের চেষ্টা করে।
৪. অপরিজ্ঞাত বা খেয়ে অভ্যস্ত নন এমন খাবার
গ্রহণ করুন। আমাদের ঘ্রাণেন্দ্রীয় নাকের মধ্যে রিসেপ্টরগুলোর প্রয়োজনীয়
সম্মিলন ঘটিয়ে হাজার হাজার গন্ধের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে। এর সঙ্গে
মস্তিষ্কের আবেগ-অনুভূতি কেন্দ্রের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই নতুন গন্ধ
অভাবনীয় অনুভূতি ও সম্পর্কসূত্র গড়তে পারে।
৫. সারা দিনের কাজের মধ্য
দিয়ে আরও বেশি সামাজিক সংযোগ তৈরি করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক
বিচ্ছিন্নতা আরও জানা-বোঝার পথে বাধা সৃষ্টি করে। তাই যত বেশি সম্ভব
মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করুন।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট, এশিয়া, এপ্রিল ২০১৫
আব্দুল কাইয়ুম
|
আপডেট: ০২:০৩, আগস্ট ০৮, ২০১৫ prothom alo
এটা কোনো বিষয় হলো! রাতের খাবার তো রাতেই খাব, এর মধ্যে আবার ‘কখন’ কেন,
তাই না? আসুন, দেখা যাক এখানে ‘কিন্তু’ ওঠে কেন। ইউরোপ-আমেরিকায় সাধারণত
সন্ধ্যা না হতেই রাতের খাবারের পাট চুকে যায়, যাকে বলা হয় ডিনার। আমাদের
দেশেও গ্রামের মানুষ সাধারণত সন্ধ্যা রাতেই খেয়ে নেয়। অবশ্য আগে গ্রামে
বিদ্যুৎ না থাকায় বেশি রাত অবধি না খেয়ে জেগে থাকার উপায় ছিল না। এখন
বিদ্যুৎ থাকলেও আগের সেই অভ্যাস রয়ে গেছে। কিন্তু শহরের মানুষের অভ্যাস
প্রায় বিপরীত। একটু বেশি রাতে খাওয়ার চলই বেশি। এই দুই রীতির মধ্যে কোনটা
ভালো? এ বিষয়ে নিউইয়র্কের ডা. জেমি এ আউফম্যানের কিছু পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ
আমাদের উপকারে লাগতে পারে।
১. অনেকেরই হয়তো অভিজ্ঞতা
আছে যে বেশি রাতে খেলে একটু অসুবিধা হয়। ঢেকুর ওঠে, গলা জ্বালা করে।
মাথাব্যথা, ফুসফুসে প্রদাহ হয়। রাত ১১টায় খাবার খান, এমন অনেক মার্কিন এসব
উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন।
২. বেশি দিন এ রকম
হলে এমনকি খাদ্যনালির ক্যানসার হতে পারে বেল ধারণা করা হয়। এক পরিসংখ্যানে
দেখা গেছে, ১৯৭০-এর দশকের পর থেকে বিগত বছরগুলোতে খাদ্যনািলর ক্যানসার
প্রায় ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অ্যাসিড সমস্যার জন্য ভুক্তভোগীরা সাধারণত
যেসব ওষুধ সেবন করেন, সেগুলো বেশি দিন ব্যবহার করলে ক্যানসারের আশঙ্কা
বাড়তে পারে।
৩. কেন ্অ্যাসিড সমস্যা হয়?
চিকিত্সাবিজ্ঞানীরা বলেন, এর একটি কারণ হতে পারে খাদ্যতালিকায় চিনি ও
চর্বিসমৃদ্ধ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাড়াবাড়ি। অপর একটি কারণ হতে পারে
খাওয়ার সময়কাল। বেশি রাতে খাওয়ার সঙ্গে খাদ্যনালির ক্যানসারের একটি সম্পর্ক
থাকতে পারে।
৪. যুক্তরাষ্ট্রে আজকাল অনেকে বেশি রাত
পর্যন্ত কাজ করেন। সকালে অনেকে নাশতাই করেন না, দুপুরে সামান্য স্যান্ডউইচ।
এরপর বেশি রাতে ভরপেট খেয়ে সোফায় শুয়ে টেলিভিশন দেখে ঘুম! এর ফলে অ্যাসিড
ঢেকুরের প্রকোপ বাড়ে। কারণ সোজা হয়ে বসে কাজ করলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি
পাকস্থলীতে খাদ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু শুয়ে থাকলে খাদ্য পরিপাকে
নিঃসৃত অ্যাসিড সহজে উপচে গলার দিকে চলে আসতে পারে।
৫.
তাই ঘুমানোর অন্তত তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিলে এসব সমস্যা অনেক
কমে যায়। এ জন্য খাদ্যাভ্যাস বদলানো দরকার। কাজটা কঠিন। কিন্তু দুঃসাধ্য
নয়। চলুন না ফিরে যাই আমাদের চির প্রচলিত গ্রামের সংস্কৃতিতে। সকালে ভরপেট,
দুপুরে মোটামুটি, আর সন্ধ্যায় অল্প খাওয়া। এরপর ঘণ্টা তিনেক জরুরি কিছু
কাজ সেরে নেওয়া যায়, তারপর ঘুম!। এই নিয়ম মেনে চললে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। prothom alo আগস্ট ২২, ২০১৫
(সূত্র রিডার্স ডাইজেস্ট, এশিয়া,