Islamic Bangla BD, YouTube channel

Islamic Bangla BD is a different kind of Islamic info channel. We provide all Popular Bangla islamic Historical story , waz , info , Hamd , naat & Islamic songs ,Islamic music video and Islamic historical videos. Be connected with us and enjoy and practice our Islamic Bangla BD channel . , আসসালামু আলাইকুম , আমাদের অনেক দর্শক স্রোতা আছেন যারা ইসলামিক বিভিন্ন তথ্য, ইসলামের সেরা মনিষদের জীবনী , ঐতিহাসিক ইসলামীক শিক্ষনীয় গল্প, মাছলা মাছায়েল , হামদ ও নাতের মিউজিক ভিডিও খুব পছন্দ করেন । সেইসব দর্শক স্রোতাদের কথা চিন্তা করে , রাসুল (সঃ) এর আদর্শকে ধারন করে ইসলামিক বাংলা Islamic Bangla BD চ্যানেল যাত্রা শুরু করে । উপোভোগ ও আমল করুন | আশা করি সব সময় আমাদের সাথেই থাকবেন ও অনুপ্রেরনা দিয়ে যাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে If you Like our channel pls click Like, Share & Subscribe . thanks Link https://www.youtube.com/c/IslamicBanglaBD Mixer Bangla songs YouTube Channel . Mixer Bangla songs is a different kind of music taste. We provide all Popular Bangla songs Remix music video and Recreational videos . Be connected with us and enjoy all new music video tracks and Recreational funny videos .Hope you enjoy .Music Can Predict About Your Personality. New entertainment channel আমাদের অনেক দর্শক স্রোতা আছেন যারা বাংলা গানের মিউজিক ভিডিও এবং বিনোদনমূলক ভিডিও খুব পছন্দ করেন । কিন্তু আমাদের দেশের জনপ্রিয় অনেক গায়ক ও গায়িকাদের সুপার হিট গান আছে যার ভালো মিউজিক ভিডিও নাই বা অনেক গানের মিউজিক ভিডিও ভাল লাগেনা । আবার অনেকে আছেন ভিন্ন ধারার/ স্বাদের রিমিক্স ভিডিও খুব পছন্দ করেন আর মজার ভিডিও দেখতে চান সেইসব দর্শক স্রোতাদের কথা চিন্তা করে লাইফ টিভি বাংলা ইউটিউব চ্যানেল তাদের প্রচার শুরু করে। বিনোদনের নতুন চ্যানেল Mixer Bangla songs Channel Link https://www.youtube.com/channel/UCgSBJ2G1mBEsWNxaONWbemg

Thursday, December 31, 2015





চুমু ভালোবাসার এক চমৎকার বহিঃপ্রকাশের নাম। কিন্তু চমকপ্রদ খবর হলো গবেষণা বলছে, ওজন কমানোর একটি পদ্ধতিও নাকি চুমু। প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালরি ঝেড়ে ফেলা সম্ভব যা ঘণ্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব।



গবেষণা বলছে, গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প। কেননা গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ  চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালরি ঝরাতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলি মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।



জেনে নিন চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে ওজন কমানো যায়:



- গাঢ় চুম্বনে কতটুকু ক্যালরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার ওপর। হালকা চুম্বনে কম ক্যালরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়।



- গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে চুমু দিলে সবচে' বেশি ক্যালরি ক্ষয় হয়। যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলকভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।



বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা

-http://www.bd-pratidin.com/life/2015/12/26/

চুমু ভালোবাসার এক চমৎকার বহিঃপ্রকাশের নাম। কিন্তু চমকপ্রদ খবর হলো গবেষণা বলছে, ওজন কমানোর একটি পদ্ধতিও নাকি চুমু। প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালরি ঝেড়ে ফেলা সম্ভব যা ঘণ্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। 
গবেষণা বলছে, গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প। কেননা গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ  চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালরি ঝরাতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলি মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
জেনে নিন চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে ওজন কমানো যায়:
- গাঢ় চুম্বনে কতটুকু ক্যালরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার ওপর। হালকা চুম্বনে কম ক্যালরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়।
- গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে চুমু দিলে সবচে' বেশি ক্যালরি ক্ষয় হয়। যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলকভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2015/12/26/117136#sthash.XAcCIzGp.dpuf
চুমু ভালোবাসার এক চমৎকার বহিঃপ্রকাশের নাম। কিন্তু চমকপ্রদ খবর হলো গবেষণা বলছে, ওজন কমানোর একটি পদ্ধতিও নাকি চুমু। প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালরি ঝেড়ে ফেলা সম্ভব যা ঘণ্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। 
গবেষণা বলছে, গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প। কেননা গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ  চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালরি ঝরাতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলি মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
জেনে নিন চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে ওজন কমানো যায়:
- গাঢ় চুম্বনে কতটুকু ক্যালরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার ওপর। হালকা চুম্বনে কম ক্যালরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়।
- গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে চুমু দিলে সবচে' বেশি ক্যালরি ক্ষয় হয়। যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলকভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2015/12/26/117136#sthash.XAcCIzGp.dpuf
চুমু ভালোবাসার এক চমৎকার বহিঃপ্রকাশের নাম। কিন্তু চমকপ্রদ খবর হলো গবেষণা বলছে, ওজন কমানোর একটি পদ্ধতিও নাকি চুমু। প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালরি ঝেড়ে ফেলা সম্ভব যা ঘণ্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। 
গবেষণা বলছে, গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প। কেননা গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ  চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালরি ঝরাতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলি মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
জেনে নিন চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে ওজন কমানো যায়:
- গাঢ় চুম্বনে কতটুকু ক্যালরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার ওপর। হালকা চুম্বনে কম ক্যালরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়।
- গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে চুমু দিলে সবচে' বেশি ক্যালরি ক্ষয় হয়। যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলকভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2015/12/26/117136#sthash.XAcCIzGp.dpuf
চুমু ভালোবাসার এক চমৎকার বহিঃপ্রকাশের নাম। কিন্তু চমকপ্রদ খবর হলো গবেষণা বলছে, ওজন কমানোর একটি পদ্ধতিও নাকি চুমু। প্রতি এক মিনিট চুম্বনে ২-৫ ক্যালরি ঝেড়ে ফেলা সম্ভব যা ঘণ্টায় দুই মাইল হাঁটার সমান! এক পাউন্ড কমাতে ৩৫০০ ক্যালরি পোড়াতে হয়। অর্থাৎ প্রতিদিন মাত্র ১০ মিনিট এক টানা চুম্বনে বছরে ৫ পাউন্ড বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব। 
গবেষণা বলছে, গভীর গাঢ় চুম্বন হতে পারে ব্যায়ামের বিকল্প। কেননা গাঢ় চুম্বনে মেটাবলিসমের গতি ত্বরান্বিত হয় যা ওজন ঝরাতে সাহায্য করে। অর্থাৎ  চুম্বনের সময় হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় যা ক্যালরি ঝরাতে সহায়ক। এছাড়াও নিয়মিত চুম্বনে মুখের মাংসপেশীর সুগঠিত হয়, এবং মুখের বলিরেখা এড়াতে সহায়তা করে। চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় সবগুলি মাংসবেশী সচল হয় এবং এই প্রক্রিয়ার সাথে অ্যাড্রেনালিন যুক্ত হয়ে নিউরোট্রান্সমিটার নিঃসরণ করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি খুব দ্রুত ক্যালোরি পোড়ায়।
জেনে নিন চুম্বনের মাধ্যমে কিভাবে ওজন কমানো যায়:
- গাঢ় চুম্বনে কতটুকু ক্যালরি পুড়বে তা নির্ভর করে তা কতটুকু গাঢ় তার ওপর। হালকা চুম্বনে কম ক্যালরি পোড়ে। অনেক সময় ধরে করা গাঢ় চুম্বনের মাধ্যমে বেশি ক্যালরি পোড়ানো যায়।
- গবেষণায় দেখা গেছে দাঁড়িয়ে চুমু দিলে সবচে' বেশি ক্যালরি ক্ষয় হয়। যারা দাঁড়িয়ে চুম্বন করে অভ্যস্ত তাদের ওজন তুলনামূলকভাবে অন্যদের চাইতে দ্রুত কমে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫/ রশিদা
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/life/2015/12/26/117136#sthash.XAcCIzGp.dpuf

Monday, November 30, 2015

 


আপনি কি জানেন? বক্তৃতা দিতে অধিকাংশ লোকই ভয় পায়, আপনি একা নন। আপনাকে প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে যে “ভয়” আসলে কি ?বিপদের আশংকাই হলো ভয়। ভয় আসল নাকি কল্পিত?এটা সম্পুর্ণ কল্পিত। আমার এই লেখাটি ভয়ের সব কল্পনা জল্পনা ছাপিয়ে সুন্দরভাবে বক্তৃতা ও প্রেজেন্টেশনে সাহায্য করবে। কয়েকটা ধাপে বিষয়টা আলোচনা করছি।

প্রথম ধাপঃ ভয়ের মুখোমুখি হতে হবে

ভয়ের উৎস খুঁজে বের করুন। মানুষ যে কারণে সবার সামনে কথা বলতে ভয় পায় তা হলো অনিশ্চয়তা।এককথায় বলতে গেলে আমরা জানিনা বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশনের সময় কি ঘটবে। ভয়ের কারণটা নিশ্চয়ই এমন নয় যে আপনাকে এমন একটা বিষয়ে বলতে হবে বা প্রেজেন্টেশন করতে হবে হবে সে বিষয় সম্পর্কে আপনি কিছুই জানেন না।কারণটা হচ্ছে আপনি যখন কিছু বিষয়ে বলতে শুরু করবেন সেই বিষয় নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করছে। বক্তার অনিশ্চয়তায় ভোগার মত অনেক কারণ থাকতে পারে যেমন সবাই বক্তার আইডিয়া কিভাবে গ্রহণ করবে ? কিভাবে মুল্যায়িত হবে অথবা শ্রোতা কতটুকু প্রভাবিত হবে? যদি ভুল বলে ফেলি? যদি কেউ কথা শুনে হাসতে শুরু করে? ক্লাস প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র মূল্যায়ন ব্যপারটার প্রভাব থাকে কিন্তু সত্যিটা এই যে যারা আপনার শ্রোতা তারা আপনার সফলতা চায়। আপনার কথাগুলো সাদরে গ্রহণ করার মন মানসিকতা তাদের রয়েছে। তারা আপনার সম্পর্কে কোনো বিরুপ ধারণা পোষণ করে না। আপনি যদি শুরুটা বেশ ভালো ভাবে করেন এবং বিষয়টার উপর স্বচ্ছ ধারনা দিতে পারেন , তবে আপনার ভয় অনেকাংশেই দূর হয়ে যাবে।
http://www.healthprior21.com/timthumb.php?src=/files/image/boost-your-self.jpg&w=200&h=200&zc=2 ভয়কে ছুঁড়ে ফেলুন। যদি ভয়ে আপনার হাঁটু কাঁপতে থাকে তবে স্মরণ করুন, ভয়টা আসলে মিথ্যা , প্রমাণটাই হলো আসল।আপনি যে কারণে ভয় পাচ্ছেন তা আদৌ ঘটবে না ।যদি কোনো গড়মিল এর ব্যাপারে আগে থেকেই চিন্তিত থাকেন তবে বলছি ভয় করা বন্ধ করুন, যদি তেমন কিছু ঘটেও যায় তবে তা সাথে সাথে শুধরে নেওয়া যাবে। ভয়ের কারণেই গড়মিল হয়। ভয় না পেলে গড়মিল হওয়ার সম্ভবনা নেই। নিজের মনোবল বাড়িয়ে ভয় থেকে বেরিয়ে আসুন।

দ্বিতীয় ধাপঃ প্রস্তুতি

 
ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন। যে যে বিষয়ে আপনি বলবেন তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করুন। আপনার বক্তব্যের বর্ণনা তৈরি করুন এবং মূল পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করুন। প্রথমে কি বলবেন, বক্তৃতার মাঝখানে কি বলবেন, শেষটাই বা কিভাবে করবেন তা ঠিক করে নিন।
পাওয়ারপয়েন্ট স্লাইড বা স্ক্রিপ্ট তৈরি করুন। সাধারণভাবে প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে স্লাইড ব্যবহারের সুযোগ থাকে। একে নিরাপত্তা চাদর হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। মূল পয়েন্টগুলো স্লাইডে ফ্লোচার্ট এবং চিত্রসহকারে সুন্দর ভাবে ব্যবহার করতে হবে । সাধারণ বক্তৃতার ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট তৈরি করা যেতে পারে , তবে এতে মূল পয়েন্ট থাকবে যাতে পয়েন্টগুলো দেখে বক্তব্য সম্প্রসারণ করা যায়। তবে বক্তব্যের পুরোটা স্লাইডে বা স্ক্রিপ্টে নিয়ে দেখে দেখে যন্ত্রের মত বলে যাওয়া মোটেই উচিৎ হবে না ।
বারবার চর্চা করুন। ইংরেজীতে একটা কথা আছে “Practice makes a man perfect ”.জড়তা দূর করতে হলে চর্চার বিকল্প নেই। নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন এবং আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যান। আপনার বক্তৃতা চালিয়ে যান । এভাবে বেশ কয়েকবার করলে আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে । আপনি চাইলে ল্যাপটপের ওয়েবক্যাম ব্যবহার করতে পারেন । ওয়েবক্যাম দিয়ে রেকর্ড করে পরবর্তীকে দেখে নিজেকে মুল্যায়ন করাটা অনেক সহজ হবে। যদি আপনার কাছে যথেষ্ট অবসর থাকে তবে বিভিন্ন ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, ডিবেটিং সোসাইটিতে সাময়িক/পুরোপুরি অংশ নিতে পারেন।এতে আপনি চর্চার সবচেয়ে ভালো সুযোগ পাবেন। আপনার জানা বিষয়গুলো নিয়ে এতে কাজ করতে পারেন।অজানা বিষয় বা কমজানা বিষয়ে বলতে গেলে মানসিক চাপ বরং বাড়তে পারে।
মনকে প্রশান্ত করুন। বক্তৃতার ঠিক আগে একটা পদ্ধতির অনুসরণ বেশ কাজে দেবে। T-repeater নামে একটা পদ্ধতির কথা বলছি। প্রথমে চোখ বন্ধ করে বুকভরে নিঃশ্বাস নিন। তারপর ইংরেজী T অক্ষর উচ্চারণ করতে করতে নিশ্বাস ছাড়ুন যেন টি টি টি টি...এমন শব্দ হয়।এভাবে কয়েকবার চেষ্টা করুন । এটা শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হতে সাহায্য করবে।

তৃতীয় ধাপঃ মনোবল নিয়ে শ্রোতার সামনে দাড়ান

শ্রোতা আপনাকে দেখতে পায়,আপনার স্নায়ুচাপ দেখতে পায় না। প্রথমে যদি আপনার মধ্যে কিছুটা স্নায়ুচাপ কাজ করেও আপনি সফলভাবে আপনার বক্তৃতা শেষ করতে পারবেন । শ্রোতার উপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। মনোবল বাড়ান , স্বাভাবিকভাবে দাড়ান , হাসিমুখে আপনার বক্তব্য দিন।
শ্রোতার ব্যপারে বেশি মাথা ঘামাবেন না। বক্তৃতার সময় একেক জনের প্রতিক্রিয়া একেক রকম হবে এটাই স্বাভাবিক । বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশনের সময় শ্রোতার সাথে চক্ষু-সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণবন্ত বক্তব্যের জন্য বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেককে দেখা যায় আকাশের দিকে তাকিয়ে , মাথা নিচু করে বা অন্য কোনোদিকে তাকিয়ে বলতে থাকে। শ্রোতার চোখের দিকে তাকাতে ভয় পান । তাহলে শ্রোতার চোখের দিকে না তাকিয়ে কপালের দিকে তাকান । শ্রোতার কাছে মনে হবে যে আপনি তার দিকেই তাকিয়েছেন। এতে 

আপনার ভয়ও কেটে যাবে।
সবশেষে যে কথাটা বলতে চাই , নিজের কল্পনাকে প্রসারিত করুন। আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান ? বক্তৃতা, প্রেজেন্টেশন আপনাকে সবার সামনে নিজের চিন্তা-চেতনা দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার সুযোগ দেয় । এটা আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে ।সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ব্যাপারে সাহসী করে তোলে। নিজের বন্ধু, সহকর্মী ,সমমনাদের সামনে কিছু বলতে আসলেই ভয়ের কিছু নেই। ভয়কে ছুঁড়ে ফেলুন, নিজের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে সাবলীলভাবে এগিয়ে যান ।
 https://b9b3bd824b89b720c6e79358a431aac440cc8724.googledrive.com/host/0BxdMhCaCqhsJfl9fOVJEX3VYMGExeU1Ia1h5Q2Z0ZFpCUXFtSjNJeEk5VExNYU00dUlJcHc/j1.jpg

১. আপনার সঙ্গী সম্পর্কে আপনার মনের একান্ত ভাবনা গুলো তাকে বলুন। আপনার সঙ্গীর মনোবল বাড়াতে তাকে উৎসাহ দিন।https://i.ytimg.com/vi/0LgfC25wvZ4/hqdefault.jpg

২. এমনটি ভাবা থেকে বিরত থাকুন যৌন মিলন কেউ একজনের একার পারফরমেন্স। যৌন মিলনে দু’টি লোকের তৃপ্তির আদান-প্রদান হয় বিভিন্ন আসন ভঙ্গিতে। এতে সবসময়ই ‘পরিপুর্ন তৃপ্তি’ অবশ্যক নয়।
৩. মানসিক প্রশান্তির জন্য ব্যায়াম, সামাজিক কর্মকান্ড এবং আপনার শখের কাজগুলো করুন। মনের প্রশান্তিই আপনার সঙ্গীকে তৃপ্তিদানে উৎসাহী করবে।
৪. যৌন মিলনের আবহ সৃষ্টি করুন। সঙ্গিত, ফুল, মোমবাতির আলো এবং সুগন্ধি দিয়ে এক মায়াবী বলয় তৈরি করতে পারেন।
৫. যৌন মিলন শব্দটিকে পুনঃবিন্যাস করুন। মিলন বলতে শুধু সরাসরি শাররীক মিলন বুঝায় না। এটা হতে পারে চুমা, ছোয়া ইত্যাদি। যৌন মিলন হচ্ছে পরষ্পরের তৃপ্ত অনুভব। যৌন মিলনে তৃপ্তির বিনিময় হয়। হোকনা সে যেকোন উপায়ে!
 http://www.deshebideshe.com/assets/news_images/360fea5811614aa7b2fae6c8735652b7.jpg

আপনি যদি নিজেই বিশ্বাস না করেন যে আপনি পারবেন তাহলে অন্য কে কি করে বুঝাবেন যে আপনি পারবেন। আপনি যা করতে চান তা আপনাকেই করতে হবে। মাঝপথে যাদের সাহায্য এবং দিক নির্দেশনা পেলেন তাকে ধরতে হবে প্রত্যাশার বাইরে থেকে পাওয়া কোন উপহার। আপনি যদি অনলাইনে উপার্যন এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি হয়ত বুঝে গেছেন এখানে সুযোগ যেমন অনেক, ঠিক একি ভাবে এখানে প্রতিযোগিতাটাও অনেক বেশি। এটা এমন একটা যায়গা যেখানে সার্টিফিকেট এর মাধ্যমে নিজেকে প্রমান করার অথবা টিকে থাকার কোন সুযোগ নেই। আপনাকে টিকে থাকতে হলে আপনাকে কাজ দিয়ে প্রমান করতে হবে যে আমি এটা পারি এবং আমি এটা পারব। আর প্রমান করার সুযগ পাওয়া এবং সুযগ সৃষ্টি করার মদ্ধ্যে যেই সমস্যাটার মুখমুখি মানুষ সবচাইতে বেশি পরে তা হচ্ছে আত্মবিশ্বাস এর অভাব। আমি মুলত কিভাবে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো যায় এটা নিয়ে প্রায় ২ মাস আগে একটি পোষ্ট লিখেছিলাম তারি বাংলা সঙ্কস্করন বলতে পারেন এটাকে। তো আপনি যদি আত্মবিশ্বাস এর অভাবে ভুগতে থাকেন তাহলে অনেক সহজ গন্তব্যটাকেও আপনি অনেক কঠিন বানিয়ে ফেলবেন। আমি আমার নিজের অভিগ্যতা থেকে কিছু সহজ এবং কার্যকরি উপায় নিচে উল্ল্যেখ করছি হয়ত আপনাদের কাজে আসতে পারে।

বার বার চেষ্টা করাhttp://www.onnodiganta.com/contents/records/article/201409/3346_1.jpg

আপনি একটা কাজ চেষ্টা করছেন কিন্তু পারছেন না। আপনাকে আরেকজন বলল পেরে জাবেন, বার বার চেষ্টা করেন। আপনার কাছে মনে হতে পারে এটা কোন সমাধান না। আপনি হয়ত ভাববেন যে আপনাকে কোন মুল্যবান অথবা কার্যকরি সমাধান এর রাস্তা দেখানো হয় নি। কিন্তু অবিশ্যাস্য হলেও সত্ত্য যে এটাই সব চাইতে কার্যকরি সমাধান। ছোটবেলাতে ফিরে যান। যখন অ, আ লিখা শিখছিলেন। পারছিলেন না, পারছিলেন না। কিন্তু বাবা, মা হাল ছাড়ে নি। আর যার ফলে আমরা ঠিক ই শিখে গিয়েছিলাম। আর তার ফলাফল সরুপ আজকে এই ব্লগ পোষ্ট লিখছি। বাংলা লিখে আমি অভ্যস্ত নই, মুল সমস্যা যেটা হয় সেটা হচ্ছে কিছু ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ খুজে পাই না। কিন্তু আমি যদি নিয়মিত বাংলা লিখে যাওয়ার চেষ্টা করে যাই আমি বিশ্বাস করি আমার এই সমস্যার ও সমাধান হয়ে যাবে। তো আপনার কর্মখেত্রের প্রতিটা সমস্যার সমাধান ও আপনাকে নিজে থেকেই করতে হবে। আর তার জন্য আপনার করতে হবে চেষ্টা। হাল ছাড়া যাবে না। বার বার চেষ্টা করে যান। প্রতিটা চেষ্টা আপনাকে আগের বারের চাইতে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সফল দের কে অনুসরন করুন

আপনি যে ক্ষেত্রে কাজ করছেন সেই ক্ষেত্রে হয়ত আগে কেউ সফল ভাবে কাজ করে গেছে। অথবা করছে। ক্ষেত্র সম্পুর্ন নতুন হলে তার আসে পাসে কেউ অনেকটা একিরকম কোন প্রকল্পে কাজ করছে। আমরা সর্বদা যে ভুল টা করি তা হচ্ছে তার গতিবিধি, কর্ম্পদ্ধতি থেকে কিছু শেখার চেষ্টা না করে তাকে হিংসে করা শুরু করি। আর এখানেই আমরা পিছিয়ে পরি। আমরা খুব অনায়াসে তার সফলতাকে আমাদের অনুপ্রেরনাতে রুপান্তরিত করতে পারি। তার পথ অনুসরন করতে পারি। অথবা আমাদের পথের অনেক আগাম সমস্যা এবং সমাধান আমরা তাকে অনুসরন করে আগে থেকেই সমাধান করতে পারি, আর সমাধান করতে না পারলে অন্তত প্রস্তুত তো থাকা যাবে।

নিজে নিজে কথা বলা

সতর্কতাঃ একা একা অথবা নিজে নিজে কথা বলার কারনে কেউ যদি আপনাকে পাগল ভাবে তাহলে আমি দায়ি নই।
আপনাদের যদি হিন্দি গান শুনার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে হয়ত মনে থাকবে একটা সময় হিমেশ রেশামিয়া এর গান অনেক বাজত আনাচে কানেচে শপিং মল সব যায়গাতে। আমি অনেকের মধ্যে একজন ছিলাম যে কিনা হিমেশের গান পছন্দ করতাম না। কিন্তু আমি নিজের অজান্তে অনেক বার হিমেশের গান গেয়েছি। হঠাত করে আবিস্কার করেছি যে আমি ওনার গান গাচ্ছি। বেপার টা আসলে ঘটেছে কানের কারনে। কান সবসময় ওর গান শুনাতো। এই কারনে আমাদের গান দ্রুত মুখস্ত হয়, কারন কান এখানে গুরুতপুর্ন ভুমিকা পালন করে। যাই হোক মুল কথায় আসি। আপনি যদি আপনার অবসর সময়ে নিজে নিজে কথা বলেন যে আপনার লক্ষ কি। আপনি যদি আপনার মগজ এর মধ্যে বার বার অনুপ্রবেশ ঘটান আপনার লক্ষ টাকে তাহলে দেখবেন আপনার আত্যবিশ্যাষ অনেকটাই বেরে যাবে আপনার মধ্যে একধরনের বিশ্বাস জন্মাবে যে, হ্যা আমি পারবই।

লক্ষ্যটাকে ছোট ছোট করে ভাগ করুন

ধরুন আপনি সিড়ি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এর ত্রিশ তলাতে উঠবেন। যখন পাঁচ তলাতে উঠলেন, কিছুটা ক্লান্ত আপনি। যখন দশ তলাতে উঠলেন তখন আপনি যতটা না ক্লান্ত তার চাইতে বেশি ভেঙ্গে যাবে আপনার মনোবল যখন মনে হবে আরো বিশ তলা বাকি :( । কিন্তু আপনি যদি আপনার সেই একি পথ একি কষ্ট, কিন্তু ভাবনা অথবা দৃষ্টি ভংগিটাকে পালটিয়ে ফেলেন। একবারে ত্রিশ তলা হিসেব না করে ১০ তলা করে তিন বার ভাবুন। তখন ১০ তলাতে উঠার পর আপনার মনে হবে তিন ভাগের এক ভাগ শেষ করে ফেলেছি আর মাত্র ২ভাগ। পেরে যাব। গানিতিক ভাবে ঘটনা সমান হলেও মনস্তাত্তিক ভাবে আপনার আত্মবিশ্বাস বেরে যাবে।
ঠিক একি ভাবে, প্রফেশনাল সেক্টরটাকেও ভাগ করে নিন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে। তখন কি পারিনি তার চাইতে বেশি মনে হবে কতটুকু পেরেছি।

প্রভাবিত করতে পারে এমন উক্তি পরুন

একমাত্র সেই কোন ভুল করে না, যে কিছুই করে না। (বাংলাতে রুপান্তরিত)
এই উক্তিটা পড়ার পর আমার মনে হয় সবার ভিতরে একটাই অনুভুতি আসবে যে ভুল করাটাই স্বাভাবিক। এটার জন্য ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই। এরকম হাজারো উক্তি পাওয়া যাবে যা নিয়মিত পরলে আপনি উপলন্ধি করতে পারবেন, যারা সফল হয়েছে অথবা ছিল তারা সবাই আপনার আমার মত সাধারন মানুষ ছিলেন। আপনার আমার মতই সমস্যা এবং ভুল এর মধ্যে থেকেই তারা এগিয়ে গিয়েছে। তাই আপনি এবং আমিও পারবো এগিয়ে যেতে। কি আত্মবিশ্বাস কি একটু বাড়ছে?

সাক্ষাতকার

আমি সবসময় সাক্ষাতকার দেখতে পছন্দ করি। এটার মুল কারন হচ্ছে, সাক্ষাতকার এর মাধ্যমে অনেক লুকায়িত সত্য এবুং দিকনের্দেশনা পাওয়া যায়। আমি এখন ব্লগ পোষ্ট লিখছি, আমি তাই লিখছি যা আমি লিখতে চাচ্ছি। কিন্তু সাক্ষাতকার এ মানুষ তাই বলে যা উপস্থাপক জানতে চায়। এটা হয়ত সরাসরি কোন দিক নির্দেশনা দেয় না, কিন্তু পরোক্ষ ভাবে অনেক সহায়তা করে।

না কে না বলুন

পারব না, এই কথাটাকে না বলুন। সমস্যা আসবে। প্রতিটা সমস্যা অনেক কষ্ট দিবে। সফলতাটাকে দূরে ঠেলে দিবে। কিন্তু সমস্যাটা আপনাকেই অতিক্রম করতে হবে। বসে থাকলে সমস্যার সমাধান হবে না। আপনার সমস্যা এবং আপনার সপ্ন দুইটাই আপনার। তাই না কে না বলতে শিখুন। দেখবেন আত্মবিশ্বাস চলে আসবে অনায়াসে।
শেষ করার আগে একটা ব্যাপার না বললেই নেই, আত্মবিশ্বাস এবং অতিরঞ্জিত আত্মবিশ্বাস (over confidence  হিসেবে বুঝাতে চেয়েছ, আমি নিশ্চিত নই এটার সঠিক বাংলা শব্দ কি হবে) এক নয়। তাই অতিরঞ্জিত আত্মবিশ্বাস থেকে দূরে থাকুন। আমি আমার সব পোষ্ট এর বাংলা সংস্করন লিখতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দিহান তাই আপনার চাইলে আমার ইংরেজি পোষ্ট গুলো পড়তে পারেন। আমি মুলত অনলাইন মার্কেটিং,  আত্ম উন্যয়ন, অনলাইনে ব্যাবসা সংক্রান্ত বিষয়ের উপর লিখে থাকি। আপনারা চাইলে আমার ইমেইল এর তালিকাতেও লিপিবদ্ধ হতে পারেন।
সব শেষে আমার অর্ধাঙ্গিনিকে ধন্যবাদ, অনেক ইংরেজি শব্দের বাংলা খুজে পেতে সাহায্য করার জন্য। আপনাদের মতামত জানতে পারলে ভাল লাগবে, তাই আপনাদের মতামতের অপেক্ষাতে রইলাম।

Saturday, October 31, 2015


বর্তমান সময়ে প্রায় সবকিছুই অনলাইন কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে আর অনলাইনে ব্যবসা এই সময়ের একটি অন্যতম আলোচিত বিষয়। কিন্তু অনলাইনে প্রথম প্রথম ব্যবসা দাঁড় করাতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আপনি যদি অনলাইনে আপনার ব্যবসাকে আরো একটু এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে সেক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃ
আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা হবে আপনার প্রথম ও প্রধান কাজ। সেক্ষেত্রে আপনি প্রথমেই একটি পেশাদারি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
ব্যবসার প্রসারের জন্য ফেসবুককে কাজে লাগানঃ
আপনি খুব সহজেই ফেসবুকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত একটি পেজ খুলতে পারেন।ফেসবুক বর্তমানে ২৫ মিলিয়ন সক্রিয় ছোট ব্যবসা পেজ আছে যার মাধ্যমে আপনি খুব স্বল্প সময়ে আপনার ব্যবসার ধারণা এমনকি পণ্য সম্পর্কে ব্যাপক সাড়া পেতে পারেন।
লিঙ্কডইন এর ব্যবহারঃ
আপনার ব্যবসার প্রসারের আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হল লিঙ্কডইন। লিঙ্কডইন সম্ভাব্য গ্রাহক হিসেবে আপনার শিল্পে সহকর্মী এবং অন্যদের সাথে আপনার সংযোগ স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এক্ষেত্রে আপনাকে একটি পৃথক লিঙ্কডইন প্রোফাইল এবং একটি পৃথক ব্যবসার পাতা তৈরি করতে হবে।
ব্লগে লেখালেখি করুন
ব্লগ পোস্ট লিখুন ও মন্তব্য করা শুরু করুন। ফোরামে প্রশ্নের উত্তর দিন। এমন হাজার হাজার ফোরাম আছে এখানে গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে আপনার ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারেন।
আপনার পাঠকের নিত্য নতুন জিজ্ঞাসা বা মতামতের উত্তর দিন
আপনার গ্রাহকদের বা পাঠকদের জিজ্ঞাসা করুন যে আপনার পণ্য কিভাবে পেতে চাইছে বা পেলে উপকৃত হতে পারে। এর ফলে গ্রাহকের চাহিদা সম্পর্কে আপনি একটি স্বচ্ছ ধারণা পেতে পারেন। বিশ্বাস করুন আপনি প্রশ্ন করলেই তারা উত্তর দেবে।
একটি ভিডিও বার্তা ধারন করতে পারেনঃ
আপনি আপনার বিজনেস সম্পর্কে বা আপনার পণ্য সম্পর্কে বলার জন্য একটি ভিডিও বার্তা ধারণ করতে পারেন। অল্পকিছু সময় ব্যয় করুন ভিডিওটি শুটিং করুন এবং ইউ টিউবে-এ এটি আপলোড করুন। আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুদের সাথেও এটি শেয়ার করতে পারেন।
এছাড়া আপনি আ্যপস ব্যবহার করেও নিজের ব্যবসার ধারণা অন্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
http://www.poramorsho.com/how-to-promote-online-bussiness/


... নাজিয়া কাইয়ুম

আজকাল অনেকে পড়ার ফাঁকে একটু বিশ্রামের জন্য ফেসবুকে ঢোকেন বা গেম খেলেনযাতে সত্যিকার অর্থে বিশ্রাম হয় না। তার চেয়ে বরং কর্মক্ষমতা বাড়ায় সেরকম ছোট এক টুকরো ডার্ক চকলেট মুখে দিয়ে পছন্দের গান শুনতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেন। এতে করে মাথাটা খালি তো হবেই এবং পড়াশোনায়ও মনোযোগ ফিরে আসবে।

না পড়লে পড়ে যেতে হয়। কিন্তু পড়ে যেতে কে চায় বলুনপ্রতিযোগীতার এই যুগে নিজেকে সেরাদের দলে টিকিয়ে রাখতে পড়াশুনার চাপ সইতে হয় অনেক। তবে নানা কারণে পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা বেশ কঠিন। এই কঠিন কাজকে সহজ করা সম্ভব মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতে পারলে। তাই শিখে নিতে পারেন কিছু সহজ উপায়-
মনোযোগ বাড়াতেপড়তে যখন একদমই ইচ্ছা করে নাতখন কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়লে তা মনে রাখা সহজ হয়। টোসের একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৩০০ ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে করা এক সমীক্ষার ফলাফল থেকে এই তথ্য জানা গেছে। পরীক্ষায় দেখা যায়যারা বসে পড়াশোনা করেছিলো তাদের তুলনায় দাঁড়িয়ে পড়ুয়াদের মনোযোগ ছিল অনেক বেশি। তাছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করলেও বেশি মনে থাকে।
দায়িত্ববোধছোটবেলা থেকেই যারা অস্থির প্রকৃতিরপড়াশোনা বা অন্য কিছুতেও তেমন আগ্রহ নেই বা মন বসাতে পারেনা তাদের জন্য নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা। এমন ছেলেমেয়েকে কোনো পোষা প্রাণি কিনে দেয়া যেতে পারে। ছোট ভাই-বোনের কিছুটা দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এতে তারা কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে পারেআত্মবিশ্বাস বাড়তে পারে। কারণ আত্মবিশ্বাসই পড়াশোনায় মনোযোগ এনে দেবে।
পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের দিতে হবে যথেষ্ট ভিটামিনমিনারেল এবং পানীয় অর্থাৎ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। প্রধান খাবারের ফাঁকে দেশি ফলদুধডিমমিনারেলআয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। মনোযোগ ঠিক রাখতে জার্মানির অনেক স্কুলের টিফিনে আপেল খেতে দেয়া হয়। তাই বাচ্চাদের প্রতিদিন দুয়েকটা করে আপেল খেতে দেয়া যেতে পারে।
মস্তিষ্কের খাবার নানা রকমের বাদামআখরোটসামুদ্রিক মাছশাক-সবজিফলগ্রিন-টিসহ বিভিন্ন চা। এসব খাবার শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। পড়াশোনার মাঝে পাকা টমেটো বা টমেটোর জুসও খাওয়া যেতে পারে। মাত্র ১০০ গ্রাম টমেটোতে পাবেন ২৫ গ্রাম ভিটামিন ‘সি’ এবং পটাশিয়াম। এসব উপাদান মস্তিষ্কের সঠিক গঠন নিশ্চিত করে।
ফাস্টফুডফাস্টফুডে থাকা নানা রকম রাসায়নিক উপাদান অনেকের জন্যই অ্যালার্জির কারণ হয়ে থাকে। এসব উপাদান মনোযোগ এবং শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই আজকের তরুণদের কাছে এসব খাবার প্রিয় হলেও শরীর ও মস্তিষ্কের কথা ভেবে কিছুটা সাবধান হওয়া উচিৎ।
ব্রেনের বিশ্রামআজকাল অনেকে পড়ার ফাঁকে একটু বিশ্রামের জন্য ফেসবুকে ঢোকেন বা গেম খেলেনযাতে সত্যিকার অর্থে বিশ্রাম হয় না। তার চেয়ে বরং কর্মক্ষমতা বাড়ায় সেরকম ছোট এক টুকরো ডার্ক চকলেট মুখে দিয়ে পছন্দের গান শুনতে পারেন। বন্ধুদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলতে পারেন। এতে করে মাথাটা খালি তো হবেই এবং পড়াশোনায়ও মনোযোগ ফিরে আসবে।
ব্যায়ামগবেষকরা মনে করেনশারীরিক পরিশ্রম অর্থাৎ খেলাধুলা বা ব্যায়াম মানসিক চাপ থেকে সহজে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ব্যায়াম বা খেলাধুলা করার ফলে শরীরে হরমোনের প্রকাশ ঘটে কিছুটা অন্যভাবে। আর স্বাভাবিকভাবেই তার সু-প্রভাব পড়ে মনোযোগে। পড়াশুনা করাও সহজ হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষেও ভালো ফলাফল করা সম্ভব হবে।
 

sutro ২৮ অক্টোবর বুধবার ২০১৫ খ্রিঃ

Monday, October 26, 2015

 http://www.bangla-news.net/wp-content/uploads/2015/10/%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%98-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8B%E0%A6%AA%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF3.jpg
বিশ্বস্ততার কোনো বিকল্প নেই
সুখী সংসার গঠনের পূর্বতম শর্ত হলো বিশ্বস্ততা। সম্পর্কের শুরু থেকেই আপনি যা সেটাই প্রকাশ করুন। চেষ্টা করবেন নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মিথ্যাচার না করতে। নিজেদের যৌথ জীবন হোক কিংবা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত কোনো বিষয়- যে কথাটি বলা যায় না, তা বলবেন না। কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। নীরব থাকা আর মিথ্যাচারের মাঝে কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাৎ। তবে চেষ্টা করবেন যেন কিছু গোপন করতে না হয়।
কাজ ভাগাভাগি করে নিন
পরিবারের দায়িত্ব দুজন মিলেই ভাগ করে নিন। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যখন চাকরিজীবী, ঘরের সব কাজ স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে না দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিন। এতে পাশাপাশি থাকার ফলে দুজনের মধ্যে হৃদ্যতা আরও গাঢ় হবে।
আর্থিক দিক থেকে পরিষ্কার থাকুন
অর্থই অনর্থের মূল। পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব রয়েছে। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনি নির্দিষ্ট কোনো খাতে টাকা জমাতেই পারেন। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি আপনার সঙ্গীকে জানানোও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও টাকা বিনিয়োগ করলে কিংবা বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের টাকা ধার দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সঙ্গীর কাছে লুকাতে যাবেন না।
পারিবারিক বলয়
সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি হলে ধীরে ধীরে তা সমূলে সম্পর্ককে ধ্বংস করে। দাম্পত্য জীবনে একে অপরের কাছে স্বচ্ছতার বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। পেশাগত ব্যস্ততা, সন্তান লালন-পালন, শরীরচর্চা, ঘরের কাজ কিংবা সামাজিক কাজ নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও তার জন্য কিছু সময় অবশ্যই বরাদ্দ রাখুন।
একে অন্যকে প্রাধান্য দিন
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর প্রাধান্য যে কোনো সম্পর্ককে মজবুত করতে পারে। সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করলে বন্ধন দৃঢ় হয়। সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়ে প্রাধান্য দেওয়ায়। তাই যাকে আপনি বিয়ে করেছেন, অবশ্যই তাকে জীবনের অপরিহার্যের সম্মান দিন। সঙ্গীর অনুভূতি ও সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন।
ছাড় দেওয়ার মানসিকতা
অনেকের ধারণা, ছাড় দেওয়ার অর্থ নিজের দুর্বলতা প্রকাশ। এ জন্য কোনো অবস্থাতেই তারা সমঝোতার পথে আসতে রাজি নন। বাস্তবতা হলো, জীবনে চলার পথে সব দম্পতিকেই অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনো দুজন দুটি ভিন্ন মতের মাঝে আপনাকে দাঁড়াতে হয়। সবসময় নিজের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে সঙ্গীর মতামতকে ভালোমন্দের মানদণ্ডে মাপুন। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
স্তুতিবাক্য
স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রশংসা করুন। একদম ছোট ছোট জিনিসের জন্য, হতে পারে টেবিল পরিষ্কার করার জন্য, কিনে আনা টিস্যু প্যাকেটের জন্য, আপনার কাপড় গুছিয়ে রাখার জন্য ধন্যবাদ দিতেই পারেন। ছোট একটি ধন্যবাদ কিংবা এক মুহূর্তের প্রশংসা আপনার সঙ্গীর মন ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই।
 
মন বুঝে চলুন
সঙ্গীর মন রক্ষা করা কিংবা বুঝে চলার ওপরও সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে। বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় করার চেষ্টা করুন। কোনোভাবেই যদি আপনি সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহজ হতে না পারেন, তাহলে অন্তত তাদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করুন। পাশাপাশি সঙ্গীর অন্য ছোটখাটো পছন্দগুলোকে প্রাধান্য দিন।
ভালোবাসুন প্রতিদিন
দিনক্ষণ না গুনে প্রতিদিন ভালোবাসার চর্চা করুন। আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো প্রকাশ করে প্রশংসা করুন। আদেশ, অনুযোগ কিংবা তিরস্কার নয়। ইতিবাচক, গঠনমূলক সমালোচনা করুন, এটা আপনার সঙ্গীকে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে।
স্বাধীনতা উপভোগ
স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার খর্ব হলে সম্পর্কের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা এবং আচরণে অসঙ্গতি দেখা যায়, কমে যায় শ্রদ্ধাবোধ। জীবনসঙ্গীকে তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্থানগুলো অবশ্যই উপভোগ করতে দিন। তাতে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা বাড়বে বই কমবে না।
আনন্দময় যৌন জীবন
মানুষ কেবল যৌন সম্পর্কের জন্যই বিয়ে করে, এটা খুবই ভুল একটি ধারণা। তবে এটাই ঠিক যে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সুস্থ ও আনন্দময় যৌন সম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক বন্ধনের মাধ্যমে মানসিক বন্ধনও দৃঢ় হয় ও দাম্পত্যে প্রতারণা অনেক কমে যায়।
বাস্তববাদী হোন
বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আপনার সঙ্গীও একজন মানুষ, সঙ্গে আপনিও। দোষ-ত্রুটি বিবেচনায় রাখুন, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। নিজের দোষের জন্য অপরজনকে দায়ী না করে নিজেই দায়িত্ব নিতে শিখুন।
খোলামেলা থাকুন
দুজনের মধ্যে কোনো বিষয় গোপন রাখবেন না। একজন আরেকজনের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। যদি আপনি কিছু গোপন রাখেন এবং পরে প্রকাশ পায়, তবে তা নিঃসন্দেহে আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দেখাতে গিয়ে ফেসবুক বা সেলফোনের আড়ালে এমন কিছু করবেন না যেটি আপনার সঙ্গী জানলে বিপদ হতে পারে। যদি সুযোগ থাকে এসব সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারগুলোও একে অন্যের কাছে খোলাসা রাখতে পারেন। আপনার সততা, খোলামেলা কথাবার্তা আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস অটুট রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
অভিমান দীর্ঘায়িত নয়
দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু ঝগড়া হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। বরং রাগ কমে গেলে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন ব্যাপারটি নিয়ে। যদি নিজের দোষ বেশি মনে হয়, তাহলে নিজেই উদ্যোগী হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যদি অন্য মানুষটির দোষ হয়ে থাকে, তাহলে তাকেও সময় দিন চিন্তা করার এবং ক্ষমা চাইতে উদ্যোগী হওয়ার। তার সঙ্গে অহেতুক খারাপ ব্যবহার করবেন না।
সংযত আবেগ
খুব বেশি ইমোশনাল হবেন না যেন। এটা পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার মূলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আসলেই আবেগ খুব খারাপ জিনিস। যতক্ষণ এটা ইতিবাচক ততক্ষণ চমৎকার। কিন্তু নেতিবাচক মনে যে আবেগ জমাট বেঁধে ওঠে, তার কঠিন ধাক্কায় ভেসে যেতে পারে সব ধরনের মানবিক শুভবোধ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও তা সর্বনাশা আঘাত হানে।
সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা যা করবেন :
- সারাদিন একবারের জন্য হলেও দুজন দুজনের সঙ্গে সময় কাটান অন্তত ১০ মিনিট।
- নিজের ভুল থেকে শিখুন। যখনই আপনি বলবেন, 'আমি দুঃখিত' এর মানে 'আমি এই ভুল আর করব না' হওয়াই উচিত।
- একজন ভালো শ্রোতা হওয়াও বড় গুণ। চুপ থাকুন এবং শুনুন। মুখ বন্ধ-কান খোলা রেখেও আপনি আপনার সঙ্গীর ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন। ডায়মন্ড রিং কিংবা দামি ঘড়ি উপহার দিতে পারছেন না বলে মন খারাপের দরকার নেই। বরং আপনার ছোট ছোট মুহূর্ত, জমানো স্মৃতি উপহার দিয়ে চমকে দিন।
- জীবন সবসময় এক রকম কাটে না। ভালো সময়ের পর খারাপ সময় আসতেই পারে। তাই তৈরি থাকুন, মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে রাখুন। এটি জীবনকে সহজ করে তুলবে।
- খারাপ সময়েও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও আপনার এই চিন্তাভাবনা, হাসি আপনার সঙ্গীকে অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেবে এবং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে।
- কোনো সম্পর্কই এক নয়, তাই অন্যের সম্পর্কের উদাহরণ না টেনে নিজেদের সম্পর্কের সফলতা-বিফলতা থেকে শিখুন।
- বাইরের মানুষের সামনে কখনোই তর্ক করবেন না। এটি আপনার সঙ্গীর জন্য বিব্রতকর। তবে ভালোবাসা প্রকাশে পিছপা হবেন না।
- যে যাই বলুক আপনি আপনার সঙ্গীকে মন দিয়ে বিশ্বাস করুন, শ্রদ্ধা করুন। কোনো কিছু নিজে থেকেই ভেবে বসবেন না, রাগারাগি না করে সরাসরি প্রশ্ন করুন, ব্যাখ্যা চাইতে পারেন।
- গুরুত্বপূর্ণ কিংবা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একবারের জন্য হলেও আপনার সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করুন।
- আপনার সঙ্গীকে সাফল্য পেতে উৎসাহিত করুন, সেটা পড়ালেখার ক্ষেত্রে হোক, চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক না কেন। এতে আপনি তার স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের যত্ন নিচ্ছেন প্রকাশ পাবে এবং আপনাদের ভালোবাসাকে করবে শক্তিশালী।
- প্রতিদিন রোমান্সের মধ্য দিয়ে যাবে এমন মনোভাব না রেখে বরং নিজেকে তৈরি রাখুন টেনশনের মুহূর্তে ভালো থাকার, ধৈর্য ধরুন,সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হবে।

বিশ্বস্ততার কোনো বিকল্প নেই

সুখী সংসার গঠনের পূর্বতম শর্ত হলো বিশ্বস্ততা। সম্পর্কের শুরু থেকেই আপনি যা সেটাই প্রকাশ করুন। চেষ্টা করবেন নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মিথ্যাচার না করতে। নিজেদের যৌথ জীবন হোক কিংবা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত কোনো বিষয়- যে কথাটি বলা যায় না, তা বলবেন না। কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। নীরব থাকা আর মিথ্যাচারের মাঝে কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাৎ। তবে চেষ্টা করবেন যেন কিছু গোপন করতে না হয়।

কাজ ভাগাভাগি করে নিন

পরিবারের দায়িত্ব দুজন মিলেই ভাগ করে নিন। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যখন চাকরিজীবী, ঘরের সব কাজ স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে না দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিন। এতে পাশাপাশি থাকার ফলে দুজনের মধ্যে হৃদ্যতা আরও গাঢ় হবে।

আর্থিক দিক থেকে পরিষ্কার থাকুন

অর্থই অনর্থের মূল। পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব রয়েছে। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনি নির্দিষ্ট কোনো খাতে টাকা জমাতেই পারেন। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি আপনার সঙ্গীকে জানানোও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও টাকা বিনিয়োগ করলে কিংবা বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের টাকা ধার দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সঙ্গীর কাছে লুকাতে যাবেন না।

পারিবারিক বলয়

সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি হলে ধীরে ধীরে তা সমূলে সম্পর্ককে ধ্বংস করে। দাম্পত্য জীবনে একে অপরের কাছে স্বচ্ছতার বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। পেশাগত ব্যস্ততা, সন্তান লালন-পালন, শরীরচর্চা, ঘরের কাজ কিংবা সামাজিক কাজ নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও তার জন্য কিছু সময় অবশ্যই বরাদ্দ রাখুন।

একে অন্যকে প্রাধান্য দিন

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর প্রাধান্য যে কোনো সম্পর্ককে মজবুত করতে পারে। সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করলে বন্ধন দৃঢ় হয়। সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়ে প্রাধান্য দেওয়ায়। তাই যাকে আপনি বিয়ে করেছেন, অবশ্যই তাকে জীবনের অপরিহার্যের সম্মান দিন। সঙ্গীর অনুভূতি ও সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন।

ছাড় দেওয়ার মানসিকতা

অনেকের ধারণা, ছাড় দেওয়ার অর্থ নিজের দুর্বলতা প্রকাশ। এ জন্য কোনো অবস্থাতেই তারা সমঝোতার পথে আসতে রাজি নন। বাস্তবতা হলো, জীবনে চলার পথে সব দম্পতিকেই অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনো দুজন দুটি ভিন্ন মতের মাঝে আপনাকে দাঁড়াতে হয়। সবসময় নিজের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে সঙ্গীর মতামতকে ভালোমন্দের মানদণ্ডে মাপুন। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

স্তুতিবাক্য

স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রশংসা করুন। একদম ছোট ছোট জিনিসের জন্য, হতে পারে টেবিল পরিষ্কার করার জন্য, কিনে আনা টিস্যু প্যাকেটের জন্য, আপনার কাপড় গুছিয়ে রাখার জন্য ধন্যবাদ দিতেই পারেন। ছোট একটি ধন্যবাদ কিংবা এক মুহূর্তের প্রশংসা আপনার সঙ্গীর মন ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই।

মন বুঝে চলুন

সঙ্গীর মন রক্ষা করা কিংবা বুঝে চলার ওপরও সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে। বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় করার চেষ্টা করুন। কোনোভাবেই যদি আপনি সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহজ হতে না পারেন, তাহলে অন্তত তাদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করুন। পাশাপাশি সঙ্গীর অন্য ছোটখাটো পছন্দগুলোকে প্রাধান্য দিন।

ভালোবাসুন প্রতিদিন

দিনক্ষণ না গুনে প্রতিদিন ভালোবাসার চর্চা করুন। আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো প্রকাশ করে প্রশংসা করুন। আদেশ, অনুযোগ কিংবা তিরস্কার নয়। ইতিবাচক, গঠনমূলক সমালোচনা করুন, এটা আপনার সঙ্গীকে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে।

স্বাধীনতা উপভোগ

স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার খর্ব হলে সম্পর্কের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা এবং আচরণে অসঙ্গতি দেখা যায়, কমে যায় শ্রদ্ধাবোধ। জীবনসঙ্গীকে তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্থানগুলো অবশ্যই উপভোগ করতে দিন। তাতে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা বাড়বে বই কমবে না।

আনন্দময় যৌন জীবন

মানুষ কেবল যৌন সম্পর্কের জন্যই বিয়ে করে, এটা খুবই ভুল একটি ধারণা। তবে এটাই ঠিক যে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সুস্থ ও আনন্দময় যৌন সম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক বন্ধনের মাধ্যমে মানসিক বন্ধনও দৃঢ় হয় ও দাম্পত্যে প্রতারণা অনেক কমে যায়।

বাস্তববাদী হোন

বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আপনার সঙ্গীও একজন মানুষ, সঙ্গে আপনিও। দোষ-ত্রুটি বিবেচনায় রাখুন, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। নিজের দোষের জন্য অপরজনকে দায়ী না করে নিজেই দায়িত্ব নিতে শিখুন।

খোলামেলা থাকুন

দুজনের মধ্যে কোনো বিষয় গোপন রাখবেন না। একজন আরেকজনের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। যদি আপনি কিছু গোপন রাখেন এবং পরে প্রকাশ পায়, তবে তা নিঃসন্দেহে আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দেখাতে গিয়ে ফেসবুক বা সেলফোনের আড়ালে এমন কিছু করবেন না যেটি আপনার সঙ্গী জানলে বিপদ হতে পারে। যদি সুযোগ থাকে এসব সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারগুলোও একে অন্যের কাছে খোলাসা রাখতে পারেন। আপনার সততা, খোলামেলা কথাবার্তা আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস অটুট রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

অভিমান দীর্ঘায়িত নয়

দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু ঝগড়া হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। বরং রাগ কমে গেলে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন ব্যাপারটি নিয়ে। যদি নিজের দোষ বেশি মনে হয়, তাহলে নিজেই উদ্যোগী হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যদি অন্য মানুষটির দোষ হয়ে থাকে, তাহলে তাকেও সময় দিন চিন্তা করার এবং ক্ষমা চাইতে উদ্যোগী হওয়ার। তার সঙ্গে অহেতুক খারাপ ব্যবহার করবেন না।

সংযত আবেগ

খুব বেশি ইমোশনাল হবেন না যেন। এটা পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার মূলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আসলেই আবেগ খুব খারাপ জিনিস। যতক্ষণ এটা ইতিবাচক ততক্ষণ চমৎকার। কিন্তু নেতিবাচক মনে যে আবেগ জমাট বেঁধে ওঠে, তার কঠিন ধাক্কায় ভেসে যেতে পারে সব ধরনের মানবিক শুভবোধ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও তা সর্বনাশা আঘাত হানে।

সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা যা করবেন :

- সারাদিন একবারের জন্য হলেও দুজন দুজনের সঙ্গে সময় কাটান অন্তত ১০ মিনিট।
- নিজের ভুল থেকে শিখুন। যখনই আপনি বলবেন, 'আমি দুঃখিত' এর মানে 'আমি এই ভুল আর করব না' হওয়াই উচিত।
- একজন ভালো শ্রোতা হওয়াও বড় গুণ। চুপ থাকুন এবং শুনুন। মুখ বন্ধ-কান খোলা রেখেও আপনি আপনার সঙ্গীর ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন। ডায়মন্ড রিং কিংবা দামি ঘড়ি উপহার দিতে পারছেন না বলে মন খারাপের দরকার নেই। বরং আপনার ছোট ছোট মুহূর্ত, জমানো স্মৃতি উপহার দিয়ে চমকে দিন।
- জীবন সবসময় এক রকম কাটে না। ভালো সময়ের পর খারাপ সময় আসতেই পারে। তাই তৈরি থাকুন, মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে রাখুন। এটি জীবনকে সহজ করে তুলবে।
- খারাপ সময়েও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও আপনার এই চিন্তাভাবনা, হাসি আপনার সঙ্গীকে অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেবে এবং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে।
- কোনো সম্পর্কই এক নয়, তাই অন্যের সম্পর্কের উদাহরণ না টেনে নিজেদের সম্পর্কের সফলতা-বিফলতা থেকে শিখুন।
- বাইরের মানুষের সামনে কখনোই তর্ক করবেন না। এটি আপনার সঙ্গীর জন্য বিব্রতকর। তবে ভালোবাসা প্রকাশে পিছপা হবেন না।
- যে যাই বলুক আপনি আপনার সঙ্গীকে মন দিয়ে বিশ্বাস করুন, শ্রদ্ধা করুন। কোনো কিছু নিজে থেকেই ভেবে বসবেন না, রাগারাগি না করে সরাসরি প্রশ্ন করুন, ব্যাখ্যা চাইতে পারেন।
- গুরুত্বপূর্ণ কিংবা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একবারের জন্য হলেও আপনার সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করুন।
- আপনার সঙ্গীকে সাফল্য পেতে উৎসাহিত করুন, সেটা পড়ালেখার ক্ষেত্রে হোক, চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক না কেন। এতে আপনি তার স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের যত্ন নিচ্ছেন প্রকাশ পাবে এবং আপনাদের ভালোবাসাকে করবে শক্তিশালী।
- প্রতিদিন রোমান্সের মধ্য দিয়ে যাবে এমন মনোভাব না রেখে বরং নিজেকে তৈরি রাখুন টেনশনের মুহূর্তে ভালো থাকার, ধৈর্য ধরুন,সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হবে।
- See more at: http://answers.priyo.com/question/4785-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A7%80#sthash.V4UDvIEI.dpuf

বিশ্বস্ততার কোনো বিকল্প নেই

সুখী সংসার গঠনের পূর্বতম শর্ত হলো বিশ্বস্ততা। সম্পর্কের শুরু থেকেই আপনি যা সেটাই প্রকাশ করুন। চেষ্টা করবেন নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মিথ্যাচার না করতে। নিজেদের যৌথ জীবন হোক কিংবা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত কোনো বিষয়- যে কথাটি বলা যায় না, তা বলবেন না। কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। নীরব থাকা আর মিথ্যাচারের মাঝে কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাৎ। তবে চেষ্টা করবেন যেন কিছু গোপন করতে না হয়।

কাজ ভাগাভাগি করে নিন

পরিবারের দায়িত্ব দুজন মিলেই ভাগ করে নিন। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যখন চাকরিজীবী, ঘরের সব কাজ স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে না দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিন। এতে পাশাপাশি থাকার ফলে দুজনের মধ্যে হৃদ্যতা আরও গাঢ় হবে।

আর্থিক দিক থেকে পরিষ্কার থাকুন

অর্থই অনর্থের মূল। পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব রয়েছে। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনি নির্দিষ্ট কোনো খাতে টাকা জমাতেই পারেন। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি আপনার সঙ্গীকে জানানোও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও টাকা বিনিয়োগ করলে কিংবা বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের টাকা ধার দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সঙ্গীর কাছে লুকাতে যাবেন না।

পারিবারিক বলয়

সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি হলে ধীরে ধীরে তা সমূলে সম্পর্ককে ধ্বংস করে। দাম্পত্য জীবনে একে অপরের কাছে স্বচ্ছতার বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। পেশাগত ব্যস্ততা, সন্তান লালন-পালন, শরীরচর্চা, ঘরের কাজ কিংবা সামাজিক কাজ নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও তার জন্য কিছু সময় অবশ্যই বরাদ্দ রাখুন।

একে অন্যকে প্রাধান্য দিন

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর প্রাধান্য যে কোনো সম্পর্ককে মজবুত করতে পারে। সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করলে বন্ধন দৃঢ় হয়। সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়ে প্রাধান্য দেওয়ায়। তাই যাকে আপনি বিয়ে করেছেন, অবশ্যই তাকে জীবনের অপরিহার্যের সম্মান দিন। সঙ্গীর অনুভূতি ও সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন।

ছাড় দেওয়ার মানসিকতা

অনেকের ধারণা, ছাড় দেওয়ার অর্থ নিজের দুর্বলতা প্রকাশ। এ জন্য কোনো অবস্থাতেই তারা সমঝোতার পথে আসতে রাজি নন। বাস্তবতা হলো, জীবনে চলার পথে সব দম্পতিকেই অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনো দুজন দুটি ভিন্ন মতের মাঝে আপনাকে দাঁড়াতে হয়। সবসময় নিজের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে সঙ্গীর মতামতকে ভালোমন্দের মানদণ্ডে মাপুন। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

স্তুতিবাক্য

স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রশংসা করুন। একদম ছোট ছোট জিনিসের জন্য, হতে পারে টেবিল পরিষ্কার করার জন্য, কিনে আনা টিস্যু প্যাকেটের জন্য, আপনার কাপড় গুছিয়ে রাখার জন্য ধন্যবাদ দিতেই পারেন। ছোট একটি ধন্যবাদ কিংবা এক মুহূর্তের প্রশংসা আপনার সঙ্গীর মন ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই।

মন বুঝে চলুন

সঙ্গীর মন রক্ষা করা কিংবা বুঝে চলার ওপরও সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে। বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় করার চেষ্টা করুন। কোনোভাবেই যদি আপনি সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহজ হতে না পারেন, তাহলে অন্তত তাদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করুন। পাশাপাশি সঙ্গীর অন্য ছোটখাটো পছন্দগুলোকে প্রাধান্য দিন।

ভালোবাসুন প্রতিদিন

দিনক্ষণ না গুনে প্রতিদিন ভালোবাসার চর্চা করুন। আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো প্রকাশ করে প্রশংসা করুন। আদেশ, অনুযোগ কিংবা তিরস্কার নয়। ইতিবাচক, গঠনমূলক সমালোচনা করুন, এটা আপনার সঙ্গীকে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে।

স্বাধীনতা উপভোগ

স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার খর্ব হলে সম্পর্কের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা এবং আচরণে অসঙ্গতি দেখা যায়, কমে যায় শ্রদ্ধাবোধ। জীবনসঙ্গীকে তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্থানগুলো অবশ্যই উপভোগ করতে দিন। তাতে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা বাড়বে বই কমবে না।

আনন্দময় যৌন জীবন

মানুষ কেবল যৌন সম্পর্কের জন্যই বিয়ে করে, এটা খুবই ভুল একটি ধারণা। তবে এটাই ঠিক যে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সুস্থ ও আনন্দময় যৌন সম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক বন্ধনের মাধ্যমে মানসিক বন্ধনও দৃঢ় হয় ও দাম্পত্যে প্রতারণা অনেক কমে যায়।

বাস্তববাদী হোন

বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আপনার সঙ্গীও একজন মানুষ, সঙ্গে আপনিও। দোষ-ত্রুটি বিবেচনায় রাখুন, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। নিজের দোষের জন্য অপরজনকে দায়ী না করে নিজেই দায়িত্ব নিতে শিখুন।

খোলামেলা থাকুন

দুজনের মধ্যে কোনো বিষয় গোপন রাখবেন না। একজন আরেকজনের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। যদি আপনি কিছু গোপন রাখেন এবং পরে প্রকাশ পায়, তবে তা নিঃসন্দেহে আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দেখাতে গিয়ে ফেসবুক বা সেলফোনের আড়ালে এমন কিছু করবেন না যেটি আপনার সঙ্গী জানলে বিপদ হতে পারে। যদি সুযোগ থাকে এসব সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারগুলোও একে অন্যের কাছে খোলাসা রাখতে পারেন। আপনার সততা, খোলামেলা কথাবার্তা আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস অটুট রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

অভিমান দীর্ঘায়িত নয়

দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু ঝগড়া হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। বরং রাগ কমে গেলে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন ব্যাপারটি নিয়ে। যদি নিজের দোষ বেশি মনে হয়, তাহলে নিজেই উদ্যোগী হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যদি অন্য মানুষটির দোষ হয়ে থাকে, তাহলে তাকেও সময় দিন চিন্তা করার এবং ক্ষমা চাইতে উদ্যোগী হওয়ার। তার সঙ্গে অহেতুক খারাপ ব্যবহার করবেন না।

সংযত আবেগ

খুব বেশি ইমোশনাল হবেন না যেন। এটা পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার মূলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আসলেই আবেগ খুব খারাপ জিনিস। যতক্ষণ এটা ইতিবাচক ততক্ষণ চমৎকার। কিন্তু নেতিবাচক মনে যে আবেগ জমাট বেঁধে ওঠে, তার কঠিন ধাক্কায় ভেসে যেতে পারে সব ধরনের মানবিক শুভবোধ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও তা সর্বনাশা আঘাত হানে।

সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা যা করবেন :

- সারাদিন একবারের জন্য হলেও দুজন দুজনের সঙ্গে সময় কাটান অন্তত ১০ মিনিট।
- নিজের ভুল থেকে শিখুন। যখনই আপনি বলবেন, 'আমি দুঃখিত' এর মানে 'আমি এই ভুল আর করব না' হওয়াই উচিত।
- একজন ভালো শ্রোতা হওয়াও বড় গুণ। চুপ থাকুন এবং শুনুন। মুখ বন্ধ-কান খোলা রেখেও আপনি আপনার সঙ্গীর ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন। ডায়মন্ড রিং কিংবা দামি ঘড়ি উপহার দিতে পারছেন না বলে মন খারাপের দরকার নেই। বরং আপনার ছোট ছোট মুহূর্ত, জমানো স্মৃতি উপহার দিয়ে চমকে দিন।
- জীবন সবসময় এক রকম কাটে না। ভালো সময়ের পর খারাপ সময় আসতেই পারে। তাই তৈরি থাকুন, মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে রাখুন। এটি জীবনকে সহজ করে তুলবে।
- খারাপ সময়েও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও আপনার এই চিন্তাভাবনা, হাসি আপনার সঙ্গীকে অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেবে এবং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে।
- কোনো সম্পর্কই এক নয়, তাই অন্যের সম্পর্কের উদাহরণ না টেনে নিজেদের সম্পর্কের সফলতা-বিফলতা থেকে শিখুন।
- বাইরের মানুষের সামনে কখনোই তর্ক করবেন না। এটি আপনার সঙ্গীর জন্য বিব্রতকর। তবে ভালোবাসা প্রকাশে পিছপা হবেন না।
- যে যাই বলুক আপনি আপনার সঙ্গীকে মন দিয়ে বিশ্বাস করুন, শ্রদ্ধা করুন। কোনো কিছু নিজে থেকেই ভেবে বসবেন না, রাগারাগি না করে সরাসরি প্রশ্ন করুন, ব্যাখ্যা চাইতে পারেন।
- গুরুত্বপূর্ণ কিংবা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একবারের জন্য হলেও আপনার সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করুন।
- আপনার সঙ্গীকে সাফল্য পেতে উৎসাহিত করুন, সেটা পড়ালেখার ক্ষেত্রে হোক, চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক না কেন। এতে আপনি তার স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের যত্ন নিচ্ছেন প্রকাশ পাবে এবং আপনাদের ভালোবাসাকে করবে শক্তিশালী।
- প্রতিদিন রোমান্সের মধ্য দিয়ে যাবে এমন মনোভাব না রেখে বরং নিজেকে তৈরি রাখুন টেনশনের মুহূর্তে ভালো থাকার, ধৈর্য ধরুন,সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হবে।
- See more at: http://answers.priyo.com/question/4785-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A7%80#sthash.V4UDvIEI.dpuf

বিশ্বস্ততার কোনো বিকল্প নেই

সুখী সংসার গঠনের পূর্বতম শর্ত হলো বিশ্বস্ততা। সম্পর্কের শুরু থেকেই আপনি যা সেটাই প্রকাশ করুন। চেষ্টা করবেন নিজের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে মিথ্যাচার না করতে। নিজেদের যৌথ জীবন হোক কিংবা আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত কোনো বিষয়- যে কথাটি বলা যায় না, তা বলবেন না। কিন্তু মিথ্যাচার করবেন না। নীরব থাকা আর মিথ্যাচারের মাঝে কিন্তু আকাশ-পাতাল তফাৎ। তবে চেষ্টা করবেন যেন কিছু গোপন করতে না হয়।

কাজ ভাগাভাগি করে নিন

পরিবারের দায়িত্ব দুজন মিলেই ভাগ করে নিন। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যখন চাকরিজীবী, ঘরের সব কাজ স্ত্রীর ওপর চাপিয়ে না দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিন। এতে পাশাপাশি থাকার ফলে দুজনের মধ্যে হৃদ্যতা আরও গাঢ় হবে।

আর্থিক দিক থেকে পরিষ্কার থাকুন

অর্থই অনর্থের মূল। পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব রয়েছে। নিজেদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনি নির্দিষ্ট কোনো খাতে টাকা জমাতেই পারেন। গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি আপনার সঙ্গীকে জানানোও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোথাও টাকা বিনিয়োগ করলে কিংবা বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের টাকা ধার দেওয়ার প্রয়োজন পড়লে সঙ্গীর কাছে লুকাতে যাবেন না।

পারিবারিক বলয়

সঙ্গীর সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি হলে ধীরে ধীরে তা সমূলে সম্পর্ককে ধ্বংস করে। দাম্পত্য জীবনে একে অপরের কাছে স্বচ্ছতার বিষয়টি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। পেশাগত ব্যস্ততা, সন্তান লালন-পালন, শরীরচর্চা, ঘরের কাজ কিংবা সামাজিক কাজ নিয়ে শত ব্যস্ততার মাঝেও তার জন্য কিছু সময় অবশ্যই বরাদ্দ রাখুন।

একে অন্যকে প্রাধান্য দিন

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর প্রাধান্য যে কোনো সম্পর্ককে মজবুত করতে পারে। সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করলে বন্ধন দৃঢ় হয়। সম্পর্কের স্থায়িত্ব বাড়ে প্রাধান্য দেওয়ায়। তাই যাকে আপনি বিয়ে করেছেন, অবশ্যই তাকে জীবনের অপরিহার্যের সম্মান দিন। সঙ্গীর অনুভূতি ও সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা করতে শিখুন।

ছাড় দেওয়ার মানসিকতা

অনেকের ধারণা, ছাড় দেওয়ার অর্থ নিজের দুর্বলতা প্রকাশ। এ জন্য কোনো অবস্থাতেই তারা সমঝোতার পথে আসতে রাজি নন। বাস্তবতা হলো, জীবনে চলার পথে সব দম্পতিকেই অসংখ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনো দুজন দুটি ভিন্ন মতের মাঝে আপনাকে দাঁড়াতে হয়। সবসময় নিজের মতকে প্রাধান্য না দিয়ে সঙ্গীর মতামতকে ভালোমন্দের মানদণ্ডে মাপুন। ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।

স্তুতিবাক্য

স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রশংসা করুন। একদম ছোট ছোট জিনিসের জন্য, হতে পারে টেবিল পরিষ্কার করার জন্য, কিনে আনা টিস্যু প্যাকেটের জন্য, আপনার কাপড় গুছিয়ে রাখার জন্য ধন্যবাদ দিতেই পারেন। ছোট একটি ধন্যবাদ কিংবা এক মুহূর্তের প্রশংসা আপনার সঙ্গীর মন ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই।

মন বুঝে চলুন

সঙ্গীর মন রক্ষা করা কিংবা বুঝে চলার ওপরও সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে। বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় করার চেষ্টা করুন। কোনোভাবেই যদি আপনি সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সহজ হতে না পারেন, তাহলে অন্তত তাদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করুন। পাশাপাশি সঙ্গীর অন্য ছোটখাটো পছন্দগুলোকে প্রাধান্য দিন।

ভালোবাসুন প্রতিদিন

দিনক্ষণ না গুনে প্রতিদিন ভালোবাসার চর্চা করুন। আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলো প্রকাশ করে প্রশংসা করুন। আদেশ, অনুযোগ কিংবা তিরস্কার নয়। ইতিবাচক, গঠনমূলক সমালোচনা করুন, এটা আপনার সঙ্গীকে একজন ভালো মানুষ হতে সাহায্য করবে।

স্বাধীনতা উপভোগ

স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার খর্ব হলে সম্পর্কের প্রতি মানুষের বিতৃষ্ণা এবং আচরণে অসঙ্গতি দেখা যায়, কমে যায় শ্রদ্ধাবোধ। জীবনসঙ্গীকে তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার স্থানগুলো অবশ্যই উপভোগ করতে দিন। তাতে আপনার প্রতি তার ভালোবাসা বাড়বে বই কমবে না।

আনন্দময় যৌন জীবন

মানুষ কেবল যৌন সম্পর্কের জন্যই বিয়ে করে, এটা খুবই ভুল একটি ধারণা। তবে এটাই ঠিক যে, একটি সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য সুস্থ ও আনন্দময় যৌন সম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক বন্ধনের মাধ্যমে মানসিক বন্ধনও দৃঢ় হয় ও দাম্পত্যে প্রতারণা অনেক কমে যায়।

বাস্তববাদী হোন

বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করুন। দোষ-গুণ নিয়েই মানুষ। আপনার সঙ্গীও একজন মানুষ, সঙ্গে আপনিও। দোষ-ত্রুটি বিবেচনায় রাখুন, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। নিজের দোষের জন্য অপরজনকে দায়ী না করে নিজেই দায়িত্ব নিতে শিখুন।

খোলামেলা থাকুন

দুজনের মধ্যে কোনো বিষয় গোপন রাখবেন না। একজন আরেকজনের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। যদি আপনি কিছু গোপন রাখেন এবং পরে প্রকাশ পায়, তবে তা নিঃসন্দেহে আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দেখাতে গিয়ে ফেসবুক বা সেলফোনের আড়ালে এমন কিছু করবেন না যেটি আপনার সঙ্গী জানলে বিপদ হতে পারে। যদি সুযোগ থাকে এসব সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপারগুলোও একে অন্যের কাছে খোলাসা রাখতে পারেন। আপনার সততা, খোলামেলা কথাবার্তা আপনার সঙ্গীর বিশ্বাস অটুট রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

অভিমান দীর্ঘায়িত নয়

দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু ঝগড়া হলেই গাল ফুলিয়ে বসে থাকার কোনো মানে হয় না। বরং রাগ কমে গেলে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন ব্যাপারটি নিয়ে। যদি নিজের দোষ বেশি মনে হয়, তাহলে নিজেই উদ্যোগী হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যদি অন্য মানুষটির দোষ হয়ে থাকে, তাহলে তাকেও সময় দিন চিন্তা করার এবং ক্ষমা চাইতে উদ্যোগী হওয়ার। তার সঙ্গে অহেতুক খারাপ ব্যবহার করবেন না।

সংযত আবেগ

খুব বেশি ইমোশনাল হবেন না যেন। এটা পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠার মূলে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আসলেই আবেগ খুব খারাপ জিনিস। যতক্ষণ এটা ইতিবাচক ততক্ষণ চমৎকার। কিন্তু নেতিবাচক মনে যে আবেগ জমাট বেঁধে ওঠে, তার কঠিন ধাক্কায় ভেসে যেতে পারে সব ধরনের মানবিক শুভবোধ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও তা সর্বনাশা আঘাত হানে।

সুখী দম্পতি হতে চাইলে যা যা করবেন :

- সারাদিন একবারের জন্য হলেও দুজন দুজনের সঙ্গে সময় কাটান অন্তত ১০ মিনিট।
- নিজের ভুল থেকে শিখুন। যখনই আপনি বলবেন, 'আমি দুঃখিত' এর মানে 'আমি এই ভুল আর করব না' হওয়াই উচিত।
- একজন ভালো শ্রোতা হওয়াও বড় গুণ। চুপ থাকুন এবং শুনুন। মুখ বন্ধ-কান খোলা রেখেও আপনি আপনার সঙ্গীর ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- বিশেষ দিনগুলো মনে রাখুন। ডায়মন্ড রিং কিংবা দামি ঘড়ি উপহার দিতে পারছেন না বলে মন খারাপের দরকার নেই। বরং আপনার ছোট ছোট মুহূর্ত, জমানো স্মৃতি উপহার দিয়ে চমকে দিন।
- জীবন সবসময় এক রকম কাটে না। ভালো সময়ের পর খারাপ সময় আসতেই পারে। তাই তৈরি থাকুন, মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করে রাখুন। এটি জীবনকে সহজ করে তুলবে।
- খারাপ সময়েও স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। শুনতে বেখাপ্পা লাগলেও আপনার এই চিন্তাভাবনা, হাসি আপনার সঙ্গীকে অতিরিক্ত উদ্বেগ থেকে মুক্তি দেবে এবং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে।
- কোনো সম্পর্কই এক নয়, তাই অন্যের সম্পর্কের উদাহরণ না টেনে নিজেদের সম্পর্কের সফলতা-বিফলতা থেকে শিখুন।
- বাইরের মানুষের সামনে কখনোই তর্ক করবেন না। এটি আপনার সঙ্গীর জন্য বিব্রতকর। তবে ভালোবাসা প্রকাশে পিছপা হবেন না।
- যে যাই বলুক আপনি আপনার সঙ্গীকে মন দিয়ে বিশ্বাস করুন, শ্রদ্ধা করুন। কোনো কিছু নিজে থেকেই ভেবে বসবেন না, রাগারাগি না করে সরাসরি প্রশ্ন করুন, ব্যাখ্যা চাইতে পারেন।
- গুরুত্বপূর্ণ কিংবা যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একবারের জন্য হলেও আপনার সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করুন।
- আপনার সঙ্গীকে সাফল্য পেতে উৎসাহিত করুন, সেটা পড়ালেখার ক্ষেত্রে হোক, চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রেই হোক না কেন। এতে আপনি তার স্বপ্ন ও ভবিষ্যতের যত্ন নিচ্ছেন প্রকাশ পাবে এবং আপনাদের ভালোবাসাকে করবে শক্তিশালী।
- প্রতিদিন রোমান্সের মধ্য দিয়ে যাবে এমন মনোভাব না রেখে বরং নিজেকে তৈরি রাখুন টেনশনের মুহূর্তে ভালো থাকার, ধৈর্য ধরুন,সময়ের সঙ্গে সব ঠিক হবে।
- See more at: http://answers.priyo.com/question/4785-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B0%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A7%80#sthash.V4UDvIEI.dpuf

WATCH ON LINE MOVIES

https://radio.net.bd/#bhumi

এ জীবনে যারে চেয়েছি |

ALL FM RADIO BANGLA & INTERNATIONAL

CLICK PIC https://radio.net.bd/#bhumi

POPULAR NEWSPAPER

Daily Prothom Alo    Amar Desh Daily Naya Diganta Daily Jai Jai Din Shamokal
Powered by Blogger.

Latest News

Blog Archive

Subscribe Here

GOOGLE SCARCH

Recent posts

Follow us on facebook

Contact Form

Name

Email *

Message *

THE LIFESTYLE

','5','featcat' );

Face book page

পিওর খেজুরের রস ১২০ টাকা

খাঁটি খেজুরের গুড় চট্টগ্রাম শহরে দিচ্ছে চাটগারা মামু

পিওর খেজুরের রস চট্টগ্রাম

On line income

আপনাদের জন্য সু-খবর, ইতিপূর্বে আপনারা, যারা ফেসবুক, টুইটার, ইন্ট্রাগ্রাম ইউটিউব এর মত, আর অনেক সোস্যাল মিডিয়া, ব্যাবহার করে আসছেন, কিন্তু আপনি বা আপনারা এর পোষ্ট দেখেন কিন্তু এর থেকে নিজেরা কোন ইনকাম করতে পারছেন না । তারা লাইক, কমেন্ট , শেয়ার ও রেফার করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন । একটি Web Talk একাউন্ট খোলার জন্য আপনি আমার Web talk referral Id -dewanmd.akhtarhossai রেফারেল লিংক দিয়ে আপনার একটি Web Talk অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনার ফ্রেন্ড কে রেফার করে জয়েন করালে এবং আপনি লাইক কমেন্ট শেয়ার করে এখান থেকে ডলার কমিশন আয় করতে পারবেন ।, Web Talk সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না। বরং আপনি বিনা মূল্যে এখন থেকে আপনি ৫ লেবেল পর্যন্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এই ভিডিও টি সম্পূর্ণ দেখুন । নিচের দেওয়া লিংক ক্লিক করে এখনি রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন । web talk referral link https://get.webtalk.co/dewanmd.akhtarhossain Web talk referral ID - dewanmd.akhtarhossain প্রথমে নিজে রেজিস্ট্রেশন করুন। নিজের লিংক দিয়ে অন্যদের একাউন্ট করে দিন তাই আপনাদের অনুরোধ করে বলবো আর দেরি না করে শুরু করে দিন। কোন সমস্য মনে হলে আমার সাথে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

Delta Life Job post

দেশের শির্ষস্থানীয় জীবন বীমা কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি পরপর চারবার আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেঙ্কিং ট্রিপল AAA অর্জনকারী বীমা কোম্পানি। ডেল্টা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি বর্তমানে ১০ ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদের পলিসিতে সবচেয়ে বেশি বোনাস দিচ্ছে এবং দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ করছে। চট্টগ্রাম এলাকায় ডেল্টা লাইফের বীমা পলিসি বাজারজাত করনের কাজকে পেশা হিসাবে গ্রহনের মাধ্যমে অধিক আয় ( ন্যূনতম ১৫০০০ হইতে ২৫০০০ হাজার টাকা ) করতে আগ্রহি স্মার্ট, সৎ, উদ্যোগী, ও আত্ম বিশ্বাসী, পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীর নিকট হইতে নিন্ম লিখিত পদে নিয়োগের জন্য dewanctg70@gmail .com ই মেইলে দরখাস্ত আহ্বান করা যাইতেছে । ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ২০ জন ইউনিট মানাজার ১০ জন ছাত্র , ছাত্রী ও গৃহিণীদের জন্য পার্ট টাই ও ফুল টাইম কাজ করার সুযোগ আছে। Branch Manager, 01818-029316 Delta life insurance Company

POPULAR PAPER HOUSE

Popular Posts

শুধু তোমাকে চাই ।

বিডি নিউজ ট্র্যাকার একটি নিউজ মিডিয়া । আমাদের জীবনে প্রয়োজনীয় নানা রকম তথ্য ,খবর ,অপ্রত্যাশিত সংবাদ,বার্তা ও বিনোদনের খোঁজখবর জাতিও ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত এবং নানা রকম নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হইতে সংগ্রহ করে BD NEWS TRACKER এর মাধ্যমে উপস্থাপন করে সেবা প্রদান করাই আমাদের উদ্দেশ্য ।