![http://www.bangla-news.net/wp-content/uploads/2015/10/%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF3.jpg](http://www.bangla-news.net/wp-content/uploads/2015/10/%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF3.jpg)
বিশ্বস্ততার কোনো বিকল্প নেই
সুখী সংসার
গঠনের পূর্বতম শর্ত হলো বিশ্বস্ততা। সম্পর্কের শুরু থেকেই আপনি যা সেটাই প্রকাশ করুন। চেষ্টা করবেন নিজের
জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মিথ্যাচার না করতে। নিজেদের যৌথ জীবন হোক কিংবা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত কোনো বিষয়- যে কথাটি বলা যায় না, তা বলবেন না। কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। নীরব থাকা আর মিথ্যাচারের মাঝে কিন্তু
আকাশ-পাতাল তফাৎ। তবে চেষ্টা করবেন যেন কিছু গোপন করতে না হয়।
কাজ ভাগাভাগি করে নিন
পরিবারের
দায়িত্ব দুজন মিলেই ভাগ করে নিন। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যখন চাকরিজীবী, ঘরের সব কাজ স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে না দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিন। এতে পাশাপাশি থাকার ফলে দুজনের
মধ্যে হৃদ্যতা আরও গাঢ় হবে।
আর্থিক দিক থেকে পরিষ্কার থাকুন
অর্থই অনর্থের
মূল। পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব রয়েছে। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনি নির্দিষ্ট কোনো খাতে টাকা
জমাতেই পারেন। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি আপনার সঙ্গীকে
জানানোও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও টাকা বিনিয়োগ করলে কিংবা বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের টাকা ধার দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সঙ্গীর কাছে লুকাতে
যাবেন না।
পারিবারিক বলয়
সঙ্গীর সঙ্গে
যোগাযোগের ঘাটতি হলে ধীরে ধীরে তা সমূলে সম্পর্ককে ধ্বংস করে। দাম্পত্য জীবনে একে অপরের কাছে স্বচ্ছতার বিষয়টি
খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের মধ্যে
নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। পেশাগত ব্যস্ততা, সন্তান লালন-পালন, শরীরচর্চা, ঘরের কাজ কিংবা সামাজিক কাজ নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও তার জন্য কিছু সময় অবশ্যই বরাদ্দ রাখুন।
একে অন্যকে প্রাধান্য দিন
পারস্পরিক
শ্রদ্ধাবোধ আর প্রাধান্য যে কোনো সম্পর্ককে মজবুত করতে পারে। সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করলে বন্ধন দৃঢ় হয়।
সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়ে প্রাধান্য দেওয়ায়। তাই যাকে আপনি বিয়ে করেছেন, অবশ্যই তাকে জীবনের অপরিহার্যের সম্মান দিন। সঙ্গীর অনুভূতি ও সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন।
ছাড় দেওয়ার মানসিকতা
অনেকের ধারণা, ছাড় দেওয়ার অর্থ নিজের দুর্বলতা প্রকাশ। এ জন্য কোনো অবস্থাতেই তারা সমঝোতার পথে আসতে রাজি
নন। বাস্তবতা হলো, জীবনে চলার পথে সব দম্পতিকেই অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
কখনো দুজন দুটি ভিন্ন মতের মাঝে আপনাকে দাঁড়াতে হয়। সবসময় নিজের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে সঙ্গীর মতামতকে ভালোমন্দের মানদণ্ডে মাপুন। ছাড়
দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
স্তুতিবাক্য
স্বামী-স্ত্রী
একে অপরের প্রশংসা করুন। একদম ছোট ছোট জিনিসের জন্য, হতে পারে টেবিল পরিষ্কার করার জন্য, কিনে আনা টিস্যু প্যাকেটের জন্য, আপনার কাপড় গুছিয়ে রাখার জন্য ধন্যবাদ দিতেই পারেন। ছোট একটি ধন্যবাদ কিংবা এক মুহূর্তের প্রশংসা আপনার সঙ্গীর মন
ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই।
![](http://www.deshebideshe.com/assets/news_images/be267e515854175b3c644f3185ac3f1e.jpg)
মন বুঝে চলুন
সঙ্গীর মন
রক্ষা করা কিংবা বুঝে চলার ওপরও সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে। বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা সঙ্গীর
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় করার চেষ্টা করুন। কোনোভাবেই যদি আপনি সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহজ হতে না পারেন, তাহলে অন্তত তাদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করুন। পাশাপাশি সঙ্গীর অন্য ছোটখাটো পছন্দগুলোকে
প্রাধান্য দিন।
ভালোবাসুন প্রতিদিন
দিনক্ষণ না
গুনে প্রতিদিন ভালোবাসার চর্চা করুন। আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো প্রকাশ করে প্রশংসা করুন। আদেশ, অনুযোগ কিংবা তিরস্কার নয়। ইতিবাচক, গঠনমূলক সমালোচনা করুন, এটা আপনার
সঙ্গীকে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে।
স্বাধীনতা উপভোগ
স্বাধীনতা
মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার খর্ব হলে সম্পর্কের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা এবং আচরণে অসঙ্গতি
দেখা যায়, কমে যায় শ্রদ্ধাবোধ। জীবনসঙ্গীকে তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার
স্থানগুলো অবশ্যই উপভোগ করতে দিন। তাতে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা বাড়বে বই কমবে না।
আনন্দময় যৌন জীবন
মানুষ কেবল
যৌন সম্পর্কের জন্যই বিয়ে করে, এটা খুবই ভুল
একটি ধারণা। তবে এটাই ঠিক যে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সুস্থ ও আনন্দময় যৌন সম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক
বন্ধনের মাধ্যমে মানসিক বন্ধনও দৃঢ় হয় ও দাম্পত্যে প্রতারণা অনেক কমে যায়।
বাস্তববাদী হোন
বাস্তববাদী
হওয়ার চেষ্টা করুন। দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আপনার সঙ্গীও একজন মানুষ, সঙ্গে আপনিও। দোষ-ত্রুটি বিবেচনায় রাখুন, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। নিজের দোষের জন্য অপরজনকে দায়ী না করে নিজেই দায়িত্ব নিতে শিখুন।
খোলামেলা থাকুন
দুজনের মধ্যে
কোনো বিষয় গোপন রাখবেন না। একজন আরেকজনের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। যদি আপনি কিছু গোপন রাখেন এবং পরে প্রকাশ পায়, তবে তা নিঃসন্দেহে আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা
দেখাতে গিয়ে ফেসবুক বা সেলফোনের আড়ালে এমন কিছু করবেন না যেটি আপনার সঙ্গী জানলে বিপদ হতে পারে। যদি সুযোগ থাকে এসব সোশ্যাল মিডিয়ার
ব্যাপারগুলোও একে অন্যের কাছে খোলাসা রাখতে পারেন। আপনার সততা, খোলামেলা
কথাবার্তা আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস অটুট রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
অভিমান দীর্ঘায়িত নয়
দাম্পত্য জীবনে
ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু ঝগড়া হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। বরং রাগ কমে গেলে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা
করুন ব্যাপারটি নিয়ে। যদি নিজের দোষ বেশি মনে হয়, তাহলে নিজেই উদ্যোগী হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যদি অন্য মানুষটির দোষ হয়ে থাকে, তাহলে তাকেও সময় দিন চিন্তা করার এবং ক্ষমা চাইতে উদ্যোগী হওয়ার। তার
সঙ্গে অহেতুক খারাপ ব্যবহার করবেন না।
সংযত আবেগ
খুব বেশি
ইমোশনাল হবেন না যেন। এটা পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার মূলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আসলেই আবেগ
খুব খারাপ জিনিস। যতক্ষণ এটা ইতিবাচক ততক্ষণ চমৎকার। কিন্তু নেতিবাচক মনে যে আবেগ জমাট বেঁধে ওঠে, তার কঠিন ধাক্কায় ভেসে যেতে পারে সব ধরনের মানবিক শুভবোধ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও তা সর্বনাশা আঘাত হানে।
সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা যা করবেন :
- সারাদিন একবারের জন্য হলেও দুজন
দুজনের সঙ্গে সময় কাটান অন্তত ১০ মিনিট।
- নিজের ভুল থেকে শিখুন। যখনই আপনি
বলবেন, 'আমি দুঃখিত' এর মানে 'আমি এই ভুল আর করব না' হওয়াই উচিত।
- একজন ভালো শ্রোতা হওয়াও বড় গুণ। চুপ
থাকুন এবং শুনুন। মুখ বন্ধ-কান খোলা রেখেও আপনি আপনার সঙ্গীর ভাবনা সম্পর্কে জানতে
পারবেন।
- বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন। ডায়মন্ড রিং
কিংবা দামি ঘড়ি উপহার দিতে পারছেন না বলে মন খারাপের দরকার নেই। বরং আপনার ছোট ছোট মুহূর্ত, জমানো স্মৃতি উপহার দিয়ে চমকে দিন।
- জীবন সবসময় এক রকম কাটে না। ভালো
সময়ের পর খারাপ সময় আসতেই পারে। তাই তৈরি থাকুন, মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা
করে রাখুন। এটি জীবনকে সহজ করে তুলবে।
- খারাপ সময়েও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা
করুন। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও আপনার এই চিন্তাভাবনা, হাসি আপনার
সঙ্গীকে অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেবে এবং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে।
- কোনো সম্পর্কই এক নয়, তাই অন্যের সম্পর্কের উদাহরণ না টেনে নিজেদের সম্পর্কের
সফলতা-বিফলতা থেকে শিখুন।
- বাইরের মানুষের সামনে কখনোই তর্ক
করবেন না। এটি আপনার সঙ্গীর জন্য বিব্রতকর। তবে ভালোবাসা প্রকাশে পিছপা হবেন না।
- যে যাই বলুক আপনি আপনার সঙ্গীকে মন
দিয়ে বিশ্বাস করুন, শ্রদ্ধা করুন। কোনো কিছু নিজে থেকেই ভেবে বসবেন না, রাগারাগি না করে সরাসরি প্রশ্ন করুন, ব্যাখ্যা চাইতে পারেন।
- গুরুত্বপূর্ণ কিংবা যে কোনো সিদ্ধান্ত
নেওয়ার সময় একবারের জন্য হলেও আপনার সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করুন।
- আপনার সঙ্গীকে সাফল্য পেতে উৎসাহিত
করুন, সেটা পড়ালেখার ক্ষেত্রে হোক, চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক না কেন। এতে আপনি তার
স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের যত্ন নিচ্ছেন
প্রকাশ পাবে এবং আপনাদের ভালোবাসাকে করবে শক্তিশালী।
- প্রতিদিন রোমান্সের মধ্য দিয়ে যাবে
এমন মনোভাব না রেখে বরং নিজেকে তৈরি রাখুন টেনশনের মুহূর্তে ভালো থাকার, ধৈর্য ধরুন,সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হবে।
বিশ্বস্ততার কোনো বিকল্প নেই
সুখী সংসার গঠনের পূর্বতম শর্ত হলো বিশ্বস্ততা। সম্পর্কের শুরু থেকেই আপনি যা সেটাই প্রকাশ করুন। চেষ্টা করবেন নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মিথ্যাচার না করতে। নিজেদের যৌথ জীবন হোক কিংবা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত কোনো বিষয়- যে কথাটি বলা যায় না, তা বলবেন না। কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। নীরব থাকা আর মিথ্যাচারের মাঝে কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাৎ। তবে চেষ্টা করবেন যেন কিছু গোপন করতে না হয়।কাজ ভাগাভাগি করে নিন
পরিবারের দায়িত্ব দুজন মিলেই ভাগ করে নিন। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যখন চাকরিজীবী, ঘরের সব কাজ স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে না দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিন। এতে পাশাপাশি থাকার ফলে দুজনের মধ্যে হৃদ্যতা আরও গাঢ় হবে।আর্থিক দিক থেকে পরিষ্কার থাকুন
অর্থই অনর্থের মূল। পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব রয়েছে। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনি নির্দিষ্ট কোনো খাতে টাকা জমাতেই পারেন। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি আপনার সঙ্গীকে জানানোও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও টাকা বিনিয়োগ করলে কিংবা বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের টাকা ধার দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সঙ্গীর কাছে লুকাতে যাবেন না।পারিবারিক বলয়
সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি হলে ধীরে ধীরে তা সমূলে সম্পর্ককে ধ্বংস করে। দাম্পত্য জীবনে একে অপরের কাছে স্বচ্ছতার বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। পেশাগত ব্যস্ততা, সন্তান লালন-পালন, শরীরচর্চা, ঘরের কাজ কিংবা সামাজিক কাজ নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও তার জন্য কিছু সময় অবশ্যই বরাদ্দ রাখুন।একে অন্যকে প্রাধান্য দিন
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর প্রাধান্য যে কোনো সম্পর্ককে মজবুত করতে পারে। সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করলে বন্ধন দৃঢ় হয়। সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়ে প্রাধান্য দেওয়ায়। তাই যাকে আপনি বিয়ে করেছেন, অবশ্যই তাকে জীবনের অপরিহার্যের সম্মান দিন। সঙ্গীর অনুভূতি ও সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন।ছাড় দেওয়ার মানসিকতা
অনেকের ধারণা, ছাড় দেওয়ার অর্থ নিজের দুর্বলতা প্রকাশ। এ জন্য কোনো অবস্থাতেই তারা সমঝোতার পথে আসতে রাজি নন। বাস্তবতা হলো, জীবনে চলার পথে সব দম্পতিকেই অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনো দুজন দুটি ভিন্ন মতের মাঝে আপনাকে দাঁড়াতে হয়। সবসময় নিজের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে সঙ্গীর মতামতকে ভালোমন্দের মানদণ্ডে মাপুন। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।স্তুতিবাক্য
স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রশংসা করুন। একদম ছোট ছোট জিনিসের জন্য, হতে পারে টেবিল পরিষ্কার করার জন্য, কিনে আনা টিস্যু প্যাকেটের জন্য, আপনার কাপড় গুছিয়ে রাখার জন্য ধন্যবাদ দিতেই পারেন। ছোট একটি ধন্যবাদ কিংবা এক মুহূর্তের প্রশংসা আপনার সঙ্গীর মন ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই।মন বুঝে চলুন
সঙ্গীর মন রক্ষা করা কিংবা বুঝে চলার ওপরও সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে। বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় করার চেষ্টা করুন। কোনোভাবেই যদি আপনি সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহজ হতে না পারেন, তাহলে অন্তত তাদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করুন। পাশাপাশি সঙ্গীর অন্য ছোটখাটো পছন্দগুলোকে প্রাধান্য দিন।ভালোবাসুন প্রতিদিন
দিনক্ষণ না গুনে প্রতিদিন ভালোবাসার চর্চা করুন। আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো প্রকাশ করে প্রশংসা করুন। আদেশ, অনুযোগ কিংবা তিরস্কার নয়। ইতিবাচক, গঠনমূলক সমালোচনা করুন, এটা আপনার সঙ্গীকে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে।স্বাধীনতা উপভোগ
স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার খর্ব হলে সম্পর্কের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা এবং আচরণে অসঙ্গতি দেখা যায়, কমে যায় শ্রদ্ধাবোধ। জীবনসঙ্গীকে তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্থানগুলো অবশ্যই উপভোগ করতে দিন। তাতে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা বাড়বে বই কমবে না।আনন্দময় যৌন জীবন
মানুষ কেবল যৌন সম্পর্কের জন্যই বিয়ে করে, এটা খুবই ভুল একটি ধারণা। তবে এটাই ঠিক যে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সুস্থ ও আনন্দময় যৌন সম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক বন্ধনের মাধ্যমে মানসিক বন্ধনও দৃঢ় হয় ও দাম্পত্যে প্রতারণা অনেক কমে যায়।বাস্তববাদী হোন
বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আপনার সঙ্গীও একজন মানুষ, সঙ্গে আপনিও। দোষ-ত্রুটি বিবেচনায় রাখুন, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। নিজের দোষের জন্য অপরজনকে দায়ী না করে নিজেই দায়িত্ব নিতে শিখুন।খোলামেলা থাকুন
দুজনের মধ্যে কোনো বিষয় গোপন রাখবেন না। একজন আরেকজনের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। যদি আপনি কিছু গোপন রাখেন এবং পরে প্রকাশ পায়, তবে তা নিঃসন্দেহে আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দেখাতে গিয়ে ফেসবুক বা সেলফোনের আড়ালে এমন কিছু করবেন না যেটি আপনার সঙ্গী জানলে বিপদ হতে পারে। যদি সুযোগ থাকে এসব সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারগুলোও একে অন্যের কাছে খোলাসা রাখতে পারেন। আপনার সততা, খোলামেলা কথাবার্তা আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস অটুট রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।অভিমান দীর্ঘায়িত নয়
দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু ঝগড়া হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। বরং রাগ কমে গেলে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন ব্যাপারটি নিয়ে। যদি নিজের দোষ বেশি মনে হয়, তাহলে নিজেই উদ্যোগী হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যদি অন্য মানুষটির দোষ হয়ে থাকে, তাহলে তাকেও সময় দিন চিন্তা করার এবং ক্ষমা চাইতে উদ্যোগী হওয়ার। তার সঙ্গে অহেতুক খারাপ ব্যবহার করবেন না।সংযত আবেগ
খুব বেশি ইমোশনাল হবেন না যেন। এটা পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার মূলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আসলেই আবেগ খুব খারাপ জিনিস। যতক্ষণ এটা ইতিবাচক ততক্ষণ চমৎকার। কিন্তু নেতিবাচক মনে যে আবেগ জমাট বেঁধে ওঠে, তার কঠিন ধাক্কায় ভেসে যেতে পারে সব ধরনের মানবিক শুভবোধ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও তা সর্বনাশা আঘাত হানে।সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা যা করবেন :
- সারাদিন একবারের জন্য হলেও দুজন দুজনের সঙ্গে সময় কাটান অন্তত ১০ মিনিট।- নিজের ভুল থেকে শিখুন। যখনই আপনি বলবেন, 'আমি দুঃখিত' এর মানে 'আমি এই ভুল আর করব না' হওয়াই উচিত।
- একজন ভালো শ্রোতা হওয়াও বড় গুণ। চুপ থাকুন এবং শুনুন। মুখ বন্ধ-কান খোলা রেখেও আপনি আপনার সঙ্গীর ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন। ডায়মন্ড রিং কিংবা দামি ঘড়ি উপহার দিতে পারছেন না বলে মন খারাপের দরকার নেই। বরং আপনার ছোট ছোট মুহূর্ত, জমানো স্মৃতি উপহার দিয়ে চমকে দিন।
- জীবন সবসময় এক রকম কাটে না। ভালো সময়ের পর খারাপ সময় আসতেই পারে। তাই তৈরি থাকুন, মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে রাখুন। এটি জীবনকে সহজ করে তুলবে।
- খারাপ সময়েও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও আপনার এই চিন্তাভাবনা, হাসি আপনার সঙ্গীকে অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেবে এবং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে।
- কোনো সম্পর্কই এক নয়, তাই অন্যের সম্পর্কের উদাহরণ না টেনে নিজেদের সম্পর্কের সফলতা-বিফলতা থেকে শিখুন।
- বাইরের মানুষের সামনে কখনোই তর্ক করবেন না। এটি আপনার সঙ্গীর জন্য বিব্রতকর। তবে ভালোবাসা প্রকাশে পিছপা হবেন না।
- যে যাই বলুক আপনি আপনার সঙ্গীকে মন দিয়ে বিশ্বাস করুন, শ্রদ্ধা করুন। কোনো কিছু নিজে থেকেই ভেবে বসবেন না, রাগারাগি না করে সরাসরি প্রশ্ন করুন, ব্যাখ্যা চাইতে পারেন।
- গুরুত্বপূর্ণ কিংবা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একবারের জন্য হলেও আপনার সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করুন।
- আপনার সঙ্গীকে সাফল্য পেতে উৎসাহিত করুন, সেটা পড়ালেখার ক্ষেত্রে হোক, চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক না কেন। এতে আপনি তার স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের যত্ন নিচ্ছেন প্রকাশ পাবে এবং আপনাদের ভালোবাসাকে করবে শক্তিশালী।
- প্রতিদিন রোমান্সের মধ্য দিয়ে যাবে এমন মনোভাব না রেখে বরং নিজেকে তৈরি রাখুন টেনশনের মুহূর্তে ভালো থাকার, ধৈর্য ধরুন,সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হবে।
- See more at: http://answers.priyo.com/question/4785-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A7%80#sthash.V4UDvIEI.dpuf
বিশ্বস্ততার কোনো বিকল্প নেই
সুখী সংসার গঠনের পূর্বতম শর্ত হলো বিশ্বস্ততা। সম্পর্কের শুরু থেকেই আপনি যা সেটাই প্রকাশ করুন। চেষ্টা করবেন নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মিথ্যাচার না করতে। নিজেদের যৌথ জীবন হোক কিংবা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত কোনো বিষয়- যে কথাটি বলা যায় না, তা বলবেন না। কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। নীরব থাকা আর মিথ্যাচারের মাঝে কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাৎ। তবে চেষ্টা করবেন যেন কিছু গোপন করতে না হয়।কাজ ভাগাভাগি করে নিন
পরিবারের দায়িত্ব দুজন মিলেই ভাগ করে নিন। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যখন চাকরিজীবী, ঘরের সব কাজ স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে না দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিন। এতে পাশাপাশি থাকার ফলে দুজনের মধ্যে হৃদ্যতা আরও গাঢ় হবে।আর্থিক দিক থেকে পরিষ্কার থাকুন
অর্থই অনর্থের মূল। পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব রয়েছে। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনি নির্দিষ্ট কোনো খাতে টাকা জমাতেই পারেন। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি আপনার সঙ্গীকে জানানোও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও টাকা বিনিয়োগ করলে কিংবা বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের টাকা ধার দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সঙ্গীর কাছে লুকাতে যাবেন না।পারিবারিক বলয়
সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি হলে ধীরে ধীরে তা সমূলে সম্পর্ককে ধ্বংস করে। দাম্পত্য জীবনে একে অপরের কাছে স্বচ্ছতার বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। পেশাগত ব্যস্ততা, সন্তান লালন-পালন, শরীরচর্চা, ঘরের কাজ কিংবা সামাজিক কাজ নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও তার জন্য কিছু সময় অবশ্যই বরাদ্দ রাখুন।একে অন্যকে প্রাধান্য দিন
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর প্রাধান্য যে কোনো সম্পর্ককে মজবুত করতে পারে। সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করলে বন্ধন দৃঢ় হয়। সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়ে প্রাধান্য দেওয়ায়। তাই যাকে আপনি বিয়ে করেছেন, অবশ্যই তাকে জীবনের অপরিহার্যের সম্মান দিন। সঙ্গীর অনুভূতি ও সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন।ছাড় দেওয়ার মানসিকতা
অনেকের ধারণা, ছাড় দেওয়ার অর্থ নিজের দুর্বলতা প্রকাশ। এ জন্য কোনো অবস্থাতেই তারা সমঝোতার পথে আসতে রাজি নন। বাস্তবতা হলো, জীবনে চলার পথে সব দম্পতিকেই অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনো দুজন দুটি ভিন্ন মতের মাঝে আপনাকে দাঁড়াতে হয়। সবসময় নিজের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে সঙ্গীর মতামতকে ভালোমন্দের মানদণ্ডে মাপুন। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।স্তুতিবাক্য
স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রশংসা করুন। একদম ছোট ছোট জিনিসের জন্য, হতে পারে টেবিল পরিষ্কার করার জন্য, কিনে আনা টিস্যু প্যাকেটের জন্য, আপনার কাপড় গুছিয়ে রাখার জন্য ধন্যবাদ দিতেই পারেন। ছোট একটি ধন্যবাদ কিংবা এক মুহূর্তের প্রশংসা আপনার সঙ্গীর মন ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই।মন বুঝে চলুন
সঙ্গীর মন রক্ষা করা কিংবা বুঝে চলার ওপরও সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে। বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় করার চেষ্টা করুন। কোনোভাবেই যদি আপনি সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহজ হতে না পারেন, তাহলে অন্তত তাদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করুন। পাশাপাশি সঙ্গীর অন্য ছোটখাটো পছন্দগুলোকে প্রাধান্য দিন।ভালোবাসুন প্রতিদিন
দিনক্ষণ না গুনে প্রতিদিন ভালোবাসার চর্চা করুন। আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো প্রকাশ করে প্রশংসা করুন। আদেশ, অনুযোগ কিংবা তিরস্কার নয়। ইতিবাচক, গঠনমূলক সমালোচনা করুন, এটা আপনার সঙ্গীকে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে।স্বাধীনতা উপভোগ
স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার খর্ব হলে সম্পর্কের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা এবং আচরণে অসঙ্গতি দেখা যায়, কমে যায় শ্রদ্ধাবোধ। জীবনসঙ্গীকে তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্থানগুলো অবশ্যই উপভোগ করতে দিন। তাতে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা বাড়বে বই কমবে না।আনন্দময় যৌন জীবন
মানুষ কেবল যৌন সম্পর্কের জন্যই বিয়ে করে, এটা খুবই ভুল একটি ধারণা। তবে এটাই ঠিক যে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সুস্থ ও আনন্দময় যৌন সম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক বন্ধনের মাধ্যমে মানসিক বন্ধনও দৃঢ় হয় ও দাম্পত্যে প্রতারণা অনেক কমে যায়।বাস্তববাদী হোন
বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আপনার সঙ্গীও একজন মানুষ, সঙ্গে আপনিও। দোষ-ত্রুটি বিবেচনায় রাখুন, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। নিজের দোষের জন্য অপরজনকে দায়ী না করে নিজেই দায়িত্ব নিতে শিখুন।খোলামেলা থাকুন
দুজনের মধ্যে কোনো বিষয় গোপন রাখবেন না। একজন আরেকজনের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। যদি আপনি কিছু গোপন রাখেন এবং পরে প্রকাশ পায়, তবে তা নিঃসন্দেহে আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দেখাতে গিয়ে ফেসবুক বা সেলফোনের আড়ালে এমন কিছু করবেন না যেটি আপনার সঙ্গী জানলে বিপদ হতে পারে। যদি সুযোগ থাকে এসব সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারগুলোও একে অন্যের কাছে খোলাসা রাখতে পারেন। আপনার সততা, খোলামেলা কথাবার্তা আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস অটুট রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।অভিমান দীর্ঘায়িত নয়
দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু ঝগড়া হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। বরং রাগ কমে গেলে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন ব্যাপারটি নিয়ে। যদি নিজের দোষ বেশি মনে হয়, তাহলে নিজেই উদ্যোগী হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যদি অন্য মানুষটির দোষ হয়ে থাকে, তাহলে তাকেও সময় দিন চিন্তা করার এবং ক্ষমা চাইতে উদ্যোগী হওয়ার। তার সঙ্গে অহেতুক খারাপ ব্যবহার করবেন না।সংযত আবেগ
খুব বেশি ইমোশনাল হবেন না যেন। এটা পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার মূলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আসলেই আবেগ খুব খারাপ জিনিস। যতক্ষণ এটা ইতিবাচক ততক্ষণ চমৎকার। কিন্তু নেতিবাচক মনে যে আবেগ জমাট বেঁধে ওঠে, তার কঠিন ধাক্কায় ভেসে যেতে পারে সব ধরনের মানবিক শুভবোধ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও তা সর্বনাশা আঘাত হানে।সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা যা করবেন :
- সারাদিন একবারের জন্য হলেও দুজন দুজনের সঙ্গে সময় কাটান অন্তত ১০ মিনিট।- নিজের ভুল থেকে শিখুন। যখনই আপনি বলবেন, 'আমি দুঃখিত' এর মানে 'আমি এই ভুল আর করব না' হওয়াই উচিত।
- একজন ভালো শ্রোতা হওয়াও বড় গুণ। চুপ থাকুন এবং শুনুন। মুখ বন্ধ-কান খোলা রেখেও আপনি আপনার সঙ্গীর ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন। ডায়মন্ড রিং কিংবা দামি ঘড়ি উপহার দিতে পারছেন না বলে মন খারাপের দরকার নেই। বরং আপনার ছোট ছোট মুহূর্ত, জমানো স্মৃতি উপহার দিয়ে চমকে দিন।
- জীবন সবসময় এক রকম কাটে না। ভালো সময়ের পর খারাপ সময় আসতেই পারে। তাই তৈরি থাকুন, মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে রাখুন। এটি জীবনকে সহজ করে তুলবে।
- খারাপ সময়েও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও আপনার এই চিন্তাভাবনা, হাসি আপনার সঙ্গীকে অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেবে এবং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে।
- কোনো সম্পর্কই এক নয়, তাই অন্যের সম্পর্কের উদাহরণ না টেনে নিজেদের সম্পর্কের সফলতা-বিফলতা থেকে শিখুন।
- বাইরের মানুষের সামনে কখনোই তর্ক করবেন না। এটি আপনার সঙ্গীর জন্য বিব্রতকর। তবে ভালোবাসা প্রকাশে পিছপা হবেন না।
- যে যাই বলুক আপনি আপনার সঙ্গীকে মন দিয়ে বিশ্বাস করুন, শ্রদ্ধা করুন। কোনো কিছু নিজে থেকেই ভেবে বসবেন না, রাগারাগি না করে সরাসরি প্রশ্ন করুন, ব্যাখ্যা চাইতে পারেন।
- গুরুত্বপূর্ণ কিংবা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একবারের জন্য হলেও আপনার সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করুন।
- আপনার সঙ্গীকে সাফল্য পেতে উৎসাহিত করুন, সেটা পড়ালেখার ক্ষেত্রে হোক, চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক না কেন। এতে আপনি তার স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের যত্ন নিচ্ছেন প্রকাশ পাবে এবং আপনাদের ভালোবাসাকে করবে শক্তিশালী।
- প্রতিদিন রোমান্সের মধ্য দিয়ে যাবে এমন মনোভাব না রেখে বরং নিজেকে তৈরি রাখুন টেনশনের মুহূর্তে ভালো থাকার, ধৈর্য ধরুন,সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হবে।
- See more at: http://answers.priyo.com/question/4785-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A7%80#sthash.V4UDvIEI.dpuf
বিশ্বস্ততার কোনো বিকল্প নেই
সুখী সংসার গঠনের পূর্বতম শর্ত হলো বিশ্বস্ততা। সম্পর্কের শুরু থেকেই আপনি যা সেটাই প্রকাশ করুন। চেষ্টা করবেন নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মিথ্যাচার না করতে। নিজেদের যৌথ জীবন হোক কিংবা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত কোনো বিষয়- যে কথাটি বলা যায় না, তা বলবেন না। কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। নীরব থাকা আর মিথ্যাচারের মাঝে কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাৎ। তবে চেষ্টা করবেন যেন কিছু গোপন করতে না হয়।কাজ ভাগাভাগি করে নিন
পরিবারের দায়িত্ব দুজন মিলেই ভাগ করে নিন। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যখন চাকরিজীবী, ঘরের সব কাজ স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে না দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিন। এতে পাশাপাশি থাকার ফলে দুজনের মধ্যে হৃদ্যতা আরও গাঢ় হবে।আর্থিক দিক থেকে পরিষ্কার থাকুন
অর্থই অনর্থের মূল। পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব রয়েছে। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনি নির্দিষ্ট কোনো খাতে টাকা জমাতেই পারেন। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি আপনার সঙ্গীকে জানানোও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও টাকা বিনিয়োগ করলে কিংবা বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের টাকা ধার দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সঙ্গীর কাছে লুকাতে যাবেন না।পারিবারিক বলয়
সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি হলে ধীরে ধীরে তা সমূলে সম্পর্ককে ধ্বংস করে। দাম্পত্য জীবনে একে অপরের কাছে স্বচ্ছতার বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। পেশাগত ব্যস্ততা, সন্তান লালন-পালন, শরীরচর্চা, ঘরের কাজ কিংবা সামাজিক কাজ নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও তার জন্য কিছু সময় অবশ্যই বরাদ্দ রাখুন।একে অন্যকে প্রাধান্য দিন
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর প্রাধান্য যে কোনো সম্পর্ককে মজবুত করতে পারে। সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করলে বন্ধন দৃঢ় হয়। সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়ে প্রাধান্য দেওয়ায়। তাই যাকে আপনি বিয়ে করেছেন, অবশ্যই তাকে জীবনের অপরিহার্যের সম্মান দিন। সঙ্গীর অনুভূতি ও সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন।ছাড় দেওয়ার মানসিকতা
অনেকের ধারণা, ছাড় দেওয়ার অর্থ নিজের দুর্বলতা প্রকাশ। এ জন্য কোনো অবস্থাতেই তারা সমঝোতার পথে আসতে রাজি নন। বাস্তবতা হলো, জীবনে চলার পথে সব দম্পতিকেই অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনো দুজন দুটি ভিন্ন মতের মাঝে আপনাকে দাঁড়াতে হয়। সবসময় নিজের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে সঙ্গীর মতামতকে ভালোমন্দের মানদণ্ডে মাপুন। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।স্তুতিবাক্য
স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রশংসা করুন। একদম ছোট ছোট জিনিসের জন্য, হতে পারে টেবিল পরিষ্কার করার জন্য, কিনে আনা টিস্যু প্যাকেটের জন্য, আপনার কাপড় গুছিয়ে রাখার জন্য ধন্যবাদ দিতেই পারেন। ছোট একটি ধন্যবাদ কিংবা এক মুহূর্তের প্রশংসা আপনার সঙ্গীর মন ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই।মন বুঝে চলুন
সঙ্গীর মন রক্ষা করা কিংবা বুঝে চলার ওপরও সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে। বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় করার চেষ্টা করুন। কোনোভাবেই যদি আপনি সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহজ হতে না পারেন, তাহলে অন্তত তাদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করুন। পাশাপাশি সঙ্গীর অন্য ছোটখাটো পছন্দগুলোকে প্রাধান্য দিন।ভালোবাসুন প্রতিদিন
দিনক্ষণ না গুনে প্রতিদিন ভালোবাসার চর্চা করুন। আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো প্রকাশ করে প্রশংসা করুন। আদেশ, অনুযোগ কিংবা তিরস্কার নয়। ইতিবাচক, গঠনমূলক সমালোচনা করুন, এটা আপনার সঙ্গীকে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে।স্বাধীনতা উপভোগ
স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার খর্ব হলে সম্পর্কের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা এবং আচরণে অসঙ্গতি দেখা যায়, কমে যায় শ্রদ্ধাবোধ। জীবনসঙ্গীকে তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্থানগুলো অবশ্যই উপভোগ করতে দিন। তাতে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা বাড়বে বই কমবে না।আনন্দময় যৌন জীবন
মানুষ কেবল যৌন সম্পর্কের জন্যই বিয়ে করে, এটা খুবই ভুল একটি ধারণা। তবে এটাই ঠিক যে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সুস্থ ও আনন্দময় যৌন সম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক বন্ধনের মাধ্যমে মানসিক বন্ধনও দৃঢ় হয় ও দাম্পত্যে প্রতারণা অনেক কমে যায়।বাস্তববাদী হোন
বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আপনার সঙ্গীও একজন মানুষ, সঙ্গে আপনিও। দোষ-ত্রুটি বিবেচনায় রাখুন, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। নিজের দোষের জন্য অপরজনকে দায়ী না করে নিজেই দায়িত্ব নিতে শিখুন।খোলামেলা থাকুন
দুজনের মধ্যে কোনো বিষয় গোপন রাখবেন না। একজন আরেকজনের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। যদি আপনি কিছু গোপন রাখেন এবং পরে প্রকাশ পায়, তবে তা নিঃসন্দেহে আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দেখাতে গিয়ে ফেসবুক বা সেলফোনের আড়ালে এমন কিছু করবেন না যেটি আপনার সঙ্গী জানলে বিপদ হতে পারে। যদি সুযোগ থাকে এসব সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারগুলোও একে অন্যের কাছে খোলাসা রাখতে পারেন। আপনার সততা, খোলামেলা কথাবার্তা আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস অটুট রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।অভিমান দীর্ঘায়িত নয়
দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু ঝগড়া হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। বরং রাগ কমে গেলে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন ব্যাপারটি নিয়ে। যদি নিজের দোষ বেশি মনে হয়, তাহলে নিজেই উদ্যোগী হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যদি অন্য মানুষটির দোষ হয়ে থাকে, তাহলে তাকেও সময় দিন চিন্তা করার এবং ক্ষমা চাইতে উদ্যোগী হওয়ার। তার সঙ্গে অহেতুক খারাপ ব্যবহার করবেন না।সংযত আবেগ
খুব বেশি ইমোশনাল হবেন না যেন। এটা পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার মূলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আসলেই আবেগ খুব খারাপ জিনিস। যতক্ষণ এটা ইতিবাচক ততক্ষণ চমৎকার। কিন্তু নেতিবাচক মনে যে আবেগ জমাট বেঁধে ওঠে, তার কঠিন ধাক্কায় ভেসে যেতে পারে সব ধরনের মানবিক শুভবোধ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও তা সর্বনাশা আঘাত হানে।সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা যা করবেন :
- সারাদিন একবারের জন্য হলেও দুজন দুজনের সঙ্গে সময় কাটান অন্তত ১০ মিনিট।- নিজের ভুল থেকে শিখুন। যখনই আপনি বলবেন, 'আমি দুঃখিত' এর মানে 'আমি এই ভুল আর করব না' হওয়াই উচিত।
- একজন ভালো শ্রোতা হওয়াও বড় গুণ। চুপ থাকুন এবং শুনুন। মুখ বন্ধ-কান খোলা রেখেও আপনি আপনার সঙ্গীর ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন। ডায়মন্ড রিং কিংবা দামি ঘড়ি উপহার দিতে পারছেন না বলে মন খারাপের দরকার নেই। বরং আপনার ছোট ছোট মুহূর্ত, জমানো স্মৃতি উপহার দিয়ে চমকে দিন।
- জীবন সবসময় এক রকম কাটে না। ভালো সময়ের পর খারাপ সময় আসতেই পারে। তাই তৈরি থাকুন, মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে রাখুন। এটি জীবনকে সহজ করে তুলবে।
- খারাপ সময়েও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও আপনার এই চিন্তাভাবনা, হাসি আপনার সঙ্গীকে অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেবে এবং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে।
- কোনো সম্পর্কই এক নয়, তাই অন্যের সম্পর্কের উদাহরণ না টেনে নিজেদের সম্পর্কের সফলতা-বিফলতা থেকে শিখুন।
- বাইরের মানুষের সামনে কখনোই তর্ক করবেন না। এটি আপনার সঙ্গীর জন্য বিব্রতকর। তবে ভালোবাসা প্রকাশে পিছপা হবেন না।
- যে যাই বলুক আপনি আপনার সঙ্গীকে মন দিয়ে বিশ্বাস করুন, শ্রদ্ধা করুন। কোনো কিছু নিজে থেকেই ভেবে বসবেন না, রাগারাগি না করে সরাসরি প্রশ্ন করুন, ব্যাখ্যা চাইতে পারেন।
- গুরুত্বপূর্ণ কিংবা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একবারের জন্য হলেও আপনার সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করুন।
- আপনার সঙ্গীকে সাফল্য পেতে উৎসাহিত করুন, সেটা পড়ালেখার ক্ষেত্রে হোক, চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক না কেন। এতে আপনি তার স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের যত্ন নিচ্ছেন প্রকাশ পাবে এবং আপনাদের ভালোবাসাকে করবে শক্তিশালী।
- প্রতিদিন রোমান্সের মধ্য দিয়ে যাবে এমন মনোভাব না রেখে বরং নিজেকে তৈরি রাখুন টেনশনের মুহূর্তে ভালো থাকার, ধৈর্য ধরুন,সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হবে।
- See more at: http://answers.priyo.com/question/4785-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A7%80#sthash.V4UDvIEI.dpuf
0 comments:
Post a Comment
পাঠকের মন্তব্য আবশ্যক