Islamic Bangla BD, YouTube channel

Islamic Bangla BD is a different kind of Islamic info channel. We provide all Popular Bangla islamic Historical story , waz , info , Hamd , naat & Islamic songs ,Islamic music video and Islamic historical videos. Be connected with us and enjoy and practice our Islamic Bangla BD channel . , আসসালামু আলাইকুম , আমাদের অনেক দর্শক স্রোতা আছেন যারা ইসলামিক বিভিন্ন তথ্য, ইসলামের সেরা মনিষদের জীবনী , ঐতিহাসিক ইসলামীক শিক্ষনীয় গল্প, মাছলা মাছায়েল , হামদ ও নাতের মিউজিক ভিডিও খুব পছন্দ করেন । সেইসব দর্শক স্রোতাদের কথা চিন্তা করে , রাসুল (সঃ) এর আদর্শকে ধারন করে ইসলামিক বাংলা Islamic Bangla BD চ্যানেল যাত্রা শুরু করে । উপোভোগ ও আমল করুন | আশা করি সব সময় আমাদের সাথেই থাকবেন ও অনুপ্রেরনা দিয়ে যাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে If you Like our channel pls click Like, Share & Subscribe . thanks Link https://www.youtube.com/c/IslamicBanglaBD Mixer Bangla songs YouTube Channel . Mixer Bangla songs is a different kind of music taste. We provide all Popular Bangla songs Remix music video and Recreational videos . Be connected with us and enjoy all new music video tracks and Recreational funny videos .Hope you enjoy .Music Can Predict About Your Personality. New entertainment channel আমাদের অনেক দর্শক স্রোতা আছেন যারা বাংলা গানের মিউজিক ভিডিও এবং বিনোদনমূলক ভিডিও খুব পছন্দ করেন । কিন্তু আমাদের দেশের জনপ্রিয় অনেক গায়ক ও গায়িকাদের সুপার হিট গান আছে যার ভালো মিউজিক ভিডিও নাই বা অনেক গানের মিউজিক ভিডিও ভাল লাগেনা । আবার অনেকে আছেন ভিন্ন ধারার/ স্বাদের রিমিক্স ভিডিও খুব পছন্দ করেন আর মজার ভিডিও দেখতে চান সেইসব দর্শক স্রোতাদের কথা চিন্তা করে লাইফ টিভি বাংলা ইউটিউব চ্যানেল তাদের প্রচার শুরু করে। বিনোদনের নতুন চ্যানেল Mixer Bangla songs Channel Link https://www.youtube.com/channel/UCgSBJ2G1mBEsWNxaONWbemg

Saturday, December 10, 2016



WWW.BDNEWSTRACKER.BLOGSPOT.COM
রবীন্দ্রনাথকে রানু চিঠি লিখেছিল যখন, তখন রানুর বয়স বারো। রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন ৫৭। চুলে-দাড়িতে পাক ধরেছে। রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, দাড়ি-গোঁফওয়ালা আমাকে দেখলে তুমি ভয় পাবে। রানু জবাব দিয়েছিল, আমার কাছে আপনার বয়স ২৭। কবিদের বয়স বাড়ে নাকি! সেই রানু বড় হলো, তার বিয়ে হয়ে গেল। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা রানু ও ভানু উপন্যাসে প্রশ্ন উচ্চারিত হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ কি রানুর বিয়েতে বৃদ্ধ বয়সে পেয়েছিলেন ‘চোখের জলে দুখের শোভা?’ কিন্তু তারও আগে রবীন্দ্রনাথের বড় প্রেরণা তো ছিলেন তাঁর বউদি কাদম্বরী দেবী।

নারী-পুরুষের সম্পর্কের রসায়ন বড়ই বিচিত্র।
চার্লি চ্যাপলিনের জীবনও। চ্যাপলিনের প্রথম তিনটি বিয়ে টেকেনি। ভেঙে গেছে দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই। অনেক সমালোচকই বলেন, চ্যাপলিনের এই বিয়ে ও সম্পর্কগুলোর মধ্যে প্রেম-ভালোবাসার বিষয় ছিল খুবই কম। চ্যাপলিনের খ্যাতি আর অর্থবিত্তের প্রতিই তাঁদের টান ছিল বেশি। ৫৪ বছর বয়সে চ্যাপলিনের সঙ্গে যখন তাঁর চতুর্থ স্ত্রী বিশ্বখ্যাত নাট্যকার ইউজিন ও’নীলের কন্যা ওনা ও’নীলের পরিচয় হয়, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৭। ৩৭ বছর বয়সের ব্যবধান নিয়েই বিয়ে করেন দুজন। ৮৮ বছর বয়সে চ্যাপলিন যখন মারা যান, তখন চ্যাপলিনকে ঘিরে রেখেছিলেন এই ওনা, তাঁদের আট সন্তান ও নাতি-নাতনিরা। এই অসম সম্পর্কের একটি জবাব ছিল মেয়েটির কাছে। তিনি বলতেন, ‘আমি চ্যাপলিনকে তরুণ করেছি আর চ্যাপলিন আমাকে করেছে পরিপক্ব। এভাবেই আমরা দুজন দুজনের কাছাকাছি এসেছি।’
সব ক্ষেত্রে এই চ্যাপলিন-ওনা তত্ত্ব কাজে দেবে, তা নিশ্চয়ই নয়। তবে এটা হয়তো আমরা মানতেই পারি যে সম্পর্ক হওয়া বা তা টিকে যাওয়ার সঙ্গে ভালোবাসার প্রশ্নটাই আসল। আর সম্পর্ক টিকে থাকা না-থাকার রসায়নে বয়সের ফারাক সব ক্ষেত্রে ভূমিকা না-ও রাখতে পারে। কিন্তু বয়সের পার্থক্যের অসম সম্পর্ক ও বিয়ে দুনিয়াজুড়ে এখনো আলোচনা-সমালোচনা, গবেষণা ও জরিপের এক জনপ্রিয় বিষয়। এ ধরনের সম্পর্কের ভালো-মন্দ বা বিপদের দিক নিয়েও আছে মত-ভিন্নমত।
সম্পর্কের জটিলতা সব ক্ষেত্রেই রয়েছে, ‘অসম’ সম্পর্কের জটিলতার কিছু বিশেষ দিক বিভিন্ন গবেষণায় সাধারণভাবে চিহ্নিত। এগুলো অনেকটা এ রকম: কর্তৃত্বের সমস্যা, বিশেষ করে যার বয়স বেশি, তার কর্তৃত্ব করার প্রবণতা, প্রজন্মের ব্যবধানের কারণে অনেক কিছু বোঝা না-বোঝা এবং ধারণ করা না-করার সমস্যা, দুজনের মধ্যে যিনি বয়সে বেশি বড়, তাঁর একটি জোরালো ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠা এবং নিজেকে পরিবর্তন করতে না চাওয়া বা শারীরিক-মানসিক সামর্থ্য ও চাওয়ার পার্থক্য। সমস্যাগুলো জানা থাকলে তা সামাল দেওয়া সহজ। ফলে ‘অসম’ সম্পর্কের মধ্যে যাঁরা আছেন, এসব মাথায় রেখে পথ চললে যাত্রাভঙ্গের আশঙ্কা কমলেও কমতে পারে।
বয়সের বেশি ব্যবধান বা অসম সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছেলেদের বয়স বেশি হবে, মেয়েদের কম—এই রকমটাই শুধু ঘটে না। নেপোলিয়ানের স্ত্রী জোসেফিন তার চেয়ে ৬ বছরের বড় ছিলেন। এমন ঘটনা অনেকই ঘটে, তবে হলিউডের খবরগুলো আমরা বেশি পাই। ডেমি মুর ৪২ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন ২৭ বছর বয়সী অ্যাশটন কুচারকে। ৫ বছর টিকেওছিল সে বিয়ে। ম্যাডোনার বয়স যখন ৫১, তার প্রেমিক জেসাস লুজ ছিলেন ২৩।
অসম সম্পর্কের জটিলতার কিছু বিশেষ দিক বিভিন্ন গবেষণায় সাধারণভাবে চিহ্নিত। এগুলো অনেকটা এ রকম; কর্তৃত্বের সমস্যা, বিশেষ করে যার বয়স বেশি, তার কর্তৃত্ব করার প্রবণতা, প্রজন্মের ব্যবধানের কারণে অনেক কিছু বোঝা না-বোঝা এবং ধারণ করা না-করার সমস্যা
আমাদের দেশে অনেক ছেলেকেই জানি ও দেখি, যারা তাদের চেয়ে বেশি বয়সী মেয়েদের প্রেমে পড়ে বা আকৃষ্ট হয়। সম্পর্ক তো আর একতরফা হয় না, বেশি বয়সী মেয়েটির সাড়া বা প্রত্যাখ্যানের ওপরই নির্ভর করে অসম সম্পর্কটি গড়ে ওঠা বা না-ওঠা। এটা ছেলেদের একটা বিশেষ ধরনের পছন্দ। বলা ভালো, একটা নির্দিষ্ট বয়সেই এই প্রবণতা বেশি জোরালো থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ক্ষেত্রে আবার তা কেটেও যায়। ব্যতিক্রমগুলোই অসম সম্পর্ক হিসেবে রয়ে যায়, টিকে থাকে।
আবার এমন অনেক মেয়েকে দেখেছি ও জানি, যারা আকৃষ্ট হয় তাদের চেয়ে বেশি বয়সী ছেলেদের প্রতি। একটি মেয়ে হয়তো কোনো সুযোগে তার চেয়ে বেশ বেশি বয়সী ছেলের সংস্পর্শে এসেছে, ছেলেটি তার বয়স ও অভিজ্ঞতার কারণেই নানা ক্ষেত্রে প্রজ্ঞার পরিচয় দেয়। অথবা ছেলেটি হয়তো মেয়েটিকে মুগ্ধ করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই নিজেকে সেভাবে তুলে ধরে। বেশি বয়সী ছেলেদের অভিজ্ঞতা, বাস্তব জ্ঞান বা প্রজ্ঞার প্রতি একটি মেয়ের এই মুগ্ধতার সরাসরি ফল হচ্ছে, সমসাময়িক ছেলেদের তখন আর খুব ‘ম্যাচিউরড’ মনে হয় না। এই চক্রে যে মেয়ে একবার পড়ে, তাদের জন্য বের হওয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। ব্যতিক্রমও আছে, রানু অধিকারী ঠিকই বের হয়ে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ-মুগ্ধতা থেকে।
গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের আমার বিষণ্ন বেশ্যাদের স্মৃতি উপন্যাসে দেখি, থুড়থুড়ে বুড়ো খুঁজছেন অনাঘ্রাতা কুমারীকে, আর কলেরার দিনগুলিতে প্রেম উপন্যাসে দুই নারী-পুরুষ প্রথম জীবনে প্রেমে পড়ে আলাদা আলাদা বিয়ে করে দাদা-দাদি হয়ে যাওয়ার পর নিজেরা আবারও বিয়ে করে জীবনসায়াহ্নে এসে। আসলে সম্পর্ক এমনই জিনিস, এটা শুধু বয়সের বেশি পার্থক্য বা মেয়েটি ছেলেটির চেয়ে বড় এসব ‘অসম’ দোহাইয়ের কারণে আটকে থাকে না, দুই বুড়োবুড়িও প্রেম করতে পারে, আর পারে শেষ বয়সে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে।
সম্পর্ক তো হতেই পারে, কিন্তু এ ধরনের ‘অসম’ সম্পর্ক টিকে থাকে কি না সেটা এক জরুরি বিবেচনা বটে। যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা একটি জরিপ এ বছরের জুলাইয়ে প্রকাশিত হয়েছে। জরিপের ফল হচ্ছে, বয়সের ব্যবধান যত, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার হারও তত বেশি। এই জরিপ বলছে, বয়সের ব্যবধান ৫ হলে বিচ্ছেদের হার ১৮ শতাংশ, ১০ বছর হলে ৩৯ আর ২০ বছর হলে এই হার ৯৫ শতাংশ! যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের ওপর চালানো এই জরিপ আমাদের দেশের জন্য খুব বাস্তব না-ও হতে পারে। আমাদের দাদা-দাদি, নানা-নানি বা এর আগের প্রজন্ম তো অসম বিয়ে আর সম্পর্কের মধ্য দিয়েই জীবন পার করে গেছেন!
আবার অস্ট্রেলিয়ার পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, বেশি বয়সের মেয়েদের সঙ্গে ছেলেদের সম্পর্কের হার দিন দিন বাড়ছে। ৫৫ ভাগ নারী স্বীকার করেছেন, তাঁরা জীবনের কোনো না কোনো সময় কম বয়সী পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছেন। ভ্যালেরি গিবসন নামের একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, এটা পৃথিবীতে চিরকাল ছিল, বাস্তব কারণে আগে তা প্রকাশিত হতো না, বা পরিণতি পেত না, এখন পাচ্ছে। তবে এই ধরনের সম্পর্ক সাধারণত টেকে না, কিন্তু তার কারণ হিসেবে এই বিশেষজ্ঞ বয়সের পার্থক্যকে দায়ী করছেন না, দায়ী করছেন অন্য বিয়েগুলো যেসব কারণে ভাঙে, সেসব কারণকেই।
একটি বহু চলতি কথা দিয়ে শেষ করি, প্রেম ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে বয়স, দূরত্ব, উচ্চতা বা ওজন—এসব নাকি শুধুই ‘সংখ্যা’। ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের যে জরিপের কথা উল্লেখ করলাম, সেটাও সংখ্যারই হিসাব। প্রেম-ভালোবাসা বা সম্পর্কের চেয়ে নিছক সংখ্যা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কীভাবে! সব ছাপিয়ে যুগে যুগে প্রেম-ভালোবাসাই তো এগিয়ে থেকেছে। সম বা অসম এখানে খুব পাত্তা পায় না।
সূত্র প্রথম আলো  এ কে এম জাকারিয়া |  
www.bdnewstracker.blogspot.com

একটা জীবনে একাধিক সম্পর্ক নিয়েই আমাদের পথচলা। অনুভূতির নানা রঙে সাজানো থাকে সম্পর্ক। কখনো সম্পর্ক মধুর, কখনো তিক্ত। সম্পর্কের টানাপোড়েন জীবনে চলেই। পরস্পর সম্পর্কে চিড় ধরলে কী করে তা সামাল দেওয়া যায়, তা জানা চাই।


আমরা নিজেরা যদি একটু ছাড় দিই, বোঝাপড়া করি নিজেদের মধ্যে, তাহলে আবার শীতল সম্পর্কও উষ্ণ হয়ে ওঠে। কৌশলটা কেবল জানা চাই। কোনো কোনো মানুষের স্বভাবই থাকে অন্যের ওপর কর্তৃত্ব দেখানোর। পরিবারেই হোক, বন্ধুদের বেলাতেই হোক কিংবা কর্মক্ষেত্রে। কেউ কেউ হয়তো নেহাত সম্পর্ক রক্ষার খাতিরে এই কর্তৃত্ব মেনে নেয়। কখনো মুখ ফুটে কিছু বললেই হলো। ব্যস, ঝামেলা বেধে গেল।
দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের ওঠানামা, সম্পর্কে জট বাঁধে কখনো কখনো। ভালোবেসে কিংবা দেখে-শুনে হোক, বিয়ে মানে অনেক সময় একটি জটিল অঙ্কও বটে। তবে বুঝতে পারলে উত্তরটা বেশ সোজা। শ্বশুরবাড়ির রসায়নটিও কম জটিল নয়। নতুন বউ, নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেবে, কেবল এই মানিয়ে নেওয়া যেন সেই বউটির দায়িত্ব, অন্যের কোনো দায়ই নেই। পরিবারের সবাই যদি ঘরে আসা নতুন বউকে আদর করে মানিয়ে নেয়, তাহলে সবার লাভ।
পরিবারে সবার মতামতও এক হয় না। মনোমালিন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। এমন কিছু ঘটলে দুপক্ষই সামাল দিন।
সামনাসামনি মিটিয়ে ফেলুন। অযথা তিলকে তাল না করাই ভালো।
মতান্তর হলোই বা! বউকেও বলি। নতুন বিয়ে। স্বামীকে চোখে হারাবেন ঠিকই। কিন্তু সংসারে সবার সঙ্গে আলাপ বাড়াতে হবে, তাদেরও সময় দিতে হবে।
www.bdnewstracker.blogspot.com
অনেক স্বামী বড় খুঁতখুঁতে। পান থেকে চুন খসলে মেজাজ গরম। সবকিছু নিখুঁত হতে পারে না—এই সরল সত্যটিই মানতে চান না স্বামী। এ বড় অন্যায়। আধুনিক নাগরিক জীবনের মর্মে ঢুকে গেছে দৌড় দৌড় ইঁদুরদৌড় আর টেনশন। তাই সবাই ব্যস্ত। স্বামী-স্ত্রী দুজনে কর্মজীবী হলেও সংসারের বড় দায়িত্ব যেন স্ত্রীতেই বর্তায়। এই কালচার এখনো তেমন পাল্টায়নি।
অফিস থেকে ফিরে স্বামী অফিসফেরত স্ত্রীর কাছে দাবি করেন ধূমায়িত এক কাপ চা ও নাশতা। শেয়ারিং ও কেয়ারিং যেন একপেশে, তবে ব্যতিক্রমও আছে। স্বামী-স্ত্রীর সংসারে অবশ্য মনান্তর হবে, ঝগড়াঝাঁটি, মান-অভিমান, ভুল-বোঝাবুঝির ক্ষণগুলো আসবে, একান্ত কাছের এই সম্পর্কের এই রংও বদলায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল-অমিলও হবে। কেউ হয়তো ‘বেড টি’ ভালোবাসেন, কেউ দাঁত না মেজে খান না। কেউ গল্পের বই পড়তে পড়তে ঘুমান, কেউ চান ঘর অন্ধকার ঘুম। আলো জ্বাললে ঘুমাতে পারেন না।
কিন্তু অমিলগুলো বড় করে দেখা কেন? কম-বেশি ছাড় দিয়ে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নিলেই হয়। পরিবারের পাঁচজনের সঙ্গে তো পথ চলতে হবে। সমস্যাকে যদি মনে করা হয় চলার পথে নিজের শক্তিপরীক্ষা—জীবন হলো কৌতুক রস বজায় রেখে চলা, ভালোবাসার মানুষকে বুঝতে শেখা—ভালো হলো না?
একজনের অপরের ওপর প্রভুত্ব বিস্তারের প্রয়াস কেন? নিজের মূল্যবোধ অন্যের ওপর চাপানো কেন? বাড়ির বাজার কী হবে, বউ কার সঙ্গে মিশবে, কোন পোশাক পরবে, সন্তানের সব ধরনের সিদ্ধান্তই চাপান স্বামী। এটি না করে দৃষ্টিভঙ্গিতে উদারতা আনতে হবে। অন্যকে ছোট করে দেখার প্রবণতা এড়িয়ে চলতে হবে। তা না হলে তিক্ততা বাড়বে, সম্পর্ক নষ্ট হবে।
বরং ভালোবাসার মানুষকে স্পেস দিন, বুঝতে শিখুন, পরস্পর বোঝাপড়া দৃঢ় করুন। পরস্পর বন্ধু হয়ে উঠুন। দুজনে একসঙ্গে একান্তে কিছু সময় কাটান। বিশেষ কোনো দরকার না থাকলেও ফোন করে, এসএমএস করে খোঁজখবর নিন।
কর্তৃত্বপরায়ণ মনোভাব থাকে, এমন কিছু বন্ধুও হয় কখনো কখনো। ধরা যাক, বন্ধুরা মিলে কোথাও যাবে, সবটার মধ্যে একধরনের ছড়ি ঘোরানোর প্রবণতা থাকবে তাঁর। এটি থেকে বন্ধুত্বেও ফাটল ধরে।
আমরা যেন বুঝি মনান্তর মিটে যেতে যেতেও মিটে না যখন দুয়ার আগলে দাঁড়ায় অহং। পরস্পরকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে একই টিমের খেলোয়াড় ভাবা সুখের চাবিকাঠি।
অফিসেও সে রকম সহকর্মীদের সঙ্গে অশান্তি হয়। অফিসের ছোট অশান্তি যেন বড় না হয়, তা-ও দেখতে হবে দুপক্ষকেই। প্রয়োজন নিজের মধ্যে আন্তরিক যোগাযোগ বাড়ানো। ছোটখাটো মনোমালিন্য মনে পুষে না রাখা।
সব শেষে ধার করা একটি ছোট্ট গল্প দিয়ে শেষ করি।
একটি বালক ও একটি বালিকা একত্রে খেলছিল। বালকটির কাছে কতগুলো মার্বেল ছিল আর বালিকাটির কাছে ছিল কিছু রসগোল্লা। বালকটি বালিকাকে বলল, যদি সে তার মিষ্টিগুলো তাকে দেয়, তাহলে সে তার সব মার্বেল তাকে দিয়ে দেবে। বালিকাটি রাজি হয়ে গেল।
বালকটি সবচেয়ে বড় ও সুন্দর মার্বেলটি লুকিয়ে রেখে বাকি মার্বেলগুলো বালিকাকে দিয়ে দিল। বিনিময়ে বালিকাটি প্রতিশ্রুতিমতো তার সব মিষ্টি বালকটিকে দিয়ে দিল।
ওই রাতে বালিকাটি একটি প্রশান্তির ঘুম দিল। কিন্তু বালকটি একটুও ঘুমাতে পারল না, সারা রাত তাকে এই ভাবনা অস্থির করে রাখল যে সে যেভাবে তার সবচেয়ে সুন্দর মার্বেলটি আড়াল করে রেখেছে, বালিকাটিও সেরূপ কিছু রসগোল্লা তার কাছে লুকিয়ে রাখেনি তো?
তেমনি সম্পর্কের মধ্যে নিজের শতভাগটি না দিলে সব সময় সন্দেহ হতে থাকবে যে অন্যজনও বোধ হয় তার শতভাগটি আমাকে দেয়নি।...বিষয়টি সব রকম সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সত্য; যেমন প্রেম, বন্ধুত্ব, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পর্ক ইত্যাদি।
সব ব্যাপারে নিজের শতভাগটি দিলে শান্তিতে ঘুম হবে। তবে নিজের শতভাগ চাপিয়ে দিতে চাইলে অন্যের ঘুম হারাম হয়ে যায়। সেটাও মাথায় রাখা ভালো।
 মধুর সম্পর্কের গল্প করা যায় না, নিজেকেই এ জন্য চেষ্টা করতে হয়।
সুত্র প্রথম আলোঅধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী | 

Saturday, November 26, 2016

নিকটাত্মীয় অর্থ্যাৎ চাচাতো, মামাতো, খালাতো ও ফুফাতো ভাই-বোনদের মধ্যে বিয়ে বিজ্ঞানসম্মত নয়। এ বিয়ের পরিণামে যে সন্তান হয়, তার মধ্যে জন্মগত ত্রুটি দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি। ‘দ্য ল্যানসেট; সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড শহরে বসবাসকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে জন্মগ্রহণকারী সন্তানের জিনগত অস্বাভাবিকতার হার সাধারণ শিশুদের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। এসব অস্বাভাবিকতার মধ্যে নবজাতকের অতিরিক্ত আঙুল গজানোর মতো সমস্যা থেকে শুরু করে হূ ৎপিণ্ডে ছিদ্র বা মস্তিষ্কের গঠন-প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দিতে পারে।

অবশ্য সার্বিক বিবেচনায় এ ধরনের অস্বাভাবিকতার হার খুবই কম। গবেষণায় নেতৃত্ব দেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এয়ামন শেরিডান। ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী সাড়ে ১৩ হাজার শিশুকে ওই গবেষণার আওতায় আনা হয়।
ব্র্যাডফোর্ড শহরে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের বড় একটি অংশ বসবাস করে। সেখানে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩৭ শতাংশই রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ের প্রচলন রয়েছে। সারা বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ এ রকম সংস্কৃতি ধারণ করে। রয়টার্স ও এএফপি।
www.bdnewstracker.blogspot.com

বাড়ি, স্কুল কিংবা অন্য কোথাও-নানা কারনে বাচ্চা হঠাৎ অসুস্থ হতেই পারে।তখন কীভাবে বাচ্চাকে সামলানো সম্ভব তাঁর সহজ গাইডলাইন।
বাড়িতে বাচ্চা থাকা মানে একটার পর একটা ছোটখাটো সমস্যা লেগেই থাকে।আজ হঠাৎ খাট থেকে পড়ে গেলে তো কাল আবার বিস্কুট খেতে খেয়ে গলায় আটকে গেল।চিন্তা তো লেগেই থাকে। চিন্তা একটাই,ও যেন সব সময় সুস্থ থাকে।কিন্তু শুধু চিন্তা করলেই তো হবে না, এরকম হলে কী করনীয় সেটাও জানা দরকার।হাতের কাছে কোন জিসিনটা ফার্স্ট এড বক্সে রাখলে সুবিধা হয় কিংবা ইমার্জেন্সি হওয়ার কতক্ষনের মধ্যে কী কী ব্যাবস্থা আয়োজন করে নিতে পারলে ভাল ইত্যাদি। তাই বিশেষ কয়েকটি সময়ে কী করা দরকার তা নিয়ে এবারের আলোচনা।সব ক’টি ইমার্জেন্সি সিচ্যুয়েশনের ক্ষত্রে যে ব্যাপারটা কম্ন, সেটা হল বাচ্চাটি অসুস্থ্য হওয়ার পরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাবস্থা নেওয়ার দরকার।১০-১৫ মিনিতের মধ্যেইকী করনীয় এটা জানার সঙ্গে সঙ্গে কোন ব্যাপারগুলো সে মুহুর্তে করা ঠিক নয় সেসুলোও জানা দরকার।
গলায় খবার আটকে যাওয়ার সমস্যা ।
গলায় খাব্র আটকে গেলে কোন বাতাস চলাচল না হওয়ায় বাচ্চা কথা বলতে পারে নাবা কাশতে পারে না।সাধারনত তাড়াতাড়ি খেলে বা ভাল করে চিবিয়ে না খেলে কিংবা হাসতে হাসতে খাবার খেলে গলায় লহাবার আটকে যায়।চেকিংয়ের সমস্যায় হেমলকি ম্যানুভার পদ্ধতিতে গলা থেকে খাবার বের করা সম্ভব হয় না।পেছন থেকে বাচ্চার বুকের নীচের অংশে চাপ দিলে ডায়াফ্রামে চাপ পড়ে , ফলে ফুসফুসে যথেষ্ট পরিমান চাপ পড়লে বাতাস ঢুকে আটকে থাকা খাবার বেরিয়ে যায়।কখন বুঝবেন এই পদ্ধতি কাজে লাগানো দরকার?বাচ্চা গলা চেপে ধরলে বা নীল হয়ে গেলে, কিংবা নিঃস্বাস নেওয়ার সময় আওয়াজ হলে এই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়ার দরকার।
আকিউট আজমা আটাকের সময়
আজমা সমস্যা হলে রাতে ঘনঘন কাশি হয়,নিঃস্বাস নিতে অসুবিধা হলে সঙ্গে চেষ্ট কঞ্জেশন আন্ড পেন।কাশির সময় ঘড়ঘড় শব্দ হয়,ক্লান্তিবোধ দেখা যায়।সব বাচ্চারাই সর্দি-কাশির সমস্যা হয় কিন্তু আজমার সমস্যা হলে এই সমস্যা অভেল করাৎ ঠিক নয়।হঠাৎ আজমার আক্রমন হলে উত্তেজিত না হয়ে বাচ্চাকে শান্ত করার চেষ্টা করুন।বাচ্চাকে সোজা ভাবে বসিয়ে ধীরে ধীরে নিঃস্বাস নিতে সাহায্য করুন।স্পেসারে মুখ লাগিয়ে সোজা ভাবে ধরে পাফ দিতে হবে।আজমা আটাকের সময় ঠোঁট বা নখ নীল হয়ে গেলে,কথা বলতে অসুবিধা হলে,গলা,ঘাড় কিংবা বুকের মাসলস ওঠা নামা করলে, ইনহেলার নেওয়ার সময় নাকে আওয়াজ হলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার।
পড়ে মাথায় আঘাত পেলে
বাচ্চারা তিনভাবে মাথায় আঘাত পেতে পারে,স্ক্যাল্পে, ব্রেনে কিংবা স্কালে।আঘাত পাওয়ার পর ব্লিডিং শুরু হলে,বমি করলে বা ইরেগুলার হার্ট বিট হলে সতর্ক হওয়া দরকার।আঘাত পেয়ে ফুলে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইস প্যাক বা কাপড়ে জড়িয়ে বরফ দিতে পারেন।সরাসরি বরফ লাগাবেন না।এতে আরও ক্ষতি হতে পারে।আঘাতের জায়গা পরিষ্কার করারও দরকার নেই এতে আরও ব্লিডিং হতে পারে।এমনকি আঘাতের জায়গা কোনও কিছু ঢুকে গেলে টেনে বের করবেন না।হেড ইঞ্জুরি হলে হেলমেট রিমুভ করার দরকার নাই।
কনভালশনের সময়
কনভালশন মানেই আমরা ভাবি শুধু খিঁচুনি,তা নয়।অনেকসময় বাচ্চা হঠাৎ করে পড়েও যেতে পারে।অনেক্ষন ধরে বাচ্চা হা করে তাকিয়েও থাকতে পারে।এই ধরনের কনভালশন হলে মেডিকেল ইমার্জেন্সি তৈরী হয় না।এই অবস্থায় বাচ্চার চারিদিকে ভীড় জমাবেন না,জামাকাপড় খুলে দিন। হাত পা নাড়লে চেপে ধরবেন না,খিঁচুনি নিজের থকেই কমে যাবে।মুখে পানি ঢুকাবেন না বা চামচ ঢুকিয়ে দিবেন না।।বাচ্চা হঠাৎ করে সুইমিং পুলে ডুবে গেলে বা রোদে অজ্ঞান হয়ে গেলে,হিট স্ট্রোক হলেও চেষ্ট পাম্পিং আর মাউথ টু মাউথ ব্রিদিং করুন।

Saturday, November 19, 2016

www.bdnewstracker.blogspot.com
অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোকে জীবনেরই অংশ মেনে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ধারণ করলে, নিজেকে ভালোবাসলে, জীবনকে ভালোবাসলে বিষণ্নতা আমাদের নাগাল পায় না
যা পেয়েছি আমি তা চাই না, যা চেয়েছি কেন তা পাই না।’ সবকিছু আমাদের মনের মতো হয় না। প্রত্যাশা আর প্রাপ্তিতে ফারাক থাকে। স্বপ্ন ভেঙে যায়। পরীক্ষার ফল সব সময় আশানুরূপ হয় না, চাকরিতে আসে না প্রত্যাশিত সাফল্য। প্রিয়জনের সঙ্গে মেলে না সব চাওয়া। আমরা হতাশ হই, ধূসর বিষণ্ন লাগে চারপাশ। আবার কখনো কেন যে বুকটা হু হু করে...কী জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়! অপ্রাপ্তিকে মেনে নিই, কখনো নতুন নতুন স্বপ্ন বুনতে শুরু করি। মেঘ কেটে গিয়ে ঝকঝকে রোদ ওঠে। কিন্তু এমন সময়ও আসে, যখন সপ্তাহের পর সপ্তাহ কেটে যায়, মন আর ভালো হয় না। প্রতিদিনকার স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে ইচ্ছা করে। নিজের অস্তিত্বকে অন্তঃসারশূন্য, অর্থহীন মনে হয়। ক্লান্তি, অবসাদ, অস্থিরতার বৃত্তে ঘুরপাক খায় দিন। আশপাশের মানুষগুলোর প্রতি বিরক্তি ঘনিয়ে ওঠে, তাদের সঙ্গ এড়িয়ে নিজের খোলসের ভেতর ঢুকে থাকতে ইচ্ছা করে। ভয়, নিরাপত্তাহীনতা, হীনম্মন্যতা তীব্রভাবে জেঁকে বসে। নাছোড়বান্দা এই মন খারাপের নাম দেওয়া যায় বিষণ্নতা রোগ বা ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার।
কেন বিষাদ করে ভর

সামাজিক, পারিবারিক, মনস্তাত্ত্বিক, জৈবিক, বংশগত বিভিন্ন কারণে মানুষ বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ফারুক হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ তীব্র বিষণ্নতায় আক্রান্ত। মাদকাসক্তি, আত্মহত্যার প্রধান কারণও বিষণ্নতা। মূলত বায়োলজিক্যাল ও বায়োসাইকোসোশ্যাল কারণে বিষণ্নতা দেখা যায়। হরমোনজনিত ও বংশগত বিষণ্নতার পেছনে দায়ী বায়োলজিক্যাল বিন্যাস। শৈশবের কোনো ভয়ভীতি, দুর্ঘটনা বা তিক্ত অভিজ্ঞতা বিষণ্নতার মূলে থাকলে সেটাকে আমরা বায়োসাইকোসোশ্যাল কারণ বলতে পারি।’
অন্তর্মুখী, সংবেদনশীল, অনুভূতিপ্রবণ ব্যক্তিদের বিষণ্নতায় ভোগার প্রবণতা বেশি। বিষাদ রোগে মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষে বিভিন্ন ধরনের জৈব রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে এবং দুষ্টচক্রের মতো তা চলতেই থাকে। হরমোনের পরিবর্তনে, দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক অসুস্থতায়, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমনকি ঋতু পরিবর্তনেও (যেমন তীব্র শীতে) বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে। পুরুষের তুলনায় নারীরা বিষণ্নতায় বেশি ভোগেন। সন্তান জন্মের পরপর অনেক নারীই পোস্ট-পারটাম ব্লু নামের বিষণ্নতার কবলে পড়েন। মেনোপজের সময়ও নারীদের মধ্যে বিষণ্নতার উপসর্গ দেখা যায়

বিষণ্নতার বিভিন্ন স্তরবিষণ্নতার একটা স্তরের সঙ্গে আরেকটা স্তরের উপসর্গে খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। এদের আলাদা করা হয় তীব্রতার ভিত্তিতে।
হালকা বিষণ্নতাআত্মবিশ্বাস কমে যায়। সবকিছুর প্রতি অনীহা, উদ্যমহীনতা দেখা দেয়। ভালো লাগার কাজগুলোর প্রতিও উদাসীনতা লক্ষ করা যায়। তবে এ স্তরে চিন্তাভাবনার যৌক্তিকতা ব্যাহত হয় না।
মাঝারি বিষণ্নতাহতাশা তীব্র হয়। হঠাৎ হঠাৎ কেঁদে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়। চিন্তার গতি ধীর হয়ে যায়, গভীরভাবে চিন্তা করার শক্তি হারিয়ে যায়। বিষাদাক্রান্ত ব্যক্তি অপরাধবোধে নিজেকে গুটিয়ে ফেলতে শুরু করেন, নিজেকে অকারণে দোষারোপ করতে থাকেন। বিষণ্নতা জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করে। খিদে কমে যায়, ঘুমাতে কষ্ট হয়।
তীব্র বিষণ্নতা


মাঝারি বিষণ্নতার লক্ষণগুলো এ পর্যায়ে এসে তীব্র আকার ধারণ করে। জীবন পুরোপুরি বিষণ্নতার দখলে চলে যায়। বিষাদাক্রান্ত ব্যক্তি প্রায়ই কাঁদতে থাকেন। নিজের চেহারা, পোশাকের ব্যাপারে কোনো সচেতনতা কাজ করে না। স্বাভাবিক চিন্তাভাবনা ব্যাহত হয়। চেনা পরিবেশেও খাপ খাওয়াতে পারেন না। জীবনবিমুখ ও আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়েন।
বিষণ্নতা থেকে মুক্তি
‘বিষাদাক্রান্ত ব্যক্তি অনেক সময় নিজে বুঝতে পারেন না তিনি বিষণ্নতায় ভুগছেন কি না বা তাঁর বিষণ্নতা কোন পর্যায়ে আছে।’ জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। ‘আমাদের সবারই উচিত খেয়াল করা আমাদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব বা সহকর্মীদের কেউ বিষণ্নতায় আক্রান্ত কি না। কেউ নিজের ভেতর বিষণ্নতার উপস্থিতি টের পেলে কারণটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। চিন্তা-প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনুন। নেতিবাচক চিন্তাকে সরিয়ে ইতিবাচকভাবে দেখতে চেষ্টা করুন বিষয়টিকে। ভেতরে সব চেপে রেখে একা একা কষ্ট না পেয়ে কাছের বন্ধু, আত্মীয়স্বজনকে খুলে বলুন। যা করতে সচরাচর ভালো লাগে তা করুন।’
 প্রয়োজনে সাইকোলজিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কাউন্সেলিং, সাইকোথেরাপির মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা আপনার বিষণ্নতা কাটাতে সাহায্য করতে পারেন। তাঁদের ওপর আস্থা রাখুন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে।
রয়াল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টস থেকে প্রকাশিত বিষণ্নতা-বিষয়ক বইয়ে বলা হয়েছে, হালকা ব্যায়াম, শরীরের যত্ন, সুষম খাবার বিষণ্নতার তীব্রতা কমিয়ে দেয়। মদ্যপান দেয় বিষণ্নতা বাড়িয়ে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ধ্যানের চর্চা বিষণ্নতা দূর করতে দারুণ ভূমিকা পালন করে।
বিষণ্নতা জীবনেরই একটা ঋতু
জীবনে চলার পথ অনেক সময়ই হয়ে ওঠে অমসৃণ, এবড়োখেবড়ো। আমরা মুখ থুবড়ে পড়ি। কখনো পথের সাথিকে হারিয়ে ফেলি। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলোকে জীবনেরই অংশ মেনে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা ধারণ করলে, নিজেকে ভালোবাসলে, জীবনকে ভালোবাসলে বিষণ্নতা আমাদের নাগাল পায় না। আসলে ইতিবাচকতাই ডিপ্রেশন তাড়ানোর প্রধান অস্ত্র। সেই সঙ্গে প্রয়োজন এ বিষয়ে সচেতনতা। বিষণ্নতা আমাদের মানসিকভাবে পরিণত করে তোলে। বিষাদ কেটে গেলে আমরা দৃঢ়চেতা হয়ে উঠি। সমস্যা মোকাবিলায় পারদর্শী হই। কুয়াশা কেটে গিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি হয়ে ওঠে স্বচ্ছ, পরিষ্কার। 

Saturday, September 3, 2016


                          www.bdnewstracker.blogspot.com

ভালোবাসা কোনো কিছু মানে না । সামাজিকতার বিধিনিষেধ পেরিয়ে প্রেমের সম্পর্ক করার পর হঠাৎ যদি প্রেমের ফোলানো বেলুনটি আলপিনের খোঁচায় চুপসে যায়, তখন কী হবে! সম্পর্কের পরিনতি নিয়ে ভাবতে হবে । প্রেমের এত সুর আর এত গান পরে যদি ভালো না লাগে তখন কী হবে ? ভালো লাগা মানে হচ্ছে, রাস্তা থেকে পছন্দ হলে সেই ফুলটি ছিঁড়ে নেওয়া! শুকিয়ে গেলে বা গন্ধ চলে গেলে তা ছুড়ে ফেলা! আর ভালোবাসা হচ্ছে ফুলগাছটির পরিচর্যা করা। প্রেম থাকবে সারা জীবন। তাই এর সঠিক পরিচর্যা করা প্রয়োজন জীবনভর। আজকাল প্রেম করা একেবারে ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পোশাকের ক্ষেত্রে যেমন একটা নতুন ড্রেস ভালো লেগেছে তাই আমরা পোশাকটি কিনে থাকি আবার তা পুরাতন হয়ে গেলে সেটি ফেলে দিয়ে আবার নতুন একটি কিনি। ভালোবাসার ক্ষেত্রেই ঠিক একই ঘটনা ঘটছে বর্তমান সময়ে। কিন্তু এভাবে সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়া একেবারে উচিৎ না। প্রেমের সম্পর্ক  করার আগে কিছু বিষয় আগেই  চিন্তা করে নেয়া উচিত এবং ভেবে চিন্তে সম্পর্কে জড়ানো উচিত।

* প্রেমে যে পড়েছেন তার গন্তব্য কী? ‘টাইম পাসনা সারা জীবনের জন্য গাঁটছড়া বাঁধার ইচ্ছা।
* যে সময় দুজন একসঙ্গে কাটালেন, এই সময়ে দুজনার মতের মিল-অমিল কতখানি মেপে নিন।
* একজনের পছন্দ-অপছন্দ অন্যজনের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা কতখানি। বুঝে নিন।
* সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরস্পরের পরিবারের সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
* পেশাজীবন নিয়ে কে কী ভাবছেন, তা দুজনের কাছে পরিষ্কার থাকা উচিত।
* প্রেমের মধুর দিনগুলোয় সজাগ থাকাই ভালো। গড্ডলিকায় ভেসে যাওয়া চলবে না।

*খোঁজখবর নেয়া উচিত তাঁদের স্থায়ী ঠিকানা ও পরিচিত জনেরা কী বলেন তাঁদের ব্যাপারে স্থায়ী নিবাস আসলেই আছে কিনা কিংবা সেখানে আত্মীয় বা পাড়া প্রতিবেশীরা তাঁদের সম্পর্কে কী বলেন, এই ব্যাপারটি হাস্যকর মনে হলেও ফেলনা নয়। কারণ সেটা জানলে বুঝতে পারবেন পরিবার হিসাবে তাঁরা কেমন, এবং সমাজের অন্যদের কাছে তাঁদের অবস্থান কী।

* তার পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত ও তার পরিবারের মানুষগুলো কেমন, এটা জেনে নেয়া খুবই জরুরী। কেননা সেই মানুষগুলো একসময় আপনারও আপনজন হবেন।

*তার কিংবা তার পরিবারের উপার্জনের উৎসগুলো কী কী তিনি আপনার মনের মানুষ বলেই কোন অপরাধ মূলক বা অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত নন, এটা ভাবাটা বোকামি। কেবল তিনিই নয়, তার মা-বাবা-ভাই-বোন তথা সম্পূর্ণ পরিবারের পেশা সম্পর্কেই বিস্তারিত জেনে নেয়া খুবই জরুরী।

* আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে বাস্তবতাকে মেনে নিতে মানসিক প্রস্তুতি যেন থাকে।

* ভুলেও ফাঁদে পড়া চলবে না। সুখের মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করুন। কিন্তু একান্ত মুহূর্তগুলো দাম্পত্য জীবনের জন্য রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

* ক্ষণিকের আবেগের জোয়ারে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের নানা ছবি সৃষ্টি হয়ে যায়। কিন্তু ব্ল্যাকমেলিংয়ের শিকার হতে পারেনএমন আশঙ্কা মনে রাখতেই হবে।

* ভিডিও বা ফটো ব্ল্যাকমেলিং এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। সাবধানতা কাম্য। কোনোভাবেই নিরাপদ ও সহজ স্বাভাবিক প্রেম-বন্ধুতার বেশি চাওয়া পাওয়ায় জড়ানো ঠিক নয়।

* ডেটিংয়ের নামে অচেনা কোনো জায়গা, হোটেল, বন্ধুর বাসা নিরাপদ নয়।

* জীবন থেকে পলায়ন প্রেম নয়; প্রেমে পড়ে দূরে কোথাও কোনো হারিয়ে যাওয়া বা পালিয়ে যাওয়া ঠিক নয়।

*সারা জীবনের জন্য দুর্গতি ও কান্না কি নাপ্রেমের পর্বে মনে রাখা চাই।

*পরিবার তাকে পছন্দ করবে কি না ? একজনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার আগে ভাবুন আপনার পরিবার তাকে পছন্দ করবে কি না। প্রয়োজনে তাকে আপনার বন্ধু বলে পরিবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন। এতে করে আপনার সিদ্ধান্তটি নিতে বেশ সহজ হবে।

*সে আপনাকে পছন্দ করে কি না : শুধু আপনি তাকে পছন্দ করলে চলবে না। সে আপনাকে পছন্দ করে কি না সে বিষয়েও নিশ্চিত হয়ে তারপরে তাকে প্রপোজ করতে হবে। একতরফা প্রেমের ক্ষেত্রে প্রপোজ না করাই ভালো।

*এমন হতে পারে যে প্রেমিক আপনাকে যৌন সম্পর্কে জড়াবার জন্য পীড়াপীড়ি করছেন, হুমকি দিচ্ছেন আপনি রাজি না হলে সম্পর্ক ভেঙে ফেলবেন, কিংবা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে প্রথমেই ভেবে দেখুন, বিষয়টি কি আপনি চান? আপনিও কি তার সাথে যৌন সম্পর্কে জড়াতে চান এখনই? সাথে সাথে এটাও ভাবুন যে আপনার সামাজিক অবস্থান বা পারিবারিক মূল্যবোধ অনুযায়ী কাজটা কি ঠিক হবে? জীবন আপনার, সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই।

*প্রেমিক মানেই তাঁকে চোখ বুজে ভরসা করতে হবে এমন কোনো আইন নেই। এই অন্ধ ভরসার কারণে প্রেমিকের সাথে কোনো বন্ধুর বাসায়, হোটেলে বা নির্জন স্থানে চলে যাবেন না যেন। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন তাহলে।
*-শুধুমাত্র যৌনতাকে বৈধ করার জন্য গোপনে কাজী অফিসে বিয়ে করার মত বোকামি করতে যাবেন না একেবারেই।

*প্রেমিককে খুশি করতে নিজের ব্যক্তিগত ছবি দেয়ার শর্তেও রাজি হবেন না।

* সবচাইতে বড় সত্য হচ্ছে, যৌন সম্পর্কে বাধা দেয়ায় প্রেমিক যদি আপনাকে ছেড়ে চলে যায়, তাহলে তাঁকে যেতে দিন। এটা জানবেন যে এই মানুষটি কখনোই আপনাকে ভালোবাসেনি। এবং তার থেকে দূরে থাকাই আপনার জন্য ভালো হবে।
প্রেম ছেলেখেলা বা টাইম পাস নয়। প্রেম হলো একটি পবিত্র সম্ভাবনাময় সুখের সংসারের ভিত্তি। একটাই জীবন, ভালো থাকুন। মনে রাখবেন, একটি ভুল সিদ্ধান্ত সারা জীবনের অশান্তি ডেকে আনতে পারে।

ইসলামের দৃষ্টিতে প্রেম করা জায়েজ কিনা ?

                        www.bdnewstracker.blogspot.com

*স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না” (সূরা আল মায়িদা: ৫) যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে ? এটা হারাম।

*এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

*"ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।" (সূরা নুর ৩১ নং আয়াতে )

* সূরা আহযাবের ৩২ ৩৩ ও ৫৯ নং আয়াতে পর্দা করার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে।
ব্যভিচারের ব্যপারে আল্লাহ আরো বলেন ।
আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। (সূরা বনী ইসরাইল ৩২ আয়াতে  )
জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ। বিবাহ পূর্ব প্রেম নর-নারীকে জিনার নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ। 

* এবং যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যের এবাদত করে না, আল্লাহ যার হত্যা অবৈধ করেছেন, সঙ্গত কারণ ব্যতীত তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যারা একাজ করে, তারা শাস্তির সম্মুখীন হবে। কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে। (সূরা ফুরকান ৬৮ ৬৯ আয়াতে )
বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ বলেন -

*আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর। ( সূরা বাকারা ১৬৫ )

ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে প্রেম তৈরি হবে তখনই যখন তারা দুজনই হিজাব ভঙ্গ করলে । কোন একজন যদি হিজাব কোনমতেই ভঙ্গ না করে তবে কোন মতেই প্রেম দাঁড়াবে না । যেসব ছেলে মেয়ের অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে তারা হিজাব কোনমতেই ভঙ্গ করে না । মনে মনে কাউকে ভাল লাগলেও তারা হিজাব ভঙ্গ করে পথচ্যুত হয় না । হিজাব মানে শুধু পোশাক নয় । পোষাক থকে আচার- আচরণ পর্যন্ত সব কিছুই এর অন্তর্ভূক্ত । তারা বিয়ের প্রস্তাব দেয় তা না হলে সবর করে ।

সম্পাদক : বিডি নিউজ ট্র্যাকার  ৩/৯/২০১৬





Tuesday, August 30, 2016



গুগল ম্যাপস শুধুই মানচিত্র দেখায় না, কীভাবে কোথায় যেতে হবে সে নির্দেশনাও দেয়। সঠিকভাবে ব্যবহার করতে জানলে গুগল ম্যাপস থেকে অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

গুগল ম্যাপে আপনার বাসস্থান এবং কাজের অবস্থান উল্লেখ করে দিন। এতে আপনার কার্যক্ষেত্রে যাওয়া এবং কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় গুগল সহজে পথ চিনিয়ে দেবে।

গুগল ম্যাপে আপনার পছন্দের জায়গা সংরক্ষণ (সেভ) করে রাখুন। এতে দ্রুত সেসব জায়গায় যাওয়ার রাস্তা দেখাবে।

ম্যাপসের সার্চ বার থেকেই বন্ধুদের অবস্থান খুঁজে নেওয়া যায়। এ জন্য অবশ্য ফোন নম্বর তালিকার নম্বরগুলো যোগ করতে হবে। সে বন্ধুর ঠিকানা যদি গুগল ম্যাপসে সংরক্ষণ করা থাকে এবং আপনার তা দেখার অনুমতি থাকে তবে ম্যাপস আপনাকে তা দেখিয়ে দেবে।

মধ্যাহ্নভোজে কী খাবেন তা যদি নিশ্চিত না হন তবে সার্চে ক্লিক করে Explore Nearby নির্বাচন করুন। আপনার আশপাশের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ এবং সেগুলোর পর্যালোচনাসহ দেখাবে।

ব্যক্তিগত গাড়ির সুবিধা না থাকলেও অচেনা শহরে বিপদ থেকে রক্ষা করবে গুগল ম্যাপস। সহজেই কাছের বাসস্ট্যান্ড এবং রাস্তা দেখিয়ে দেবে।

সবচেয়ে বড় কথা, আপনি হয়তো এমন কোথাও যাচ্ছেন যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ নেই। সেখানে যাওয়ার আগে অফলাইন ম্যাপ নামিয়ে নিন। এরপর সে এলাকায় সহজেই প্রয়োজন অনুযায়ী রাস্তা দেখাবে, ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে না।


সূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস । প্রথম আলো ৩০, ৮, ২০১৬

Friday, August 5, 2016

 
ফিমেল অর্গাজম বা নারীর চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির বিষয়টি এতদিন বিজ্ঞানীদের হতবুদ্ধি করে রেখেছিল। অবশেষে সম্প্রতি গবেষকরা দাবি করেছেন, তারা হয়ত নারীর চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির বিবর্তনীয় শিকড় খুঁজে পেয়েছেন।

গর্ভধারণের জন্য নারীদের চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির অভিজ্ঞতা লাভ জরুরি নয়। আর তা ছাড়া শুধু যৌনমিলনের সময়ই যে নারীরা এই অভিজ্ঞতা লাভ করেন তাও নয়। ফলে বিষয়টি এতদিন বিজ্ঞানীদের হতবুদ্ধি করেই রেখেছিল।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি এর রহস্য উদঘাটনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের মতে নারীদের চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতি মূলত আমাদের বিবর্তনীয় অতীত থেকে এসেছে। আর এর অনুষঙ্গ হিসেবে নারী দেহে যে হরমোনগত জোয়ার আসে তা সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।

গবেষণাটির সহ-রচয়িতা সিনসিনাটি চিলড্রেনস হসপিটালের চিকিৎসক মেহায়েলা পাভলিসেভ বলেন, ''একটি বিষয় জোর দিয়ে বলা দরকার যে, আজকের নারীদের মধ্যে চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির যে রূপ দেখা যায় তা আগেও একই রকম ছিল সেটা ভাবা ঠিক নয়। আমাদের ধারণা, সন্তান উৎপাদনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য নারীদেহে হরমোনগত যে জোয়ার আসে সেটিই আগে এই চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির কেন্দ্রে ছিল। আর সেটিই পরবর্তীতে নারীদের মধ্যে বিবর্তনের মাধ্যমে আরো পরিবর্তিত রুপ নিয়ে হয়ে হাজির হয়।''

জেইজেড মলকিউলার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল ইভোলিউশন নামের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধে পাভলিসেভ এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুন্টার ওয়েগনার নারীদের চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণির ওপর চালানো গবেষণার বিবরণ দিয়েছেন। চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির আনুষঙ্গিক ঘটনা নারীদেহের হরমোনগত জোয়ারের ওপর ভিত্তি করে তারা স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অ্যানাটমি ও আচরণগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর রহস্য উদঘাটন করেছেন তারা।

বিড়াল ও ইঁদুরের মতো স্তন্যপায়ী জীবদের মধ্যে হরমোনগত এই জোয়ার শুধু যৌনমিলনের সময়ই দেখা যায়। যা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণের জন্য সংকেত পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে।

কিন্তু বর্তমানে মানুষসহ অন্যান্য সমজাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে নারীদেহের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণের ঘটনাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ঘটে থাকে। এর জন্য চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির মাধ্যমে সন্তান উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনগত জোয়ার সৃষ্টি করে সংকেত পাঠানোর আর কোনো দরকার হয় না।

এই গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়, নারী-পুরুষের যৌনমিলনের সময় নারীরা চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির অভিজ্ঞতা লাভের মধ্য দিয়ে তাদের ডিম্বাশয়ে সংকেত পাঠানোর মাধ্যমে ডিম্বাণু নিঃসরণের যে ঘটনা ঘটাতো তা বিবর্তনের একধাপ আগে সত্য ছিল। সম্ভবত আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি বছর আগেই মানুষ ও তার সমগোত্রীয় স্তন্যপায়ী প্রজাতির প্রাণীদের নারীদেহের ডিম্বাশয় থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিম্বাণু নিঃসরণ প্রক্রিয়া চালু হয়।

এই গবেষণা থেকে এও প্রমাণিত হয় যে, আগে মানব প্রজাতির নারী-পুরুষের যৌনমিলনের সময়ও নারীরা চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির অভিজ্ঞতা লাভের মাধ্যমেই তাদের ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু নিঃসরণের জন্য সংকেত পাঠাতো। কিন্তু সাড়ে ৭ কোটি বছর আগে নারীদের দেহের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণের স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণে চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির আর কোনো ভূমিকাই রইল না। এরপর নারীদের চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির অভিজ্ঞতা সম্ভবত অন্য কোনো কাজে নিয়োজিত হয়।

পাভলিসেভ বলেন, ''ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণের জন্য সংকেত পাঠানোর কাজে ভূমিকা হারানোর পর থেকে নারীদের চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির অভিজ্ঞতা নারী-পুরুষের বন্ধন শক্তিশালী করার মতো আচরণ সৃষ্টি বা তেমনই কোনো ক্ষেত্রে হয়ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সুতরাং আমরা বলতে পারিনা যে ফিমেল অর্গাজম পুরোপুরিভাবে মানব প্রজাতির পুনরুৎপাদন থেকে ভিন্ন কোনো ভূমিকায় সহযোজিত হয়েছে। কেননা, নারী-পুরুষের বন্ধন শক্তিশালী করার কাজও প্রজাতির পুনরুৎপাদন সংশ্লিষ্ট কাজ বটে।

গবেষকরা বলেছেন, এই তত্ত্বের পক্ষে বিভিন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীদের জননাঙ্গে ভগাঙ্কুরের অবস্থানের একটি তুলনামূলক চিত্র হাজির করা হয়। ভগাঙ্কুরই চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির অভিজ্ঞতা লাভের প্রধান মাধ্যম। যেসব প্রজাতির নারী সদস্যরা তাদের ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণের জন্য যৌনমিলনের সময় চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতি এবং হরমোনগত জোয়ারের ওপরই নির্ভরশীল তাদের জননাঙ্গের যোনিপথের সম্মুখভাগেই এই ভগাঙ্কুরের অবস্থান থাকে। যাতে যৌনমিলনের সময় সহজেই এতে ঘর্ষণের মাধ্যমে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়। কিন্তু যে প্রজাতির নারী সদস্যরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ করে তাদের জননাঙ্গের যোনিপথ থেকে এই ভগাঙ্কুরের অবস্থান অনেক দূরে থাকে।

পাভলিসেভ বলেন, ''এ থেকে বেশির ভাগ নারীই কেন যৌনমিলনের সময় চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির অভিজ্ঞতা লাভ করেন না তারও একটি ব্যাখ্যা মিলবে। মানব প্রজাতির নারী সদস্যদের জননাঙ্গের যোনিপথ থেকে ভগাঙ্কুরের অবস্থান দূরে হওয়ার কারণেই সঙ্গমের সময় তাদের চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতির অভিজ্ঞতা লাভ না করাই স্বাভাবিক।''

দ্য কেস অফ দ্য ফিমেল অরগাজম বইয়ের লেখক ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক এলিজাবেথ লয়েড বলেন, ''নারীদের চূড়ান্ত যৌন সুখানুভূতি এখন আর শুধু ইন্দ্রিয় সুখানুভূতি সৃষ্টি করা ছাড়া সন্তান উৎপাদনের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকাই পালন করছে না। তার মানে এই নয় এটি এখন গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং এটি শুধু এখন আর প্রজাতির বিবর্তনে কোনো ভুমিকা পালন করছে না।''

তবে নারী-পুরুষের বন্ধন আরো শক্তিশালী বা ঘনিষ্ঠ করার ক্ষেত্রে এর ভুমিকা রয়েছে বলে অন্যান্য গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান

- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2016/08/02/388568#sthash.5kGuXD2b.dpuf

 

সুইট চৌত্রিশ এবং বুদ্ধিমান মহিলাদের যৌন জীবন


 


শরীর চর্চা মাধ্যমে পুরুষ ও মহিলারা নিজেদের সুন্দর ও সুস্থ রাখার চেষ্টা করে এর সঙ্গে দুই পক্ষই শরীর চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সেক্সি করে তুলতে চাই৷ কিন্তু মহিলারা কোন সময়ে নিজেদের সব থেকে সেক্সি মনে করেন তা কি কারুর জানা রয়েছে?
একটি সমীক্ষার মাধ্যমে জানা গিয়েছে, মহিলারা 34 বছর বয়সে নিজেদের সব থেকে বেশী সেক্সি মনে করেন৷ 1000 জন মহিলাকে যৌন জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গিয়েছে৷ এই সমীক্ষায় যাদের এই প্রশ্ন করা হয়েছিল তাদের মধ্যে অধিকাংশই বলেছেন 34 বছর বয়সে মহিলারা সব থেকে সেক্সি হয়৷
এই সমীক্ষার মাধ্যমে এও জানা গিয়েছে যে, 45 থেকে 60 বছর বয়সী মহিলাদের য়ৌন আকর্ষণ যুবতীদের তুলনায় অর্ধেকে এসে পৌঁছায়৷ এই মহিলারা মাসে 4 থেকে 5 বার যৌন মিলনে ইচ্ছুক থাকেন৷ অন্যদিকে 20 থেকে 30 বছর বয়সী মহিলারা মাসে প্রায় 10 বার মিলন করেন৷
অপরদিকে লন্ডন এর কিংস কলেজের আরেকটা গবেষণায় দেখা গেছে যে যে সব মহিলাদের EI অর্থাত ‘ইমোশনাল ইন্টটেলিজেনসটা’ বেশী মাত্রায় থাকে তারাই যৌন মিলনে তাঁর সঙ্গীকে বেশী সুখানুভূতি দিতে পারেন৷ আবার যাদের ইমোশনাল ইন্টিটেলিজেনসটা কম মাত্রায় থাকে তাদের যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা আসে৷
..
যদিও সুন্দরী মহিলাদের প্রতিই পুরুষরা বেশী আকৃষ্ট হন৷ কিন্তু সুন্দরীর চাইতে যাদের ‘ইমোশনাল ইন্টটেলিজেন্সটা’ বেশী থাকে তারাই তাদের দাম্পত্য জীবনে সুস্থ স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক গড়তে সক্ষম হন৷ বিশেষজ্ঞরা তাদের রিসার্চে এই তথ্যটাই প্রমাণ করেছেন৷ লন্ডন এর কিংস কলেজে এই বিষযটা নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল৷
 জীবনে যেসব আশা কখনোই করা উচিত নয়

 কিছু আশা আপনার জীবনে দুরাশা হয়েই থাকবে। জীবনে বড় হওয়ার জন্য নানা বিষয়ে আশা কিংবা প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। কিন্তু সব বিষয় যে আশা অনুযায়ী চলবে এমন কোনো কথা নেই। একইভাবে কিছু বিষয়ে প্রত্যাশা করা উচিত নয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু প্রত্যাশা, যা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত।
১. জীবন হওয়া উচিত ন্যায্য
আমরা অনেকেই আশা করি জীবনে নানা বিষয়ে ন্যায্যতার। কিন্তু বাস্তবতা হলো জীবনে ন্যায্যতা পাওয়া যায় না। আপনি যদি ন্যায্যতার আশা করেন তাহলে আশাভঙ্গ হতে হবে। এতে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়া অসম্ভব নয়। তাই সেই আশা বাদ দিতে হবে।
২. সুযোগ হাতে এসে ধরা দেবে
অনেকেরই ধারণা, ভালো সুযোগ একসময় আসবেই। এ জন্য অপেক্ষা করলেই হবে। বাস্তবতা হলো, সুযোগ কখনোই আপনার হাতে এসে ধরা দেবে না। আপনার রেজাল্ট যত ভালোই হোক না কেন, চেষ্টা না করলে চাকরি পাবেন না। একইভাবে আপনি যত সৎ ব্যবসায়ী হন না কেন, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এগিয়ে যেতে পারবেন না।
৩. আপনাকে সবাই পছন্দ করবে
আপনি যতই অসাধারণ মানুষ হন না কেন, সবাই আপনাকে পছন্দ করবে না। এ বিষয়টি মেনে নিতেই হবে যে, কিছু মানুষ নানা কারণে আপনাকে অপছন্দ করবে। নানা কারণে তাই সবার মন যুগিয়ে চলার চেষ্টা তাই একরকম অসম্ভব বিষয়।
৪. সবাই আমার সঙ্গে একমত হবে
বাস্তব জীবনে নানা মানুষের নানা মত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে কোনো একটি বিষয়ে আপনি যদি সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকেন তার পরও তার সঙ্গে কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন। আর এ বিষয়টি আপনার আশা করা ঠিক হবে না যে, সবাই আপনার সঙ্গে একমত হবেন।
৫. মানুষ জানে আমি কী বলতে চাইছি
মানুষ আপনার মনের কথা জানবে, এমন আশা কখনোই করবেন না। কারণ অন্য একজনের মনের খবর রাখার সময় ও সুযোগ সবার থাকে না। এ ক্ষেত্রে মানুষটি আপনার যতই কাছের হোক না কেন।
৬. আমি ব্যর্থ হব
জীবনযুদ্ধে সফল হওয়ার জন্য নিজের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস থাকা চাই। আপনি যদি যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা করেন তাহলে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এ কারণে ব্যর্থ হওয়ার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
৭. বিষয়টি আমাকে সুখী করবে
আমরা অনেকেই আশা করি ভবিষ্যতে কোনো একটি বিষয় হাতে পেলে আমরা সুখী হব। বাস্তবে ভালো বেতনে চাকরি, চাকরিতে একটি প্রমোশন কিংবা কিছু টাকা-পয়সা পাওয়া মানেই যে আপনি সুখী হবেন তা নয়। সুখের বিষয়টি মূলত মানুষের মনের ভেতরই থাকে। কোনো ভালো সুযোগ-সুবিধা আপনাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় কিংবা জীবন সহজ করতে পারে, তবে তা সুখ আনতে পারে না।
৮. আমি তাকে পরিবর্তন করতে পারব
বিশ্বে আপনি একমাত্র নিজেকেই পরিবর্তন করতে পারবেন। অন্য কাউকে পরিবর্তন করতে চাইলে হতাশ হতে হবে। কারণ সে যদি নিজে থেকে পরিবর্তিত হতে না চায় তাহলে তা অন্য কারো পক্ষে অসম্ভব।
--ফোর্বস অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব -

 কালের কণ্ঠ অনলাইন 
৪ আগস্ট, ২০১৬ ১০:০৮

কালের কণ্ঠ অনলাইন   
৪ আগস্ট, ২০১৬ ১০:০৮
See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2016/08/04/389395#sthash.XEE1ZqUO.dpuf
কিছু আশা আপনার জীবনে দুরাশা হয়েই থাকবে। জীবনে বড় হওয়ার জন্য নানা বিষয়ে আশা কিংবা প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। কিন্তু সব বিষয় যে আশা অনুযায়ী চলবে এমন কোনো কথা নেই। একইভাবে কিছু বিষয়ে প্রত্যাশা করা উচিত নয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু প্রত্যাশা, যা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত।
১. জীবন হওয়া উচিত ন্যায্য
আমরা অনেকেই আশা করি জীবনে নানা বিষয়ে ন্যায্যতার। কিন্তু বাস্তবতা হলো জীবনে ন্যায্যতা পাওয়া যায় না। আপনি যদি ন্যায্যতার আশা করেন তাহলে আশাভঙ্গ হতে হবে। এতে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়া অসম্ভব নয়। তাই সেই আশা বাদ দিতে হবে।
২. সুযোগ হাতে এসে ধরা দেবে
অনেকেরই ধারণা, ভালো সুযোগ একসময় আসবেই। এ জন্য অপেক্ষা করলেই হবে। বাস্তবতা হলো, সুযোগ কখনোই আপনার হাতে এসে ধরা দেবে না। আপনার রেজাল্ট যত ভালোই হোক না কেন, চেষ্টা না করলে চাকরি পাবেন না। একইভাবে আপনি যত সৎ ব্যবসায়ী হন না কেন, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এগিয়ে যেতে পারবেন না।
৩. আপনাকে সবাই পছন্দ করবে
আপনি যতই অসাধারণ মানুষ হন না কেন, সবাই আপনাকে পছন্দ করবে না। এ বিষয়টি মেনে নিতেই হবে যে, কিছু মানুষ নানা কারণে আপনাকে অপছন্দ করবে। নানা কারণে তাই সবার মন যুগিয়ে চলার চেষ্টা তাই একরকম অসম্ভব বিষয়।
৪. সবাই আমার সঙ্গে একমত হবে
বাস্তব জীবনে নানা মানুষের নানা মত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে কোনো একটি বিষয়ে আপনি যদি সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকেন তার পরও তার সঙ্গে কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন। আর এ বিষয়টি আপনার আশা করা ঠিক হবে না যে, সবাই আপনার সঙ্গে একমত হবেন।
৫. মানুষ জানে আমি কী বলতে চাইছি
মানুষ আপনার মনের কথা জানবে, এমন আশা কখনোই করবেন না। কারণ অন্য একজনের মনের খবর রাখার সময় ও সুযোগ সবার থাকে না। এ ক্ষেত্রে মানুষটি আপনার যতই কাছের হোক না কেন।
৬. আমি ব্যর্থ হব
জীবনযুদ্ধে সফল হওয়ার জন্য নিজের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস থাকা চাই। আপনি যদি যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা করেন তাহলে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এ কারণে ব্যর্থ হওয়ার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
৭. বিষয়টি আমাকে সুখী করবে
আমরা অনেকেই আশা করি ভবিষ্যতে কোনো একটি বিষয় হাতে পেলে আমরা সুখী হব। বাস্তবে ভালো বেতনে চাকরি, চাকরিতে একটি প্রমোশন কিংবা কিছু টাকা-পয়সা পাওয়া মানেই যে আপনি সুখী হবেন তা নয়। সুখের বিষয়টি মূলত মানুষের মনের ভেতরই থাকে। কোনো ভালো সুযোগ-সুবিধা আপনাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় কিংবা জীবন সহজ করতে পারে, তবে তা সুখ আনতে পারে না।
৮. আমি তাকে পরিবর্তন করতে পারব
বিশ্বে আপনি একমাত্র নিজেকেই পরিবর্তন করতে পারবেন। অন্য কাউকে পরিবর্তন করতে চাইলে হতাশ হতে হবে। কারণ সে যদি নিজে থেকে পরিবর্তিত হতে না চায় তাহলে তা অন্য কারো পক্ষে অসম্ভব।
--ফোর্বস অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব - See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2016/08/04/389395#sthash.XEE1ZqUO.dpuf
জীবনে যেসব আশা কখনোই করা উচিত নয়
কিছু আশা আপনার জীবনে দুরাশা হয়েই থাকবে। জীবনে বড় হওয়ার জন্য নানা বিষয়ে আশা কিংবা প্রত্যাশা করা যেতেই পারে। কিন্তু সব বিষয় যে আশা অনুযায়ী চলবে এমন কোনো কথা নেই। একইভাবে কিছু বিষয়ে প্রত্যাশা করা উচিত নয়। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু প্রত্যাশা, যা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা উচিত।
১. জীবন হওয়া উচিত ন্যায্য
আমরা অনেকেই আশা করি জীবনে নানা বিষয়ে ন্যায্যতার। কিন্তু বাস্তবতা হলো জীবনে ন্যায্যতা পাওয়া যায় না। আপনি যদি ন্যায্যতার আশা করেন তাহলে আশাভঙ্গ হতে হবে। এতে মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়া অসম্ভব নয়। তাই সেই আশা বাদ দিতে হবে।
২. সুযোগ হাতে এসে ধরা দেবে
অনেকেরই ধারণা, ভালো সুযোগ একসময় আসবেই। এ জন্য অপেক্ষা করলেই হবে। বাস্তবতা হলো, সুযোগ কখনোই আপনার হাতে এসে ধরা দেবে না। আপনার রেজাল্ট যত ভালোই হোক না কেন, চেষ্টা না করলে চাকরি পাবেন না। একইভাবে আপনি যত সৎ ব্যবসায়ী হন না কেন, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এগিয়ে যেতে পারবেন না।
৩. আপনাকে সবাই পছন্দ করবে
আপনি যতই অসাধারণ মানুষ হন না কেন, সবাই আপনাকে পছন্দ করবে না। এ বিষয়টি মেনে নিতেই হবে যে, কিছু মানুষ নানা কারণে আপনাকে অপছন্দ করবে। নানা কারণে তাই সবার মন যুগিয়ে চলার চেষ্টা তাই একরকম অসম্ভব বিষয়।
৪. সবাই আমার সঙ্গে একমত হবে
বাস্তব জীবনে নানা মানুষের নানা মত থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে কোনো একটি বিষয়ে আপনি যদি সম্পূর্ণ নিশ্চিত থাকেন তার পরও তার সঙ্গে কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন। আর এ বিষয়টি আপনার আশা করা ঠিক হবে না যে, সবাই আপনার সঙ্গে একমত হবেন।
৫. মানুষ জানে আমি কী বলতে চাইছি
মানুষ আপনার মনের কথা জানবে, এমন আশা কখনোই করবেন না। কারণ অন্য একজনের মনের খবর রাখার সময় ও সুযোগ সবার থাকে না। এ ক্ষেত্রে মানুষটি আপনার যতই কাছের হোক না কেন।
৬. আমি ব্যর্থ হব
জীবনযুদ্ধে সফল হওয়ার জন্য নিজের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস থাকা চাই। আপনি যদি যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা করেন তাহলে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এ কারণে ব্যর্থ হওয়ার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
৭. বিষয়টি আমাকে সুখী করবে
আমরা অনেকেই আশা করি ভবিষ্যতে কোনো একটি বিষয় হাতে পেলে আমরা সুখী হব। বাস্তবে ভালো বেতনে চাকরি, চাকরিতে একটি প্রমোশন কিংবা কিছু টাকা-পয়সা পাওয়া মানেই যে আপনি সুখী হবেন তা নয়। সুখের বিষয়টি মূলত মানুষের মনের ভেতরই থাকে। কোনো ভালো সুযোগ-সুবিধা আপনাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় কিংবা জীবন সহজ করতে পারে, তবে তা সুখ আনতে পারে না।
৮. আমি তাকে পরিবর্তন করতে পারব
বিশ্বে আপনি একমাত্র নিজেকেই পরিবর্তন করতে পারবেন। অন্য কাউকে পরিবর্তন করতে চাইলে হতাশ হতে হবে। কারণ সে যদি নিজে থেকে পরিবর্তিত হতে না চায় তাহলে তা অন্য কারো পক্ষে অসম্ভব।
--ফোর্বস অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব
- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2016/08/04/389395#sthash.XEE1ZqUO.dpuf

WATCH ON LINE MOVIES

https://radio.net.bd/#bhumi

এ জীবনে যারে চেয়েছি |

ALL FM RADIO BANGLA & INTERNATIONAL

CLICK PIC https://radio.net.bd/#bhumi

POPULAR NEWSPAPER

Daily Prothom Alo    Amar Desh Daily Naya Diganta Daily Jai Jai Din Shamokal
Powered by Blogger.

Latest News

Blog Archive

Subscribe Here

GOOGLE SCARCH

Recent posts

Follow us on facebook

Contact Form

Name

Email *

Message *

THE LIFESTYLE

','5','featcat' );

Face book page

পিওর খেজুরের রস ১২০ টাকা

খাঁটি খেজুরের গুড় চট্টগ্রাম শহরে দিচ্ছে চাটগারা মামু

পিওর খেজুরের রস চট্টগ্রাম

On line income

আপনাদের জন্য সু-খবর, ইতিপূর্বে আপনারা, যারা ফেসবুক, টুইটার, ইন্ট্রাগ্রাম ইউটিউব এর মত, আর অনেক সোস্যাল মিডিয়া, ব্যাবহার করে আসছেন, কিন্তু আপনি বা আপনারা এর পোষ্ট দেখেন কিন্তু এর থেকে নিজেরা কোন ইনকাম করতে পারছেন না । তারা লাইক, কমেন্ট , শেয়ার ও রেফার করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন । একটি Web Talk একাউন্ট খোলার জন্য আপনি আমার Web talk referral Id -dewanmd.akhtarhossai রেফারেল লিংক দিয়ে আপনার একটি Web Talk অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আপনার ফ্রেন্ড কে রেফার করে জয়েন করালে এবং আপনি লাইক কমেন্ট শেয়ার করে এখান থেকে ডলার কমিশন আয় করতে পারবেন ।, Web Talk সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না। বরং আপনি বিনা মূল্যে এখন থেকে আপনি ৫ লেবেল পর্যন্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এই ভিডিও টি সম্পূর্ণ দেখুন । নিচের দেওয়া লিংক ক্লিক করে এখনি রেজিস্ট্রেশন করে ফেলুন । web talk referral link https://get.webtalk.co/dewanmd.akhtarhossain Web talk referral ID - dewanmd.akhtarhossain প্রথমে নিজে রেজিস্ট্রেশন করুন। নিজের লিংক দিয়ে অন্যদের একাউন্ট করে দিন তাই আপনাদের অনুরোধ করে বলবো আর দেরি না করে শুরু করে দিন। কোন সমস্য মনে হলে আমার সাথে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

Delta Life Job post

দেশের শির্ষস্থানীয় জীবন বীমা কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি পরপর চারবার আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেঙ্কিং ট্রিপল AAA অর্জনকারী বীমা কোম্পানি। ডেল্টা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি বর্তমানে ১০ ১৫ ও ২০ বছর মেয়াদের পলিসিতে সবচেয়ে বেশি বোনাস দিচ্ছে এবং দ্রুত বীমা দাবি পরিশোধ করছে। চট্টগ্রাম এলাকায় ডেল্টা লাইফের বীমা পলিসি বাজারজাত করনের কাজকে পেশা হিসাবে গ্রহনের মাধ্যমে অধিক আয় ( ন্যূনতম ১৫০০০ হইতে ২৫০০০ হাজার টাকা ) করতে আগ্রহি স্মার্ট, সৎ, উদ্যোগী, ও আত্ম বিশ্বাসী, পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীর নিকট হইতে নিন্ম লিখিত পদে নিয়োগের জন্য dewanctg70@gmail .com ই মেইলে দরখাস্ত আহ্বান করা যাইতেছে । ফিনান্সিয়াল এসোসিয়েট ২০ জন ইউনিট মানাজার ১০ জন ছাত্র , ছাত্রী ও গৃহিণীদের জন্য পার্ট টাই ও ফুল টাইম কাজ করার সুযোগ আছে। Branch Manager, 01818-029316 Delta life insurance Company

POPULAR PAPER HOUSE

Popular Posts

শুধু তোমাকে চাই ।

বিডি নিউজ ট্র্যাকার একটি নিউজ মিডিয়া । আমাদের জীবনে প্রয়োজনীয় নানা রকম তথ্য ,খবর ,অপ্রত্যাশিত সংবাদ,বার্তা ও বিনোদনের খোঁজখবর জাতিও ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় প্রকাশিত এবং নানা রকম নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হইতে সংগ্রহ করে BD NEWS TRACKER এর মাধ্যমে উপস্থাপন করে সেবা প্রদান করাই আমাদের উদ্দেশ্য ।