সঙ্গীটির মন সবসময়
যে ভাল
থাকবে তা
কিন্তু নয়। কখনো
কখনো প্রিয়
মানুষটির মন
খারাপ থাকতে
পারে।
প্রিয় মানুষের
মন খারাপ
আপনারও মনকেও
খারাপ করে
তোলে তার
মন ভাল
করার জন্য
কত চেষ্টাই
না করেন। এই
সময় তাকে
নেতিবাচকতা থেকে বের করে নিয়ে
আসা আপনার
দায়িত্ব।একজন মানুষের
যখন মন
খারাপ থাকে
তখন নেতিবাচক
চিন্তা, হতাশা
তাকে ঘিরে
ধরে।.
প্রিয় মানুষটিকে খুশি করার কিছু উপায় ।
১। ইতিবাচক
কথা
যখন কারো মন
খারাপ থাকে
সবরকম নেতিবাচক
চিন্তা,হতাশা
ঘিরে ধরে। এইসময়
আপনার ইতিবাচক
কথা, উৎসাহ
এবং আপনার
সঙ্গ তাকে
রিল্যাক্স করে তোলে। আপনার
সঙ্গ তাকে
ভরসা দিবে
যে আপনি
তার দুঃসময়েও
তার পাশে
থাকবেন।
তাকে ছেড়ে
যাবেন না।
২। মেসেজ
করুন
মন খারাপের সময়
আপনার সঙ্গী
একা থাকতে
চাইতে পারে। কিন্তু
একা থাকলে
সে আরও
বেশি হতাশ
হয়ে পরবে। তাই
তাকে একা
থাকতে দিবেন
না।
তাকে মেসেজ
করুন।
তাকে বলুন
আপনি তার
সাথে সবসময়
সব অবস্থাতে
আছেন এবং
থাকবেন।
৩। হেড
ম্যাসাজ
যেকোন স্ট্রেস দূর
করতে হেড
ম্যাসাজের তুলনা নেই। গবেষণায়
দেখা গেছে
ম্যাসাজ রক্ত
চলাচল সচল
করে মন
রিলাক্স করে
দেয়।
আপনার প্রিয়
মানুষটিকে হেড ম্যাসাজ করুন, এটি
তাকে অনেকটা
রিলাক্স করে
তুলবে।
৪। পছন্দের
কোন মুভি
দেখা
আপনার প্রিয় মানুষটির
পছন্দের কোন
মুভি দেখুন
এক সাথে। সাময়িকভাবে
হলেও এটি
তার হতাশা,
মন খারাপ
দূর করে
দিবে।
৫। প্রশংসা
করুন
তার প্রশংসা করুন। তার
ভুলকে সহজভাবে
দেখুন।
তাকে বলুন
দুঃসময় সবার
জীবনে আসে,
তাই বলে
হতাশ হলে
হবে না। দুঃখ,
কষ্টের পর
আনন্দ আসবে
এটিই প্রকৃতির
নিয়ম।
তাই বলে
হতাশ হওয়া
চলবে না।
৬। উপহার
দিন
প্রিয় মানুষটির মন ভাল করার উপায়
উপহার সব মানুষই
পছন্দ করে। আপনার
প্রিয় মানুষটিও
এর ব্যতিক্রম
নয়।
ভাল হয়
তার পছন্দের
কিছু উপহার
দিলে।
এটি তার
মনকে খুশি
করে দিবে।
বিষণ্ণতা এমনভাবে একজন
মানুষকে জেঁকে
বসে, যে
তার আশেপাশে
থেকেও তার
একাকীত্ব কমাতে
পারেন না
পরিবার-পরিজনেরা। শারীরিক
এবং মানসিক
উভয় ধরণের
ক্ষতির সম্মুখীন
হতে থাকেন
এই মানুষটি। কিন্তু
কী বললে
তার মন
ভালো হয়ে
যাবে, একটু
হলেও কমবে
বিষণ্ণতা, তা বুঝে উঠতে পারি
না আমরা
অনেকেই।
বিষণ্ণতায় ভোগা একজন
মানুষ অনেক
বেশি কষ্ট
পায়, যখন
তার আশেপাশের
মানুষেরা এটা
বুঝতে চায়
না বিষণ্ণতা
আসলে কত
বেশি প্রভাব
ফেলছে তার
জীবনে।
কখনোই বিষণ্ণতাকে
এলেবেলে ব্যাপার
বলে উড়িয়ে
দেওয়া যাবে
না।
বুঝতে হবে ব্যাপারটির
গুরুত্ব সেই
মানুষটির জীবনে
কতো বড়। তিনি
যখন জানতে
পারবে যে
আপনি তার
সমস্যাটি বুঝতে
পারছেন, তখনই
তার কষ্টটা
ভাগাভাগি করে
নিতে পারবেন
আপনি।
দেখে নিন
বিষণ্ণ মানুষটির
মন ভালো
করে দেবার
জন্য কী
কী বলতে
পারেন আপনি।
১) আমি তোমার
পাশেই আছি
কখনো কখনো আপনার
কাছে যা
খুব ক্ষুদ্র
একটি ব্যাপার,
বিষণ্ণ মানুষটির
জন্য সেটাই
অনেক বড়
প্রাপ্তি।
আপনার এই
একটি কথায়
অনেকটা ভরসা
পাবেন তিনি,
বুঝতে পারবেন
তাকে সাহায্য
করার মানুষ
আছে কাছাকাছিই। বিষণ্ণতার
বিরুদ্ধে যুদ্ধে
ছোট ছোট
কাজেই তার
পাশে থেকে
তাকে এভাবে
ভরসা জোগাতে
পারেন আপনি।
২) তুমি একা
নও
ভীষণ অন্ধকার সুড়ঙ্গের
মধ্য দিয়ে
একাকী হেঁটে
যাবার মতো
অনুভূতির জন্ম
দিতে পারে
বিষণ্ণতা।
তিনি ভাবতে
থাকেন কেউ
তার সঙ্গ
দেবে না,
একাকী বিষণ্ণতার
মাঝেই কেটে
যাবে তার
জীবন।
এই যাত্রায়
তার পাশে
কেউ আছে,
এমন অনুভূতি
তার জন্য
খুবই জরুরী। তার
এই একাকীত্ব
দূর করতে
পারাটা একটা
বড় পাওয়া।
৩) এখানে তোমার
কোনো দোষ
নেই
অনেক ক্ষেত্রেই পরিবারের
মানুষেরা বুঝতে
পারেন না
যে বিষণ্ণতা
এমন একটি
জটিলতা যার
থেকে ইচ্ছে
করলেই বের
হয়ে আসা
যায় না। তাদের
ভুল ধারণার
কারণে বিষণ্ণতায়
ভোগা মানুষটি
নিজেকেই দোষী
মনে করতে
থাকেন যা
তার মানসিক
অবস্থা আরও
খারাপ করে
তোলে।
এমন সময়ে তাকে
যদি বোঝানো
যায় যে
তার আসলে
কোনো দোষ
নেই, তবে
অনেকটা হালকা
অনুভব করতে
পারেন তিনি। কমে
যায় তার
কষ্টটা।
৪) আমি তোমার
সাথে যাচ্ছি
একা একা কোথাও
যাবার ব্যাপারটা
আমাদের কাছে
সহজ মনে
হলেও, বিষণ্ণতায়
আক্রান্ত মানুষটির
জন্য ততটা
সহজ নয়। হয়তো
তিনি যাচ্ছে
থেরাপিস্টের কাছে, অথবা ওষুধ কিনতে
বা শুধুই
বাইরে হাঁটতে
যাচ্ছেন, এমন
সময়টাতেও আপনার
সঙ্গ তাকে
দেবে ভরসা।
বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি
পাওয়া এক
দিনে সম্ভব
নয়।
কিন্তু আপনি
তাকে সঙ্গ
দিলে তিনি
বুঝতে পারবেন
যে যত
সময়ই লাগুক
না কেন
আপনাকে পাশে
পাচ্ছেন তিনি।
৫) তোমার জন্য
কী করতে
পারি?
তার জন্য কিছু
করার প্রস্তাব
করতে পারেন
আপনি।
তার জন্য
যদি খুব
বড় কিছু
করার নাও
থাকে, তার
পরেও তিনি
বুঝবেন তার
স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি আপনি মনযোগী।
তার জীবনের
স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে আনতে এটা
খুবই জরুরী।
৬)কী নিয়ে
ভাবছো তুমি?
বিষণ্ণ মানুষ অনেক
সময়েই আত্মহত্যা
বা নিজের
শারীরিক ক্ষতি
করার কথা
চিন্তা করে
থাকেন।
এসব চিন্তার
কথা যে
তারা বলেন
না তা
নয়, বরং
অনেক সময়
কেউ জিজ্ঞেস
করেন না
বলেই তা
বলতে পারেন
না।
তার এই
কথাগুলো আপনি
শুনতে পারেন। তাকে
বোঝাতে পারেন
যে বিষণ্ণতার
কারণে এসব
চিন্তা মনে
আসাটা স্বাভাবিক,
কিন্তু তাই
বলে নিজের
ক্ষতি করাটা
মোটেই উচিৎ
হবে না।
৭) নীরবতা
সবসময়ে যে কথার মাধ্যমে তাকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে হবে এমনটা নয়। অনেক সময়ে একজন মানুষের নীরব উপস্থিতিটাই অনেক প্রশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিষণ্ণ একজন মানুষের কাছে।
0 comments:
Post a Comment
পাঠকের মন্তব্য আবশ্যক