স্ট্রোক মস্তিষ্কের রক্তনালীর রোগ। যদি কোনো
কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালী বন্ধ অথবা ফেটে যায়, তবে শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। এই
লক্ষণ যদি এক দিনের বেশি থাকে তবে তাকে স্ট্রোক বলে। শারীরিক লক্ষণ যেমন- শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। লিখেছেন ডা: সিলভিয়া তাবাসসুম
স্ট্রোক ও
হার্ট অ্যাটাক কি এক?
না, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক সম্পূর্ণ ভিন্ন রোগ। অনেকেই এ সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে থাকে। এই ভুল ধারণার কারণেই স্ট্রোক হলে রোগীকে সাথে সাথে হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্ট্রোক মস্তিষ্কের রক্তনালীর রোগ এবং হার্ট অ্যাটাক হৃৎপিণ্ডের রোগ।
স্ট্রোক কেন হয়?
কোনো কারণে যদি মস্তিষ্কের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায় বা ফেটে যায় তবে স্ট্রোক হয়। মনে রাখতে হবে স্ট্রোক কখনো আঘাতজনিত কারণে হয় না।
কী কী ঝুঁকির কারণে স্ট্রোক হয়?
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বেশি বয়স, ধূমপান, হৃৎপিণ্ডের নানাবিধ সমস্যা, মস্তিষ্কের রক্তনালী সরু হয়ে গেলে, রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলই স্ট্রোকের প্রধান কারণ। তা ছাড়া পুরুষদের মহিলাদের চেয়ে স্ট্রোকের আধিক্য বেশি হয়। মানসিক চাপ আধিক্য জীবনব্যবস্থা, আগে স্ট্রোক হওয়া এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়া স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।
স্ট্রোক হলে কিভাবে বুঝবেন?
মস্তিষ্কের কোনো স্থানে রক্তনালী বন্ধ বা ফেটে গেছে তার ওপর নির্ভর করে স্ট্রোকের লক্ষণগুলো। এ লক্ষণগুলো দেখেই স্ট্রোক বোঝা যায়।
না, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক সম্পূর্ণ ভিন্ন রোগ। অনেকেই এ সম্পর্কে ভুল ধারণা পোষণ করে থাকে। এই ভুল ধারণার কারণেই স্ট্রোক হলে রোগীকে সাথে সাথে হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্ট্রোক মস্তিষ্কের রক্তনালীর রোগ এবং হার্ট অ্যাটাক হৃৎপিণ্ডের রোগ।
স্ট্রোক কেন হয়?
কোনো কারণে যদি মস্তিষ্কের রক্তনালী বন্ধ হয়ে যায় বা ফেটে যায় তবে স্ট্রোক হয়। মনে রাখতে হবে স্ট্রোক কখনো আঘাতজনিত কারণে হয় না।
কী কী ঝুঁকির কারণে স্ট্রোক হয়?
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বেশি বয়স, ধূমপান, হৃৎপিণ্ডের নানাবিধ সমস্যা, মস্তিষ্কের রক্তনালী সরু হয়ে গেলে, রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরলই স্ট্রোকের প্রধান কারণ। তা ছাড়া পুরুষদের মহিলাদের চেয়ে স্ট্রোকের আধিক্য বেশি হয়। মানসিক চাপ আধিক্য জীবনব্যবস্থা, আগে স্ট্রোক হওয়া এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়া স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।
স্ট্রোক হলে কিভাবে বুঝবেন?
মস্তিষ্কের কোনো স্থানে রক্তনালী বন্ধ বা ফেটে গেছে তার ওপর নির্ভর করে স্ট্রোকের লক্ষণগুলো। এ লক্ষণগুলো দেখেই স্ট্রোক বোঝা যায়।
যেমন- ১. কোনো পাশ দুর্বল হওয়া বা সম্পূর্ণ অচল হয়ে যাওয়া।
২. কথা বলতে সমস্যা ৩. ঢোক গিলতে অসুবিধা ৪. দৃষ্টি সমস্যা ৫. প্রস্রাবে অসুবিধা ৬. মাথা ঘুরানোসহ নানাবিধ সমস্যা হতে পারে।
প্রতি বছর আমাদের দেশে কত লোক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়?
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতিবছর প্রতিহাজারে আড়াই থেকে পাঁচজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। সে হিসেবে আমাদের দেশে কমপক্ষে পাঁচ লাখ লোক প্রতি বছর নতুনভাবে এই রোগে আক্রান্ত হয়।
স্ট্রোকের
ভয়াবহতা কতখানি?
স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের অনেকেই বেঁচে যান এবং কিছু মারা যান। যারা বেঁচে থাকেন তাদের বেশির ভাগই পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে থাকে। পঙ্গুত্বের কথা ধরা হলে এটাই পঙ্গুত্বের প্রথম কারণ। পঙ্গুত্বই স্ট্রোকের ভয়াবহ রূপ।
স্ট্রোকের চিকিৎসা কী?
স্ট্রোকের চিকিৎসাকে কয়েক স্তরে ভাগ করে থাকি?
প্রথম স্তর : সাধারণ চিকিৎসা যেমন- পালস, শ্বাস-প্রশ্বাস, ঠিকভাবে চলছে কি না এবং রক্তচাপ ঠিক আছে কি না তা নিরূপণ করা এবং স্বাভাবিক রাখা। রোগীর পুষ্টি ঠিক রাখার জন্য সঠিক খাদ্য সরবরাহ করা, প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর এপাশ-ওপাশ করে শোয়ানো। রোগী ঠিকমতো মলমূত্র ত্যাগ করছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দ্বিতীয় স্তর : স্ট্রোকের কারণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা, যেমন- রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস এবং ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আনা।
তৃতীয় স্তর : কোনো জটিলতা দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণে নেয়া। যেমনÑ জ্বর, নিউমোনিয়া, লবণের স্বল্পতা হলে তা সাথে সাথে ঠিক করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।
স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের অনেকেই বেঁচে যান এবং কিছু মারা যান। যারা বেঁচে থাকেন তাদের বেশির ভাগই পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে থাকে। পঙ্গুত্বের কথা ধরা হলে এটাই পঙ্গুত্বের প্রথম কারণ। পঙ্গুত্বই স্ট্রোকের ভয়াবহ রূপ।
স্ট্রোকের চিকিৎসা কী?
স্ট্রোকের চিকিৎসাকে কয়েক স্তরে ভাগ করে থাকি?
প্রথম স্তর : সাধারণ চিকিৎসা যেমন- পালস, শ্বাস-প্রশ্বাস, ঠিকভাবে চলছে কি না এবং রক্তচাপ ঠিক আছে কি না তা নিরূপণ করা এবং স্বাভাবিক রাখা। রোগীর পুষ্টি ঠিক রাখার জন্য সঠিক খাদ্য সরবরাহ করা, প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর এপাশ-ওপাশ করে শোয়ানো। রোগী ঠিকমতো মলমূত্র ত্যাগ করছে কি না সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
দ্বিতীয় স্তর : স্ট্রোকের কারণগুলো নিয়ন্ত্রণ করা, যেমন- রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস এবং ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আনা।
তৃতীয় স্তর : কোনো জটিলতা দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণে নেয়া। যেমনÑ জ্বর, নিউমোনিয়া, লবণের স্বল্পতা হলে তা সাথে সাথে ঠিক করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।
চতুর্থ স্তর : সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা :
১. Intra luminal thrombolysis
২. Stenting
৩. Coiling
৪. Embolization
পঞ্চম স্তর : প্রতিরোধ
ষষ্ঠ স্তর : পুনর্বাসন
১. Intra luminal thrombolysis
২. Stenting
৩. Coiling
৪. Embolization
পঞ্চম স্তর : প্রতিরোধ
ষষ্ঠ স্তর : পুনর্বাসন
স্ট্রোককে কি
প্রতিরোধ করা যায়?
অনেক ক্ষেত্রেই স্ট্রোককে প্রতিরোধ করা যায়। এটা নির্ভর করবে রোগীর ভেতর কোন ধরনের ঝুঁকি বিদ্যমান।
প্রতিরোধের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেয়া যায়?
১. আগে উল্লিখিত কারণগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা, যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আনা। যাদের আগে স্ট্রোক হয়েছে তারা প্রতিদিন Aspirin/Clopidogrel নিয়মিত খেলে পরবর্তী স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
ষ রক্তনালী সরু হয়ে গেলে Stenting করা
ষ রক্তনালীর Aneurysm থাকলে coiling করা
ষ রক্তনালীর AVM থাকলে embolization করা।
ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি কী?
বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে মস্তিষ্কের রক্তনালীর ত্রুটি দূর করা বা প্রয়োজনে সম্পূর্ণ রক্তনালী বন্ধ করে দেয়া। এটা একটি সার্জিক্যাল বিষয় বটে তবে এতে কোনো ছুরি-কাঁচির ব্যবহার নেই।
অনেক ক্ষেত্রেই স্ট্রোককে প্রতিরোধ করা যায়। এটা নির্ভর করবে রোগীর ভেতর কোন ধরনের ঝুঁকি বিদ্যমান।
প্রতিরোধের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেয়া যায়?
১. আগে উল্লিখিত কারণগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা, যেমন- ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আনা। যাদের আগে স্ট্রোক হয়েছে তারা প্রতিদিন Aspirin/Clopidogrel নিয়মিত খেলে পরবর্তী স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
ষ রক্তনালী সরু হয়ে গেলে Stenting করা
ষ রক্তনালীর Aneurysm থাকলে coiling করা
ষ রক্তনালীর AVM থাকলে embolization করা।
ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি কী?
বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে মস্তিষ্কের রক্তনালীর ত্রুটি দূর করা বা প্রয়োজনে সম্পূর্ণ রক্তনালী বন্ধ করে দেয়া। এটা একটি সার্জিক্যাল বিষয় বটে তবে এতে কোনো ছুরি-কাঁচির ব্যবহার নেই।
এ পদ্ধতিটি
কিভাবে করা হয়?
সাধারণত ডান পায়ের গোড়ার দিকে ১০ সিসি লোকাল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অবশ করা হয়। তারপর ফেমোরাল ধমনীর মধ্যে একটি সূচ ঢুকানো হয় এবং সূচের মধ্য দিয়ে ফেমোরাল সিথ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। তারপর সূচটি খুলে ফেলা হয়। পরবর্তীকালে ফেমোরাল সিথের মধ্য দিয়ে Angiographic Catheter ঢুকিয়ে আস্তে আস্তে ওটাকে মস্তিষ্কের ভেতর (ব্রেনের মধ্য) নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি কাজ এই ক্যাথেটারের মাধ্যমে করা হয়।
সাধারণত ডান পায়ের গোড়ার দিকে ১০ সিসি লোকাল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অবশ করা হয়। তারপর ফেমোরাল ধমনীর মধ্যে একটি সূচ ঢুকানো হয় এবং সূচের মধ্য দিয়ে ফেমোরাল সিথ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। তারপর সূচটি খুলে ফেলা হয়। পরবর্তীকালে ফেমোরাল সিথের মধ্য দিয়ে Angiographic Catheter ঢুকিয়ে আস্তে আস্তে ওটাকে মস্তিষ্কের ভেতর (ব্রেনের মধ্য) নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি কাজ এই ক্যাথেটারের মাধ্যমে করা হয়।
0 comments:
Post a Comment
পাঠকের মন্তব্য আবশ্যক