হাঁটা এবং সাঁতার কাটার মতো একটি আদর্শ ব্যায়াম হিসেবে ধরা হয় সাইকেল চালনাকে। শারীরিক চর্চার অন্যান্য উপায় বা পদ্ধতির পাশাপাশি এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শহরবাসীর মধ্যে আজকাল সাইকেলে করে অফিস যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এর পেছনে তাদের মত, এতে করে জ্যাম থেকে উত্তরণের পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়ামও হয়ে যায়। তাই তারা মোটরযান নয়, বরং প্যাডেলচালিত সাইকেলকেই বেছে নিয়েছেন। বিশেষজ্ঞরাও সাইকেল চালানোর নানা উপকারিতার কথা জানিয়েছেন।
তাদের মতে, নিয়মিত সাইকেল চালানো রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, কমে রক্তচাপও। সপ্তাহে ৩৫ কিলোমিটারের মতো দূরত্ব সাইকেলে করে চড়লে হৃদরোগের ঝুঁকি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে যায়। শুধু তাই নয়, শারীরিক গঠন ঠিক রাখতেও বাইসাইকেল চালানোর ভূমিকা রয়েছে।
শরীরে ঘাম ঝরাতে হলে, হাত-পায়ের পেশিগুলোর জট ছড়াতে হলে আর পা ও কোমরের শক্তি বাড়াতে হলে সাইকেল চালানোর বিকল্প আর কিই বা হতে পারে।
ওজন কমাতেও বাইসাইকেল চালানোর ভূমিকা রয়েছে। এজন্য নিয়ম করে প্রতিদিন কিছুটা সময় সাইকেল চালাতে হবে। এজন্য সবচেয়ে ভালো হয়, সাইকেলে করে অফিসে আসা -যাওয়া করলে। এই প্রবণতা বাড়তে থাকলে শহরে বায়ুদূষণের মাত্রাও কমবে।
ইদানিং কয়েকজনকে একত্রে সাইকেল চালাতে দেখা যায়। এটা একটা ভালো দিক কারণ এতে করে নিয়মিত তা করার একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। এর ফলে একাকিত্ব থেকেও মুক্তি মিলে যা আধুনিককালের অনেকের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ
0 comments:
Post a Comment
পাঠকের মন্তব্য আবশ্যক