করোনা ভাইরাস হতে নিরাপদ থাকার দোয়া। |
বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ১১৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এ রোগটি। ইসলাম শান্তির
ধর্ম। কল্যাণের ধর্ম। মুক্তির ধর্ম। মানবজীবনের সব সমস্যার সমাধান আছে বলেই এই ব্যাপক
হারে মানুষ আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হলে আল্লাহ পাক পৃথিবীতে গজব নাজিল করেন; যাতে মানুষ তাদের ভুল বুঝতে পেরে তাওবার মাধ্যমে আবার ফিরে আসতে পারে। এই গজব
বা মহামারি আসলে তখন করণীয় কী? ইসলামে এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা
রয়েছে। যে কোন মহামারি থেকে বাঁচতে প্রথম ও প্রধান করণীয় হচ্ছে- নিজেদের কৃতকর্ম
থেকে তাওবা করা এবং বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। এই মুহূর্তে
আমাদের সবার উচিত, মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং অশ্লীলতা
থেকে বিরত থাকা। সর্বদা পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকা। কারণ, কিয়ামতের নিদর্শনগুলোর একটি হলো মহামারি।
মহামারি প্রসঙ্গে
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এটি আল্লাহর গজব বা শাস্তি, বনি ইসরাঈলের এক গোষ্ঠীর ওপর এসেছিল, তার বাকি অংশই
হচ্ছে মহামারি। অতএব, কোথাও মহামারি দেখা দিলে এবং সেখানে তোমরা
অবস্থানরত থাকলে সে জায়গা থেকে চলে এসো না। অন্যদিকে কোনো এলাকায় এটা দেখা দিলে
এবং সেখানে তোমরা অবস্থান না করলে সে জায়গায় যেয়ো না। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস : ১০৬৫)
তাই আমাদের উচিত, যেখানে এ ধরনের রোগের প্রকোপ দেখা দেবে, সেখানে যাতায়াত
থেকে বিরত থাকা। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে সরকারিভাবে করোনা আক্রান্ত দেশগুলোতে
যাতায়াত বন্ধ ও সতর্কতা জারি করেছে সরকার। যেহেতু চিকিৎসকদের মতে এ ভাইরাসটি একজনের দেহ থেকে
আরেকজনের দেহে ছড়ায়। সাধারণত ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো তীব্র নিউমোনিয়া সিনড্রোমের
মতো করেই এ ভাইরাস ছড়ায়।
মহামারি আল্লাহর
গজব হলেও এতে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে পাপী-জাহান্নামি মনে করা যাবে না। রাসুল
(সা.)-এর ভাষায় মহামারিতে মারা যাওয়া ব্যক্তিও শহীদ। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে
বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, পাঁচ প্রকার মৃত শহীদ—মহামারিতে মৃত, পেটের পীড়ায় মৃত, পানিতে ডুবে মৃত, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত এবং যে আল্লাহর পথে
শহীদ হলো। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৮২৯) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল
(সা.) বলেছেন, মহামারিতে মৃত্যু হওয়া প্রতিটি মুসলিমের জন্য
শাহাদাত। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৮৩০)
সম্প্রতি
বিশ্বজুড়ে বিপুল আতঙ্ক তৈরি করেছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। ইতিমধ্যে আমাদের
দেশেও এর সংক্রাম দেখা দিয়েছে ।কয়েকজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। রোগতত্ত্ব,
রোগনিয়ন্ত্রণ ও
গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। যেহেতু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোনও চিকিৎসা বা প্রতিষেধক নেই, তাই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতাই এ ভাইরাসের
সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় কী তা
জানার আগে চলুন জেনে নিই এর লক্ষণগুলো কী কী-
১.
সর্দি
২.
কাশি
৩.
জ্বর
৪.
মাথা ব্যথা
৫.
গলা ব্যথা
৬.
মারাত্মক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
৭.
শিশু, বৃদ্ধ ও কম
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস।
এখনও
এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়ায় বিস্তার রোধই এর প্রতিরোধের উপায়। চলুন
জেনে নেওয়া যাক এর বিস্তার রোধে কী করবেন-
১.
মাঝে মাঝে সাবান-পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া
২.
হাত না ধুয়ে মুখ, চোখ
ও নাক স্পর্শ না করা
৩.
হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা
৪.
ঠাণ্ডা বা ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে না মেশা
৫.
মাংস ও ডিম খুব ভালোভাবে রান্না করা
৬.
বন্য জীবজন্তু কিংবা গৃহপালিত পশুকে খালি হাতে স্পর্শ না করা
৭.
মুখে মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে
নবিজি (সা.) মহামারি থেকে বাঁচতে বেশি বেশি এই
দোয়া পড়তে বলেছেন,
( করোনা ভাইরাস হতে নিরাপদ থাকার দোয়া। )
اللَّهمَّ إِنِّي أَعُوُذُ بِكَ مِنَ
الْبرَصِ، وَالجُنُونِ، والجُذَامِ، وسّيءِ الأَسْقامِ.
বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নি
আ’য়ুজুবিকা মিনাল বারাছ, ওয়াল জুনুন ওয়াল জুযাম, ওয়া সায়্যিইল আসক্বাম।
বাংলা অর্থ:
হে আল্লাহ, আমি তোমার নিকট ধবল, কুষ্ঠ এবং উন্মাদনাসহ সব ধরনের কঠিন
দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে পানাহ চাই।
( তিরমিযী শরীফ - ৩৪৩২)
করোনা ভাইরাস থেকে বা যে কোন মহামারী কেন হয় এবং এর থেকে বাচার উপায় প্রায় ১৪৫০ বছর আগে রাসূল হজরত মোহাম্মাদ মোস্তফা (সাঃ) এর ভবিষ্যতবানী করেছিলেন. ক্লিক ভিডিও লিঙ্ক
https://web.facebook.com/BdNewsTracker/posts/2733592603541229
করোনা ভাইরাস থেকে বা যে কোন মহামারী কেন হয় এবং এর থেকে বাচার উপায় প্রায় ১৪৫০ বছর আগে রাসূল হজরত মোহাম্মাদ মোস্তফা (সাঃ) এর ভবিষ্যতবানী করেছিলেন. ক্লিক ভিডিও লিঙ্ক
https://web.facebook.com/BdNewsTracker/posts/2733592603541229
আল্লাহ তায়ালা
আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এছাড়া, লক্ষণ দেখা দিলে বাড়তি বিশ্রাম নিয়ে প্রচুর পানি পান করতে হবে এবং করোনা চিকিৎসায় বাংলাদেশ সরকার এর নির্ধারিত হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।সরকারের সকল নির্দেশনা ও পরামর্শ মেনে চলতে হবে ।
কোয়ারেন্টাইন:
আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ মনে হলেও সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন ব্যক্তিকে জনসমাগম থেকে আলাদা করে চিকিৎসকের নজরদারিতে রাখার নাম হলো কোয়ারেন্টাইন ।
আইসোলেশন:
আইসোলেশন হলো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ও অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে আলাদা করে রাখার প্রক্রিয়া। সংক্রমণ রোধে অসুস্থ রোগীদেরকে আইসোলেশনে রাখা হয়। বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত সন্দেহে ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা হয়।
বিশ্বজুড়ে
ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে এটি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ দেয়ার
জন্য হটলাইন চালু করেছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও
গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর।নম্বরগুলো হলো- ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৪০১১৮৪৫৫১,
০১৪০১১৮৪৫৫৪ ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০,
০১৪০১১৮৪৫৬৩ ও ০১৪০১১৮৪৫৬৮।। এসব নম্বরে ফোন
করলে জানা যাবে করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ। পাশাপাশি, কোথাও ঝুঁকিপূর্ণ কাউকে দেখলেও হটলাইনে কিংবা
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
কোন প্রকার গুজবে কান দিবেন না বা গুজব ছড়াবেন না ।বাচতে হলে মানতে হবে ।
করোনা ভাইরাস হতে নিরাপদ থাকার দোয়া। |
করোনা মানে কোন পাপ কাজ করোনা। প্রকৃতির কোনো ক্ষতি করোনা । হারাম হালাল মেনে চলো ।এটাই প্রকৃতির মেসেজ।
তাই করোনা থেকে বাচতে হলে সুন্দর জীবন বাবস্থার জন্য আল্লাহর কাছে করুনা ভিক্ষা চাও।
করোনা ভাইরাস এর ঔষধ হলো Q7 মানে সূরা ফাতেহা বেশি করে পড়তে হবে ।
কোন প্রকার গুজবে কান দিবেন না বা গুজব ছড়াবেন না ।বাচতে হলে মানতে হবে ।
নিজে সতর্ক থাকুন অন্যকে সতর্ক করুন ।
বিডি নিউজ ট্র্যাকার সম্পাদক
0 comments:
Post a Comment
পাঠকের মন্তব্য আবশ্যক